এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

নখ দেখেই চিনে নিন ৬টি মারাত্মক রোগের লক্ষণ!

নখ দেখেই চিনে নিন ৬টি মারাত্মক রোগের লক্ষণ!PrintE-mail
 

আমরা অনেকেই হাত ও পায়ের নখের যত্নে অনেক সময় ব্যয় করে থাকি। মেনিকিউর, পলিশিং, ট্রিমিং আরও অনেক কিছু। আবার অনেকেই নখে নেইলপলিশ লাগানোর কাজে অনেকটা সময় ব্যয় করে থাকেন। ইদানিংকার ফ্যাশনে যোগ হয়েছে নেইল আর্ট। হাত পা পায়ের সৌন্দর্যে নখের যত্ন অবশ্যই দরকার। অনেকেই এতসব যত্নের মাঝে নিজের নখটাকে ভালো ভাবে দেখার সময় করে উঠতে পারি না। কিংবা দেখার প্রয়োজন বোধ করি না।
কিন্তু আপনি জানেন কি নখের বর্ণ, দাগ ও আকার-আকৃতি আমাদের দেহে ক্রমশ বাড়তে থাকা রোগের লক্ষণ বোঝায়? অনেকেই হয়তো এই ব্যাপারটির সাথে অবগত নন। কিন্তু আসলেই নখে দেহের রোগের লক্ষণগুলো ধরা পড়ে। আপনার সতর্ক দৃষ্টি নখের ভাষা বুঝে নিয়ে সহজেই এই সব রোগের চিকিৎসা উপযুক্ত সময়ে করাতে পারবেন। আসুন তবে জেনে নেই নখের ভাষায় কিছু রোগের লক্ষণ।

নখে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গর্ত

নখে খুব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গর্ত অনেক সময়েই চোখে পড়ে না। কিন্তু আপনি যদি ভালো করে খেয়াল করেন তবে ধরা পড়বে আপনার নখের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গর্ত। যারা সব সময় নখে নেইলপলিশ ব্যবহার করে থাকেন তাদের চোখ এড়িয়ে যাবার সম্ভাবনাই বেশি। যদি খেয়াল না করে থাকেন তবে আজই খেয়াল করুন। কারণ নখের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গর্ত সরেইসিস, বিষণ্ণতা ও ত্বকের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি জনিত রোগের লক্ষণ। আপনার নখের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গর্ত চোখে পড়লে অতি দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।

ফ্যাকাসে নখ

নখের দিকে ভালো করে লক্ষ্য করুন। সাধারণত নখের রঙ গোলাপি হয় যখন আপনার দেহে পরিমিত পরিমাণ রক্ত থাকে। যদি আপনার নখ দেখতে ফ্যাকাসে ও প্রাণহীন লাগে তবে আপনি রক্তস্বল্পতা রোগে ভুগছেন। এছাড়াও ফ্যাকাসে নখ ডায়বেটিস ও লিভারের রোগের লক্ষণ। দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।

হলদেটে মোটা নখ

নখের রঙ যদি হলুদ বর্ণ ধারন করে এবং শক্ত মোটা হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে আপনার নখ ছত্রাকের আক্রমণে পরেছে। দ্রুত চিকিৎসা না করলে নখের কাছের ত্বকে এই ছত্রাক আক্রমণ করতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ঘরোয়া ভাবে ২ লিটার গরম পানিতে প্রতি লিটারে ১ চা চামচ লবন ও ১ চা চামচ বরিক পাউডার মিশিয়ে প্রতিদিন ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। ছত্রাকের হাত থেকে রেহাই পাবেন।

নখে কালো দাগ

অনেক সময়েই নখে লম্বালম্বি হালকা কালো কালো ছোপ কিংবা দাগ দেখা যায়। কালো দাগ প্রথমে হালকা থাকে পরে গাঢ় হয়ে যায়। মাঝে মাঝে নখে দাগের রেখা উঁচু হয়ে যায়। সাধারনত হাত বা পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে এই সমস্যা দেখা যায়। যদি আপনি আপনার নখে এইরকম দাগ লক্ষ্য করে থাকেন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে যান। কারণ এটি স্কিন ক্যান্সারের প্রথম লক্ষণ।

