এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৪

জেনে নিন চেহারার যৌবন ধরে রাখার ছোট্ট "গোপন ফর্মুলা"!

আজকাল খুব দ্রুত চেহারা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে যৌবন। বয়সের আগেই বার্ধক্যের ছাপ পড়ছে চেহারার। আয়নায় ভালো করে তাকিয়ে দেখুন, বয়সের চাইতেও নিজেকে অনেকটা বয়স্ক দেখায় না? এই সব কিছু দূর করতে আমরা নিয়ে এলাম দারুণ একটি উপায়। না, দামী দামী ক্রিম নয়। এমনকি পার্লারে গিয়ে নানান ট্রিটমেন্টও নয়। রইলো একটি ফেস প্যাক তৈরির সিক্রেট ফর্মুলা। নিয়মিত এই ফেস্প্যাক ব্যবহারে দীর্ঘদিন অটুট থাকবে আপনার চেহারার যৌবন!
অ্যান্টি-এইজিং ফেস প্যাক
এই ফেইস প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে-
২ টেবিল চামচ মিহি চালের গুঁড়ো (চাইলে ময়দা ব্যবহার করতে পারেন)
১ চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ তাজা হলুদ গুঁড়ো বা বাটা
৫ চা চামচ কাঁচা দুধ
গোলাপ জল ১ চা চামচ
শসার রস ১ চা চামচ
মধু ১ চা চামচ
পদ্ধতিঃ
•প্রথমে একটি বাটিতে চালের গুঁড়ো বা ময়দা এবং হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন।
•এরপর এতে শসার রস ও দুধ দিয়ে পেস্টের মত তৈরি করুন।
•মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি ভেজা মুখে আলতো ঘষে লাগান।
•পুরোপুরি লাগানো হয়ে গেলে ১০ মিনিট রেখে দিন।
•১০ মিনিট পর আঙুলের মাথা দিয়ে হালকা ঘষে তুল নিন। এরপর মুখে মধু মাখইয়ে রাখুন।
•১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে নিয়ে প্রাকৃতিক গোলাপ জল লাগিয়ে নিন আলতো করে।
•সপ্তাহে ৩/৪ বার এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করুন।

মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৪

ইন্টারভিউ দক্ষতা বাড়াতে ১০ টিপস

ইন্টারভিউ দক্ষতা বাড়াতে ১০ টিপস

নিউজবুক ডেস্ক
 ঢাকা, ৮ জানুয়ারি : ইন্টারভিউতে অকৃতকার্য হলে পাবলিক পরীক্ষার মতো তা আবার দেয়ার সুযোগ থাকে না। আর সবচেয়ে স্মার্ট ও যোগ্য প্রার্থীকেও ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। ইন্টারভিউয়ের সময় তিনটা C মনে রাখতে হবে- cool, calm and confidence.  এ নিবন্ধে প্রকাশিত ইন্টারভিউয়ের পরামর্শগুলো জেনে নিলে চাকরিপ্রার্থীদের প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হবে।


১. নিরব যোগাযোগের অনুশীলন করুন
সোজা হয়ে দাঁড়ানো, চোখে চোখ রাখা ও বলিষ্ঠ হ্যান্ডসেকের মতো আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশকারি বিভিন্ন বিষয় অনুশীলন করুন। এগুলোই হবে কথাবার্তা শুরুর আগে আপনার ইন্টারভিউয়ের মাপকাঠি। এগুলোই আপনাকে নিয়ে যাবে দারুণ একটা ইন্টারভিউ বা তাড়াতাড়ি শেষ হওয়া কোনো ইন্টারভিউয়ের দিকে।


২. প্রতিষ্ঠানের উপযোগী পোশাক পরুন
প্রচলিত সাধারণ পোশাক আপনার ইন্টারভিউয়ের জন্য উপযুক্ত নয়। চাকরিপ্রার্থীর জানা উচিত ইন্টারভিউতে কোন পোশাকটি পরা উচিত। আপনি সুট পরবেন কি না, তা নির্ভর করছে কোম্পানিটির রীতি ও আবেদনকারির পদটির উপর। সবচেয়ে ভালো হয় ইন্টারভিউয়ের আগেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কেমন পোশাক পরছেন, সেটা লক্ষ্য করে সেই অনুযায়ী পোশাক পরলে।


৩. শুনুন
ইন্টারভিউয়ের শুরু থেকেই তারা আপনাকে বিভিন্ন তথ্য দেবেন। সেগুলো মনযোগ দিয়ে না শুনলে আপনি অনেক ‍সুযোগ মিস করবেন। ভালো যোগাযোগ দক্ষতায় আপনার অবশ্যই অন্য পক্ষের কথা শুনতে হবে ও সময়মতো জানাতে হবে যে, আপনি শুনেছেন। আপনার ইন্টারভিয়ারের দিকে মনযোগ দেওয়া খুবই জরুরি।


