এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১২

"নিঃশব্দ,তোমাকে"
(আত্নজীবনী)
 
মানুষ হিসেবে আমি একটা রঙচটা ভাঙ্গা দেয়াল,একটা আহত পাখির ন্যায় চলমান আমার জীবন।।জীবনে আশার আলো আছে,তবে সে আলো আমার জীবনের অন্ধকার ঢেকে রাখতে পারে নি।।অসংখ্য কষ্টের স্পর্শ আমার চারপাশ জুড়ে,তবুও কেন জানি মনে হয় সবকিছুর মাঝেই অসংখ্য ভালো লাগা ছড়ানো।।ভুলের সংখ্যা অনেক,সত্য কে সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা।।অসংখ্য মানুষ ছড়িয়ে আমার জীবন,তবুও এক অপূর্ণতা ডুবে মন।।একটি জিনিস কখনো পাই নি,যেটা আমার সবকিছুর আড়ালে সবসময় থেকেছে।।
...

মানুষ হিসেবে আমি অদ্ভুত,এখন পর্যন্ত নিজেকেই চিনতে পারি নি।।অসংখ্য মানুষকে ভালোবেসেছি, অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি,তবু এমন কাউকে পাই নি যাকে সত্যিকার বন্ধু বলে জড়িয়ে ধরে রাখা যায়।।

যার জীবনটা যেখানে দিনের আকাশ আর রাতের অন্ধকারের মাঝেই আটকে থাকে,
সম্পর্কের নেটওয়ার্ক যেখান থেকে বিচ্ছিন্ন,নিশ্চুপ এবং নিঃশব্দ,

যেখানে মানুষ বলতে সেই ভাঙ্গা দেয়ালের একা বসবাস।।চারপাশে সমুদ্র মাঝে খানিকতা জমি,দাড়িঁয়ে আছি পরিস্কার জলে জন্য,শত প্রতীক্ষা বৃষ্টি নামবে,বৃষ্টিতে নিজের অশ্রজলে ভিজবো।।বৃষ্টির নীলিমায় রাঙাবে আকাশ,আর আমি চেয়ে দেখবো,সেই সৌন্দর্য।।

চারপাশে প্রচুর জল,তবুও পানীয় জল নেই।।
ঠিক তেমনই,অসংখ্য ভালোবাসা ছড়ানো পৃথিবীতে আমি বিশুদ্ধ ভালোবাসা খুজেঁ চলেছি।।

বৃষ্টি পড়ছে,অঝোরে।।
বৃষ্টিতে আমি ভিজেছি,একা নিঃশব্দে,নীরবে।। co......................
আরো দেখুন

বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১২


অনেকদিন পর
বৃষ্টিতে ভিজলাম।।
তবে স্বেচ্ছায়
নয়,অনিচ্ছায়।।
আমি চাইছিলাম
...
না বৃষ্টি আমাকে ভিজিয়ে দিক!

বৃষ্টির ফোটাঁয় সিক্ত
হই আমি।তবুও
ভিজলাম।।খুব
মনে হচ্ছিলো তোমার
কথা,একসাথে ভিজলে কি মজাই
না হতো! সেই উপায়
কি আছে??
তুমি বৃষ্টিতে ভিজতে ভয়
পাও!!
ঠান্ডা লেগে যায়
বুঝি।।
তোমার
বোকা বোকা কথায়
হাসতাম আমি,তখন
তুমি রেগে যেতে।।
বলতে,দেখো রেগে যাচ্ছি কিন্তু
আমি!

একটু
ভিজলে কি বা হয়,এভাবে আমার
অনুরোধ,
হাজারো মিনতি।।
শেষ পর্যন্ত
ভিজতে রাজি হলে তুমি।।
কিন্তু তখন
তো বৃষ্টি থেমে একেবারে সূর্যের
উদয়।।কিছুটা রাগ
হচ্ছিলো,তবে ওর
বাকাঁ ঠোটেঁর
হাসি টা রাগ
একবারে জল
করে দিলো।।
আর একবার রিক্সায়
বসে বসে কাকভেজা টাইপ
ভিজলাম বৃষ্টিতে।।
ভালো করে বৃষ্টিতে ভিজতে রিক্সা থেকে নেমে পড়লাম।।
বৃষ্টিতে ভেজা তো হলোই
না,বরং কাদা মাখিয়ে দিয়ে গেলো একটা গাড়ি।।
কাদায়
মাখামাখি হলো আমাদের
জামা কাপড়।।
সেই
অবস্থায় বাড়ি ফেরার
গল্পটা আর নাই
বললাম।।
বৃষ্টিকে আমরা দুজন
এতো ভালোবাসি,
তবুও
কেনো জানি একসাথে বৃষ্টিতে ভেজা হয়
নি কখনো।।
তুমি না থাকলে বৃষ্টিতে ভিজা অর্থহীন,এই
ভেবে সবসময়
এড়িয়ে গিয়েছি।।
কিন্তু আজ হঠাত্
বৃষ্টিটা আমাকে পাগলের
মতো ভিজিয়ে দিলো।।