নখে সাদা সাদা ফুটি

নখে সাদা সাদা ফুটি আমরা অনেক সময়েই লক্ষ্য করি এবং কোনো ধরণের গুরুত্ব দেই না। অনেকে আবার এই সাদা ফুটিকে বিয়ের ফুল বলে ধারণা করে থাকেন, যা সম্পূর্ণ রূপে ভুল। নখের এই সাদা ফুটি কিডনি রোগের লক্ষণ। দেহে প্রোটিনের অভাব হলেও নখে সাদা ফুটি দেখা যায়। সুতরাং অবহেলা করবেন না। দ্রুত চিকিৎসা করান।

নখে নীলচে ছোপ

নখের নিচের কিনারায় ভালো করে লক্ষ্য করুন। কোন নীলচে ছোপ আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখুন। যদি নীলচে ছোপ খুঁজে পান এর অর্থ আপনার দেহে পরিমিত পরিমাণ অক্সিজেন যাচ্ছে না। আপনি অক্সিজেন স্বল্পতায় ভুগছেন। অতি সত্বর চিকিৎসা না হলে আপনি ফুসফুসের ইনফেকশন সহ হৃৎপিণ্ডের নানান সমস্যায় পড়তে পারেন।

বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

ভালোবাসা ...............ব্রেকআপ............ অতপর ভালোবাসা এর পর.............