৪. অতিরিক্ত কথা বলবেন না, যা জানা আছে তাই বলুন
প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা ইন্টারভিউয়ের একটি বড় ভুল। ইন্টারভিউয়ে কোনো অজানা প্রশ্নের উত্তরে সম্পূর্ণ অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা একেবারেই অনুচিত। এতে আপনার চাকরির সম্ভাবনা নষ্ট হয়। ইন্টারভিউয়ের আগেই সার্কুলার দেখে তাদের প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে পড়াশোনা করে নিতে হবে।


৫. বেশি বন্ধুবৎসল হবেন না
ইন্টারভিউ একটি পেশাদার বিষয়। এতে ব্যক্তিগত কথাবার্তা, বন্ধুত্ব ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। এতে সর্বশক্তিতে চাকরিটিতে আপনি কতোটা যোগ্য, তা বর্ণনা করতে হবে। এতে সবসময় মনে রাখতে হবে আপনি একজন চাকরি প্রার্থী, অন্যকেউ নন।


৬. সঠিক ভাষা ব্যবহার করুন
ইন্টারভিউতে আপনাকে অবশ্যই পেশাদারি ভাষা ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনো অরুচিকর কথাবার্তা বিষয়ে। এতে বয়স, বর্ণ, ধর্ম, রাজনীতি ও যৌন বিষয়ে অবমাননাকর বিষয় সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলোর ব্যতিক্রম হলে শীঘ্রই আপনাকে দরজার বাইরে চলে যেতে হবে।


৭. অতিরিক্ত কনফিডেন্ট হবেন না
আচরণ আপনার চাকরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইন্টারভিউতে আত্মপ্রত্যয়, পেশাদারিত্ব ও বিনয়ের সমন্বয় থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে গিয়েও অতিরিক্ত কনফিডেন্ট হবেন না।


৮. যত্নের সঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দিন
প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর যত্নের সঙ্গে দেওয়াটা ইন্টারভিউতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন, আপনাকে কোনো একটি মাসে বা বছরে কী করেছেন, জিজ্ঞাসা করা হল। এ সময় আপনি যদি কোনোকিছু মনে করতে না পারেন, তাহলে আপনি একটি সুযোগ হারালেন। আর যদি এ সময়ে আপনার করা পড়াশোনা, চাকরি ও বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় বর্ণনা করেন, তাহলে তা হবে চাকরির দিকে একধাপ অগ্রগতি।


৯. প্রশ্ন করুন
ইন্টারভিউতে বেশিরভাগ সময় জিজ্ঞাসা করা হয় আপনার কোনো প্রশ্ন আছে কি? সে সময় অধিকাংশই ‘না’ বলে দেন। না বলার চেয়ে প্রতিষ্ঠানের কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করাই ভালো। কী প্রশ্ন করবেন তা নিহিত আছে ইন্টারভিউয়ের মধ্যেই। ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতেই কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করা ভালো। এতে আপনি যে সম্পূর্ণ ইন্টারভিউটি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন, তা বোঝাতে পারবেন।

১০. মরিয়া হবেন না
ইন্টারভিউতে যদি আপনার কথাবার্তায় মনে হয়- ‘প্লিজ, প্লিজ, আমাকে চাকরিটি দিন’ তাহলে আপনাকে নিঃসন্দেহে কম আত্মবিশ্বাসী মনে হবে। এতে আপনার চাকরির সম্ভাবনাও বাড়বে না। আপনি যদি চাকরিটির জন্য উপযুক্ত হন, তাহলে নিজের আচরণের মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ারদের তা বিশ্বাস করানোর দায়িত্ব আপনার।

শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৪

সত্যিকারের ভালোবাসার ৭টি লক্ষণ

সত্যিকারের ভালোবাসার ৭টি লক্ষণ


একটা সময় ছিল, যখন এ কথাটি প্রচলিত ছিল যে জীবনে প্রেম মাত্র একবারই আসে। এখনকার সময়ের জন্য বোধহয় এ কথাটি আর প্রযোজ্য নয়! তাই বলে যে সবার জীবনেই একাধিকবার প্রেম আসবে, তা নয়! কারো কারো প্রথম প্রেমই পরিণতি পায়, আর কারোটা পায় না।

সম্পর্ক নানা কারণে ভেঙে যেতে পারে। নিজেদের মধ্যে বনিবনা না হওয়া, পারিবারিক সম্পর্ক ইত্যাদি। কিন্তু একবার সম্পর্ক ভেঙে গেলে কি মানুষের জীবন থেমে থাকে? না, মানুষ আবারও ভালোবাসে। এই ভালোবাসাও গড়াতে পারে পরিণতির দিকে। আপনার প্রথম প্রেম হোক আর দ্বিতীয় প্রেম, অনেক সময় মনে এ ভাবনা আসতেই পারে যে, এটাই কি সত্যিকারের ভালোবাসা? এই মানুষটাই আমার জন্য তৈরি? সে কি সত্যিই আমাকে ভালোবাসে?

ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যকার কিছু ব্যাপার ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন যে, আপনারদের এই সম্পর্ক আসল কি না, সত্যিই আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনাকে ভালোবাসে কি না! জেনে নিন বিষয়গুলো।



একসাথে বাকি জীবন কাটানোর ইচ্ছা:

খেয়াল করে দেখুন যে আপনাদের একে অন্যের সাথে সারাজীবন কাটানোর ইচ্ছাটা কতখানি প্রবল। আপনি কি আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার ওপর এতটাই ভরসা করেন যে চোখ বন্ধ করে তাঁর সাথে সারাজীবন কাটাতে পারবেন? উত্তর যদি হ্যা হয়, তাহলে বুঝে নিন আপনাদের সম্পর্কের গভীরতা প্রবল এবং এটাই আসল ভালোবাসা। পরস্পরের প্রতি আপনাদের নির্ভরতাও ভালোবাসার সত্যতা প্রমাণ করে। আপনার ভালোবাসার মানুষটির আপনাকে পাবার আকাঙ্খাটুকু বোঝার চেষ্টা করুন। আশা করি নিজেই বুঝতে পারবেন তাঁর ভালোবাসার সত্যতা সম্পর্কে।



পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সদ্ভাব করানোর চেষ্টা:

আপনাকে যে ভালোবাসে, বিয়ে করতে চায়, তিনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন যেন তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের সাথে যেন আপনার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। খেয়াল করুন তিনি আপনাকে তাঁর বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন কি না। আপনাকে নিয়ে যদি তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা থাকে, তাহলে অবশ্যই তাঁর নিকটজনদের সাথে আপনার সদ্ভাব করানোর চেষ্টা করবেন।



শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে তাড়াহুড়া না থাকা :

সত্যিকারের ভালোবাসায় শারীরিক সম্পর্ক এটা গৌণ কারণ। আবেগের বশে শারীরিক সম্পর্ক হয়েই যেতে পারে। তবে যিনি আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসেন তাঁর মাঝে এ বিষয়ে তাড়াহুড়া না থাকারই কথা! কারণ তিনি যদি আপনাকে ভালোবাসেন, বিয়ে করতে চান তাহলে এক সময় না এক সময় আপনাকে পেয়েই যাবেন - এ কথাটিই থাকবে তাঁর মাথায়। আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে কী ভাবেন তা জানার চেষ্টা করুন।



কোনো কিছু গোপন না করা :

যিনি আপনাকে সত্যি সত্যি ভালোবাসেন তিনি আপনার কাছে কোনো কিছুই গোপন করতে চাইবেন না। নিজের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার থেকে শুরু করে পরিবারের সমস্যার কথা সবই বলবেন। এমনকি তাঁর প্রাক্তন সম্পর্কগুলো সম্পর্কেও বলবেন। যদি তাঁর মধ্যে কথা গোপন করার প্রবণতা লক্ষ্য করেন, তাহলে সাবধান হয়ে যান।



প্রাক্তন সম্পর্কগুলোকে পুরোপুরি ভুলে যাওয়া :

যখন মানুষ তাঁর সম্পর্কের ব্যাপারে সন্দিহান থাকে তখনই অতীতের সম্পর্কের সাথে বর্তমানের সম্পর্কের তুলনা করে - এটাই মানুষের স্বভাব! কিন্তু যখন একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে ভালোবাসবে, তখন তাঁর মধ্যে থেকে এই প্রবণতা কমে আসবে। খেয়াল করে দেখুন যে, আপনার ভালোবাসার মানুষটি বারবার পুরনো সম্পর্কের প্রসঙ্গ তোলেন কি না। তাঁর ভালোবাসার সত্যতা তখনই প্রমাণ হবে যখন তিনি তাঁর পুরনো সম্পর্কগুলোকে পুরোপুরি ভুলে যাবেন।



ভবিষ্যতের পরিকল্পনা :

যিনি আপনাকে ভালোবাসেন এবং বিয়ে করতে চান, তিনি আপনার সাথে নানা ধরনের ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা করবেন। এর মধ্যে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা অন্যতম। যেমন সংসার কেমন হবে, কেমন বাড়িতে থাকবেন, জীবনে কী কী করতে হবে ইত্যাদি। আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা কি আপনার সাথে ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করেন? উত্তর হ্যা হলে তাঁর ভালোবাসার সত্যতা পাওয়া যায়।



ঈর্ষাবোধ থাকা :

ভালোবাসা থাকলে ঈর্ষাবোধ থাকবেই! এটাই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক তখনই যখন আপনার ভালোবাসার মানুষ অন্য কারো সাথে আপনাকে ঘনিষ্ঠ হতে দেখলেও ঈর্ষাবোধ করবে না। আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে যদি প্রবল ঈর্ষাবোধ থাকে, তাহলে ধরে নিন তিনি আপনাকে সত্যিই ভালোবাসেন। আর যদি তাঁর মধ্যে এই বোধ না থাকে তাহলে কিন্তু চিন্তা করার কারণ রয়েছে!