ভেজা কাকের
উপমা আমি তখন
তোমায়
ভেবে কবিতা রচনা করেছি।।
আকাশের
দিকে তাকিয়ে বার বার
বলেছি,
আমার
আদিবা কেও
এভাবে ভিজিয়ে দাও
ঈশ্বর!! যেই সুখ
অনুভূতি আমায়
দিচ্ছো,
সেটা ও যেন
অনুভব করে।।

বৃষ্টি তো তোমারই
একপ্রকার
ভালোবাসা,এই
ভালোবাসায়
তুমি তাকেও
জড়িয়ে নাও,যেভাবে আমাকে ধরেছো........

  col............


আমি তোমাকে কোনোদিন দেখিনি কিন্তু মনের ভিতরে তোমার একটা ছবি একে ফেলেছিলাম।
আমার ভালবাসার মানুষ যতই থাকুক না কেন যেদিন তোমাকে আমার সামনে পাবো ঠিক সেই মুহূর্ত থেকে তুমিই হবে আমার সবচেয়ে আদরের।
আমি না দেখেই সত্যি তোমাকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি কারন আমি জানি তুমি হবে ঠিক তোমার বাবার মত।
মটু,গুল্লু... :')
অনেক আদর আদর...ঠিক যেন একটা আদরের বস্তা!!!
...
তো কি হয়েছে তোমার কোন অস্তিত্ব নেই।
তুমিই তো আমার স্বপ্ন।
তোমাকে আর তোমার বাবা কে নিয়ে আমি অনেক স্বপ্ন সাজিয়েছি বাচ্চা।
আমার একটা বাচ্চা না।
দুই দুইটা বাচ্চা।
একটা বড় বাচ্চা,যাকে তুমি বাবা বলে ডাকবে আর আমার ছোট্ট বাচ্চা হলে তুমি।
দুই জন কে আমি নিজের হাতে খাইয়ে দিব।
মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পারাবো।
অনেক স্বপ্ন আমার তোমাকে নিয়ে।
তো কি হয়েছে যে তোমার কোন অস্তিত্ব নেই।
তোমাকে যখন আমি আমার ভিতরে অনুভব করি তখন তোমার বাবার মুখটা আমার সামনে ভেসে উঠে।
তোমাকে যখন গুটি গুটি পায়ে হাটতে দেখবো তোমার বাবার ছেলে বেলা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠবে।
সব কিছুর মাঝে আমি তোমার বাবা কে খুঁজে ফিরি কেন জানো?
কারন আমি আমার হৃদয় টা উজার করে তোমার বাবা কে ভালবাসি।
আর তোমাকে নিয়ে আমি শুধু স্বপ্ন সাজাই।
জানি,তোমার কোন অস্তিত্ব নেই।
কি হয়েছে তাতে?
বাচ্চা...তুমি কি জানো কেন তোমার কোন অস্তিত্ব নেই?
জানো না...
শোনো তাহলে...কারন তোমার কোন বাবা নেই।
কেন তোমার বাবা নেই জানো?
কারন তোমার মা এর ভাগ্যে তোমার বাবা ছিল না।
তোমার মা আর বাবার কোন দিন বিয়ে হয়নি।
তারা শুধু একজন আর একজন কে ভালোবাসতো।
এক সময় তোমার বাবা নামক মানুসটা তোমার মা কে ছেড়ে চলে যায় তাই তোমার অস্তিত্ব কোনদিন আমি আমার ভেতর অনুভব করতে পারিনি।
শুধু স্বপ্ন দেখেছিলাম একটা সুন্দর জীবনের।
যা কোনদিন পূরণ হবার ছিল না।
কিন্তু তুমি সারাজীবন বেচে থাকবে আমার ভালবাসায়।
আমার হৃদয়ে।
আমার অস্তিত্তে... :')

collected
আরো দেখুন

আর কখনো কিছু বলবনা
মনেতেই রেখে দেবো,
যখন পারবনা তোমাকে ঠিক চেয়ে নিব।
অচেনা তুমি কেনো তোমাকে কিভাবে চিনি
এই অনুভবে তোমাকে কিভাবে ফিড়িয়ে আনি।
...
না না কাঁদবনা আর তো স্বান্তনা
না বলেও সব বলা হয়ে যাবে।
মনে মনে কথা, কথার আকুলতা
নিরবতাটুকু প্রেম হয়ে রবে।
এসময় তোমায় ফিড়ে চায়
কখনও পেয়ে যাবে
এভাবে স্বভাবে তুমি যে রয়ে যাবে।।