ভালোবাসা ...............ব্রেকআপ............ অতপর ভালোবাসা এর পর.............
২০০৫/৬ এর মাঝামাঝি সময় আমাদের সম্পর্কের শুরু, শুরুটা অনেক সুন্দর ছিল। এখন তার জন্য আমার উজ্জল জীবনটাও আজ অনউজ্জল আর ঘোলাটে তবুও ভালোবাসি তবে কেন যেন মনের মাঝে কত্তগুলো প্রশ্ন !!!!!!!!!!
কেন এমন হচ্ছে?
তাকে পাবার জন্য কি করিনাই? তবে কেন তাকে কাছে পাবার নিশ্চয়তাটা পেয়েও আগের মত আর স্বাদ নেই মনে ?
আমাদের ভালোবাসা আর সকলের মতই সুন্দর ছিল , কিন্তু কোন এক সময় তার কিছু কারন আমার কিছু কারনেই আমি তার থেকে দুরে সরতে থাকি , সরেও যায় । সে সরে নাই।
দেশ ছেড়ে চলেও যায় তার সাথে যেন পুনরায় সম্পর্ক তৈরি না , কারন আমদের সম্পর্ক সামাজিক ভাবে মেনে নেবার মত ছিল না।
আমি চলে আসার পর সে আমাকে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ফোন দিত আমি কখনও রেসপন্স করতাম না। তবে
তাকে ছেড়ে আসলেও বার বার মনের ভেতর থেকে ভালোবাসা আগ্নেয়গীরির মত বের হয়ে আসতো তার জন্য। কোন একদিন আমার আত্বিয়রা তার বাড়িতে গিয়ে তাদের ভিসন ভাবে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে , সে দিন ছিল তার SSC পরিক্ষা। আমাকে ফোন দিয়েছিল বলেছিল সেই সমস্যার কথা আমি ও তাকে অবহেলা করেছি।((((( এই কথাটা মনে পড়ে কান্না আসছে)))) বলেছি সম্পর্ক অনেকের ই হয় আবার তা শেষ ও হয়ে যায় তেমনি আমাদেরও হয়েছে। এর যা হবার ............. সে ফোনে চিতকার করে কান্না , আমারও কষ্ট হচ্ছিল তার পরেও বলেছিলাম এমন কথা গুলো। এর পর থেকে আমাদের মাঝে দুরত্ব বাড়তে থাকে।
প্রায় এক বছর আমি তার সাথে কথা বলতে চাই নাই খুভ একটা । এর পর আমিই মাঝে মাঝে ফোন দিতাম সে খুভ একটা কথা বলতে চাইত না । তবুও আমিই ফোন দিতাম । এর পর আবার আমাদের প্রায়ই কথা হত, তবে আগের মত না কেমন যেন লবন হীন তরকারির মত। সে আমাকে বলতো আমরা ভাল বন্ধু হয়ে থাকি, আমিই রাজি হয়েছিলাম । তাই ঘন ঘন কথা বলতাম , এক সময় আমিই আবার সম্পর্কে জরাতে চেয়েছি সে চাইনায় , এভাবেই চলতে থাকে তিন বছর , কখনও আমাদের মাঝে ভিষন ঝগড়া হত রাগারাগি করে ২/৪ মাস কথা হত না অনেক বারই । ১.৫ বছর আগে থেকে আমাদের সম্পর্ক সেই আগের অবস্থায় ফিরে আসে তবে ফোনে , তবে সে আমাকে বলত আমরা বিয়ে করব না ।
যাই হোক ৮/৯ মাস হল আমরা বিয়ে করব এমন অবস্থায় পৌছায় , তবে আমাদের সামনে অনেক বাধা , এই বাধা আমরা ডিঙাতে পারব কিনা আমরা জানতাম না , এক পর্যায়ে আমি তার পরিবারের সবার সাথে কথা বলি তারা সরাসরি না চাইলেও কোন ভাবে হলে কোন একসময় তারা যে মেনে নেবে তা বোঝা গেল। তবে বলেছিল সর্ম্পেকের বাধার কথা । তবে এই কথা আর আলোর মুখ দেখেনি । আমার আত্বিয়রা আবার তা জানতে পেরে তাদের বাড়িতে গিয়ে মারাত্বক ভাবে শাসিয়ে আসে , তাদের মেয়েকে কয়েক সপ্তাহের মাঝে অন্নত্র বিয়ে দিতে , তার পরিবার ও তাকে জানিয়ে দেয় আমাদের সম্পর্ক তারা কোন দিন ই মেনে নেবেনা । তাই সে উপায় না পেয়ে আমাকে সরাসরি বলে দেয় আমি যেন তাকে ভুলে যায় । এই ভাবে তিন টা মাস আমি কেদেছি , না খেয়ে থেকেছি , নিজের হাত কেটেছি , সারাদিন কেদে কেদে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। সে বোঝেনা , তার একটায় কথা আমাকে সে আর বিয়ে করতে পারবে না। এর পর তিন টা মাস আমার এমন কান্না ভরা ভালোবাসা দেখে সেও আর সরে যেতে পারনাই ,
সে বিশ্বাস করতো না আমি দেশে ফিরে আসব , তাই সে আমাকে ততটা বিশ্বাস করতো না । শেষ মেস দেশে আসার জন্য তাকে বল্লাম যে আমি দেশে আসছি মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই , তার জন্যই হঠাত করেই টিকিট কেটে দেশে গেলাম , আমাদের দেখা হল কয়েক বার , এর পর অনা কঙ্খিত ভাবে কোন এক জায়গাতে দেখা করতে গিয়ে আমাদের এলাকার বন্ধুরা আমাদের দেখে ফেলে , তারা তাকে ধরে জিগ্গেস করে তোরা নাকি বিয়ে করেছিস , সে রাগের মাথায় বলে ফেলে হ্যা আমরা ৫ বছর আগেই বিয়ে করেছি। এর পর েথকে আমাদের মাঝে আবার সমস্যা তৈরি হয়, আমাদের মাঝে সবাই শত্রু হয়ে দাড়াই , এলাকাতে এই কথা ছরিয়ে পরলে তার পরিবার থেকে আমাকে তাকে বিয়ে করার জন্য বলে , আমি একা সাহস পাইনি , বলি যে আমাকে ১/২ বছর সময় দেয়া হোক , তারা রাজি হয়না। এক পর্যায়ে তার সাথে আমার সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তাকে অন্য কোথাও বিয়ে দিতে চাই , আমি তার কাছে অনুরোধ করি এমন টা যেন সে না করে , সে করে নাই , সে সবার মতের বিরুদ্ধে থেকে আমার কথাটাই রেখেছে ।

........ আমি চলে এসেছি তবে কেন আবার তার সাথে মাঝে মাঝে খারাপ আচরন করি???? কপি পেষ্ট