বেঁধেছি বাধনে মনেরই কারনে
বুঝিছি মনে নেই তোমার
তাই নেই অভিযোগ নেই সেই অনুযোগ,
ভুলে গেছি তোমার উপহার।
সেই তুমি, তুমি নেই
করিনা স্মৃতি চারন
সেই আমি, আমি নেই
মনে নেই যা ছিল বাড়ন।
না না কাঁদবনা আর তো স্বান্তনা
না বলেও সব বলা হয়ে যাবে।
মনে মনে কথা, কথার আকুলতা
নিরবতাটুকু প্রেম হয়ে রবে।
এসময় তোমায় ফিড়ে চায়
কখনও পেয়ে যাবে
এভাবে স্বভাবে তুমি যে রয়ে যাবে।।

তোমারি এ আপন মানবে তো ফাগুন
ভুলসব হতে পারে ঘুমে
চোখে যা দেখেছি মিথ্যে নয় কি
সত্য টুকু নিয়েই জীবন
বোঝনা কোন কথা
কোন বাধা নেই যে তোমার।
বোঝনা কোন ব্যাথা
শব্দহীন আমার থাকা।
না না বাঁধবনা আর তো
সাধবনা না বলেও সব,
সব বলা হয়ে যাবে
মনে মনে কথা, কথার আকুলতা
নিরবতাটুকু প্রেম হয়ে রবে।
এসময় তোমায় ফিড়ে চায়
কখনও পেয়ে যাবে
এভাবে স্বভাবে তুমি যে রয়ে যাবে।।
বাঁধবনা আর তো সাধবনা না বলেও সব,
সব বলা হয়ে যাবে...
হুম... যাবে...

  collected
আরো দেখুন

শুধু তোমায় ভেবে ভেবে,
কত দিন রাত গেছে বয়ে!
তুমি এসেই চলে গেছো,
শুধু ভোরের স্বপ্ন হয়ে!

...
তুমি না লেখা কোনো কবিতায়
যেন অনেক বলা কথা,
তুমি দগ্ধ দিনের পরে
নীল রাতের নীরবতা!

তুমি না পাওয়া যন্ত্রণা
আজ আমার গেছে সয়ে,
তুমি এসেই চলে গেছো,
শুধু ভোরের স্বপ্ন হয়ে!

তুমি বৃষ্টি থামার পরে
ভেজা সুখের রিনিরিন,
তুমি চৈত্র শেষের ঝড়ে
যেন দমকা হাওয়ার দিন!

তুমি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি,
আমি বেড়াই বুকে নিয়ে!
তুমি এসেই চলে গেছো,
শুধু ভোরের স্বপ্ন হয়ে!

শুধু তোমায় ভেবে ভেবে,
কত দিন রাত গেছে বয়ে!
তুমি এসেই চলে গেছো,
শুধু ভোরের স্বপ্ন হয়ে!

শুধু তোমায় ভেবে ভেবে!
আরো দেখুন

বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১২


তোমার জন্য আমি আর কাঁদি না.....
কাঁদলেও চোখের পানি ঝরে না.....
চোখের পানি ঝরলেও কষ্ট হয়না.....
কষ্ট হলেও আমি আর তোমাকে ভালবাসি না.....
ভালবাসলেও তোমাকে বলবো না.....
...
জানি, বললেও তুমি শুনবেনা.....
শুনলেও, তোমার কিছুই আসে যায় না.....
কারণ আমি আজ নিঃস্ব.....
বড়ই নিঃস্ব.....।।
আরো দেখুন

যদি কভু ভোরের আকাশ শূন্য দেখো
আমায় ডেকো
আমি ভোরের তারা হয়ে জ্বলবো অনন্তকাল

যদি কখনো জীবনের বাক নেয়া মোড়ে
...
খরকুটার মত থমকে যাও
আমায় ডেকো ...
আমি প্লবন হয়ে তোমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবো

যদি তোমার অপুর্ন কোনো স্বপ্ন থাকে
আমায় ডেকো
তোমার আকাশে সাদা মেঘের ভেলার মত স্বপ্নে স্বপ্নে পুর্ন করে দিবো