যে কাজ কখনোই করবেন না প্রেমিকা বা সঙ্গিনীর সাথে

যে কাজ কখনোই করবেন না প্রেমিকা বা সঙ্গিনীর সাথে


দুজন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠতে হলে বিশ্বস্ততার পাশাপাশি প্রয়োজন সমঝোতার। এর সাথে দরকার একে অপরের জন্য সম্মানবোধ। কিন্তু আমরা মাঝে মাঝে এসব কথা ভুলে যাই। তাই নিজের অজান্তেই কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াই ভালোবাসার মানুষটির। ভুল করে তাঁকে বলে ফেলি কটু কথা, অসম্মান করে বসি তাঁকে, মনোকষ্টের কারণ হয়ে যাই তাঁর। কখনো কখনো রেগে গিয়ে বা না বুঝে আমরা এমন অনেক কথা বলি, যা হয়তো বলতে চাই না। কিন্তু এই না বলতে চাওয়া কথাটাই হয়তো অনেকখানি দুঃখ দিয়ে ফেলে প্রিয় মানুষটিকে।আপনি আপনার প্রেমিকা বা স্ত্রীকে হয়তো অনেক ভালোবাসেন। কিন্তু মাঝে মাঝে কি তাঁর মনোকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ান না? আপনার সামান্য একটা কটু কথা বা ভুল আচরণ তাঁকে হয়তো অনেকখানি কষ্ট দিয়ে ফেলে। তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে হতে হবে আরো যত্নশীল। বলা যাবে না এমন কোনো কথা বা করা যাবে না এমন কোনো কাজ যাতে আপনার সঙ্গিনী আপনার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলে।
চেহারা নিয়ে নেতিবাচক কথা বলবেন না :

সৃষ্টিকর্তা একেকজন মানুষকে একেকভাবে সৃষ্টি করেছেন। একেকজনের চেহারা একেক রকম। কোনো মানুষই তার নিজের চেহারা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তাই আপনার সঙ্গিনী যদি নিজেও তাঁর চেহারা নিয়ে নেতিবাচক কোনো কথা বলেন, তাহলে তাতে ভুলেও সায় দেবেন না। অন্তত এ ব্যাপারে আপনার সায় তাঁকে খুশি না করে করবে দুঃখিত। আর যদি তাঁর চেহারা বা চেহারার কোনো অংশ আপনার ভালো না লাগে, তাহলে সেটা তাঁকে ঘুণাক্ষরেও জানতে দেবেন না! আপনি তাঁকে ভালোবেসেছেন, সব দেখেশুনেই ভালোবেসেছেন। সম্পর্ক করার পর এসব নিয়ে খোটা দেয়া রীতিমত মানসিক নির্যাতন।
পোশাক বা সাজগোজ নিয়ে খোটা দেবেন না :

পৃথিবীর সব মানুষ যেমন একরকম নয়, তেমনি সবার রুচিবোধও এক নয়। আপনার সঙ্গিনীর পোশাক-আশাক বা সাজগোজ নিয়ে যদি আপনার কোনো আপত্তি থাকে তাহলে তাঁকে জানান,তবে অবশ্যই সরাসরি নয়। একটু ঘুরিয়ে, বুঝিয়ে বলুন। জোর করবেন না বা খোটা দিয়ে কিছু বলবেন না, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাঁকে বুঝিয়ে বললে অবশ্যই তিনি আপনার কথা শুনবেন।
পরিবার নিয়ে কটু কথা বলবেন না :

আপনার কাছে যেমন আপনার পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি আপনার সঙ্গিনীর কাছেও তাঁর পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাঁর আপনজনদের ব্যাপারে কখনোই কোনো কটু কথা বলবেন। এমন কিছু বলবেন যাতে তাঁদের অসম্মান করা হয়। এতে কিন্তু আপনার সঙ্গিনীকেই অসম্মান করা হয়। আর যদি সম্পর্কে এই অমর্যাদার ব্যাপারটি চলে আসে, তাহলে কিন্তু ক্ষতি আপনারই। আপনার সঙ্গিনী আপনার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারে।
অহেতুক সন্দেহ করবেন না :

সন্দেহ সম্পর্কে ফাটল ধরায়। আর সন্দেহের কারণটা যদি হয় ভিত্তিহীন, তাহলে সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হতে বাধ্য। আপনার সঙ্গিনীর ছেলে বন্ধু থাকতেই পারে। ছেলে বন্ধু মানেই যে অন্য ধরনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, তা কিন্তু নয়! তাই সঙ্গিনীকে সন্দেহ করার আগে এবং এটা নিয়ে তাঁর সাথে কথা বলার আগে ব্যাপারটির সত্যতা যাচাই করে নিন।
তুলনা করবেন না :

একেকজন মানুষের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে। তাই একজনের সাথে আরেকজনের তুলনা করা একেবারেই উচিত নয়। বিশেষ করে মেয়েরা তাঁর সাথে অন্য কারো তুলনা করা একদমই পছন্দ করেন না। তাই আপনার সঙ্গিনীকে অন্য কারো সাথে কখনোই তুলনা করবেন না। এতে যেমন তিনি রেগে যেতে পারেন, তেমনি এটা তাঁর মনোকষ্টের কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এই তুলনা করার বিষয়টি একেবারেই এড়িয়ে চলুন।

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

যারা নারীদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে চাইছেন কিংবা জীবনসঙ্গী খুঁজছেন, সে সব পুরুষদের বলছি। জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক না হলে সারা জীবন এর মূল্য দিতে হতে পারে। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদন এমন পাঁচ ধরনের নারীর কথা বলা হয়েছে, যাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোটা পুরষদের জন্য বিপদজনক। এমন নারীদের এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

সাবেক প্রেমিকাআগে একজনের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ছিল। সেটা ভেঙে যাওয়ার পর নতুন একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এ অবস্থায় ভুলও আগের প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে যাবেন না। অতীত ভুলে শুধু বর্তমান সঙ্গিনীকে নিয়েই থাকুন।
ধরুন, নিভৃত কোনো জায়গায় একাকি বসে আছেন। পুরোনো প্রেমিকার সঙ্গে বিশেষ মুহূর্তগুলো বার বার মনে হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে কী কারণে, কার ভুলের কারণে সম্পর্কের ইতি ঘটল, এসব কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ভাবছেন, তাঁর সঙ্গে একটু কথা বলে মনটা হালকা করবেন কি না! সাবধান। কোনোভাবেই এমনটা করতে যাবেন না। এতে মারাত্মক গোলযোগ বেঁধে যেতে পারে, হারাতে হতে পারে বর্তমান সঙ্গিনীকেও।
সবচেয়ে কাছের বন্ধুর বোন
সবচেয়ে কাছের বন্ধুটির বোনকে আপনার ভালো লেগে গেল। এ অবস্থায় নিজেকে সংযত করুন। এত দিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুটির সঙ্গে সম্পর্কটা এক মুহূর্তে শেষ হয়ে যেতে পারে। বন্ধুদের সম্পর্কটা নিমিষে পরিণত হতে পারে শত্রুতায়।
যাদের সঙ্গে সম্পর্কেঝুঁকিআছে
যে ধরনের মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে আপনার বিপদে পড়ার আশঙ্কা থাকবে, তাদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন। সম্পর্কে জড়িয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগার চেয়ে নিরাপদ থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রলোভনকে কখনোই প্রশ্রয় দেবেন না।
পকেট কাটাই লক্ষ্য যাদের
এমন মেয়েদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন, যারা প্রচণ্ড অর্থলোভী। যাদের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ালে ফতুর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এ ধরনের মেয়েরা নানা বাহানায় আপনার কাছ থেকে অর্থ খসানোর চেষ্টা করবে। তার বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে কোথাও ঘুরতে যেতে চাইবে। বিভিন্ন উপলক্ষে দামি উপহার চাইবে। অফিসে আপনার ব্যস্ততার কোনো মূল্য তার কাছে নেই। ‘তোমাকে নিয়ে ভালো থাকার জন্যই তো এত কষ্ট করছি’—আপনার এমন কথাও তার কাছে অর্থহীন। সাবধান, এমন ‘গুণ’সম্পন্ন মেয়েরা স্বার্থসিদ্ধি হলেই আপনার কাছ থেকে সটকে পড়বে।
বন্ধুর সাবেক প্রেমিকা
বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে মর্যাদা দিন। আপনার কাছের বন্ধুর সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কে জড়াবেন না। এ ধরনের সম্পর্কে জড়ালে সব বন্ধুদের কাছেই আপনি হাস্যরসের পাত্র হবেন। এর পরও যদি বন্ধুর সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়েই ফেলেন, সেটা কতটুকু মধুর হবে তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যায়।

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩


নারীরা কর্মক্ষেত্র বা অন্যান্য কাজে প্রতিনিয়ত যখন ঘরের বাইরে কাটান, তখন পিরিয়ডকালীন সময়গুলোতে তাদের প্রধান সঙ্গী হয়ে ওঠে স্যানিটারি ন্যাপকিন। কিন্তু এই স্যানিটারি ন্যাপকিনই হতে পারে মৃত্যুর কারণও!
বিশ্বব্যাপী ৭৫% নারীই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যৌনাঙ্গে চুলকানি, র‍্যাশ ও ব্যথা বোধ করেন আর অধিকাংশই হয়ে থাকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের কারণে। কেননা এগুলোতে বাতাস চলাচলের বা জীবানুমুক্ত করার উপায় থাকে না বলে এটি স্বাস্থ্যের জন্যে ভয়াবহ ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এ থেকে হতে পারে মূত্রথলি বা জরায়ূর ক্যান্সারও!

আসুন জেনে নেয়া যাক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ হতে স্যানিটারি ন্যাপকিনের স্বাস্থ্যঝুঁকিঃ

    ১) এই ন্যাপকিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয় dioxin নামক কেমিকেল, US Environmental Protection Agency এর গবেষণা মতে যা সরাসরি ক্যান্সারের জন্যে দায়ী এবং জরায়ুর নানা ধরনের সংক্রমণের জন্যেও।

    ২) এছাড়াও ১৯৯৬ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, এই ডায়োক্সিন সন্তাণ ধারণ ক্ষমতা ও জরায়ুর নানা ধরনের রোগের পেছনেও দায়ী। ছোট মাছ বা প্রানীকে সরাসরি ৩৮ পিকিউডি ডায়োক্সিন প্রয়োগ করলেই সেটি মারা যাবে। কিন্তু প্রতিটি স্যানিটারি ন্যাপকিনে ডায়োক্সিন থাকে ৪০০ পিপিটি।

    ৩) এতে জীবানুনাশক নেই, তাই এটি সহজেই হাতের ছোঁয়া বা প্রস্তুতকালীন সময়ে ব্যাক্টেরিয়া আক্রান্ত হতে পারে। ১৮৭ সালের একটি গবেষণায় একটি প্যাডেই ১১০০ জীবানু পাওয়া দিয়েছিল। যা আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মানের চেয়ে ১০ গুণ বেশি।

    ৪) দীর্ঘ সময় ধরে সুরক্ষা দেয় যে ন্যাপকিন গুলো, সেগুলো রক্তকে জেলে পরিণত করে ফেলে। কিন্তু ৫ ঘন্টা পরেই সেখানে ফাঙ্গাস জন্মাতে শুরু করে। আর ত্বকের সংস্পর্শে এসে নানা ধরনের জরায়ুর সংক্রমণ, লাল র‍্যাশ সহ চুলকানী হতে পারে।

    ৫) প্যাডের নিচে থাকা প্লাস্টিকের কারণে রক্ত যেমন বাইরে বের হতে পারে না, তেমনি বাতাস চলাচলেও বাধা পড়ে। ফলে স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় সহজেই ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয় ও এ থেকে সংক্রমণ হতে পারে।

    ৬) প্রস্তুত প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সময়ে নানা কেমিক্যাল ওয়াশের প্রয়োজন হয়। এর ফলে কিছু কেমিকেল রয়েই যায়। যা ত্বকের সংস্পর্শে এলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

অবশ্যই করনীয়ঃ

যে কোম্পানীর ন্যাপকিনই ব্যবহার করুণ না কেন, চেষ্টা করুন, তা দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করার। তুলোর তৈরি ন্যাপকিন বেছে নিন ও ৫ ঘন্টা পর পর বদলে নিন। সুস্থ থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন। সূত্র : ইন্টারনেট