যদি কখনো আমাকে অনুভব করতে ইচ্ছে করে
আমায় ডেকো
আমি তোমার আঙিনার হাসনাহেনার ঘ্রান হয়ে তোমায় জরিয়ে নিবো

যদি কখনো স্নোফল তোমার ভালো লাগে
আমায় ডেকো
আমি পুরো দুনিয়ায় তুষার ঝড় হয়ে ঝরে যাবো

যদি অবিরাম ঝর্নাধারা তোমার ভালো লাগে
আমায় ডেকো...
আমি নায়েগ্রার অবিরাম ঝর্না হয়ে অনাদিল ঝরবো

যদি সাগর পারে পা ভিজাতে ইচ্ছে করে
তবে পাড়েই দাড়িয়ে থেকে
আমায় ডেকো
আমি ঢেউ হয়ে এসে তোমার নুপুর ভিজিয়ে দিয়ে যাবো ।

যদি তোমার খেয়ালি মনে শেষ বিকেলের রোঁদে
হাড়িয়ে যেতে ইচ্ছে করে
তবুও আমায় ডেকো ...,
শীতলক্ষ্যার পাড়ে শরতের কাশবন হয়ে তোমাকে লুকিয়ে নিবো

যদি জোনাকি হয়ে কখনো আমাকে
আলো দিতে স্বাদ জাগে
আমায় বলো ...,
আমি প্রান্তর জুড়ে রাতের হিজল বন হয়ে অপেক্ষায় রবো
আরো দেখুন

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১২


আমার রাত কখনো শেষ হয় না। এ যেন এক অন্তহীন রাত ।
নির্ঘুম আমি জেগে থাকি একা । প্রকৃতির নিয়মে যখন ভোর হয় তখনো আমাকে জড়িয়ে থাকে এই অন্তহীন রাতের নিকষ কালো আধার ।
যখন সবাই রাত পোহালে নতুন এক আশা নিয়ে নতুন একটা দিন শুরুর উচ্ছাসে মাতোয়ারা, আমি তখনো অমাবস্যার মতো কঠিন কালো কষ্টের জালে আপাদ মস্তক জড়িয়ে থাকি । আমার এই কষ্টের রাত আর শেষ হবে না কোনোদিন । তারপরেও হাড়িয়ে যাই হাজার মানুষের ভীরে, অথচ এতো মানুষের ভীরেও কি ভীষণ নিঃসঙ্গ আমি । অন্তহীন পথে হেটে চলেছি ।
বুকের ভেতরটা কষ্টের আগুনে জ্বলে পুড়ে ছারখার, আর কতো পুড়বে আমি নিজেও জানি না । তোমাকে হারানোর কষ্ট আমার ভেতরে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মতো বিরামহীন তপ্ত লাভা উদ্গীরন করে চলেছে, আর আমার ভেতরেই তা আটকে থাকছে । কখনো কি বুঝবে কতখানি যন্ত্রণা আমার ভেতরে । বুঝতে পারবে কি আমার অনুভুতির গভীরতা, আমার ভালবাসার তীব্রতা । হয়তো পেরেছ, কিন্তু অবহেলা করেছ অবলীলায় ।
তারপরেও ভাবলেনা একবার যে, কতটা তীব্র অভিমান হলে একজন মানুষ এভাবে জীবনের প্রতি উদাসীন হয়ে পরে ?
...
তিলে তিলে নিজেকে কষ্ট দিয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলে । বলেছিলে দোষ আমার । আমি মেনে নিয়েছি ।
কি হবে আমার ছেলেমানুষি অভিমান তোমার কাছে প্রকাশ করে ।
তুমিতো বুঝবে না । তারচেয়ে এই বরং ভাল, আমি আমার অভিমান আর কষ্ট নিয়ে কাটিয়ে দেই অন্তহীন নির্ঘুম রাত একাকী, তুমি সুখি হও, আমি যে পরিমান কষ্ট পেয়েছি সৃষ্টিকর্তা যেন তারচেয়ে হাজার গুন বেশী সুখ দিয়ে তোমার জীবন পরিপূর্ণ করে দেন । আমি কখনো কোন দাবী নিয়ে তোমার সামনে গিয়ে দাঁড়াবো না । একদিন বিদায় নেব, আমি নামক এই রক্ত মাংসের জড়পিণ্ডটা নিশ্ছিন্ন হয়ে যাবে পৃথিবীর বুক থেকে ।
কেউ জানবে না ।
কারো কোন ক্ষতি হবে না । তুমিও জানবে না, আর যদি জানতে পার তাহলে আমাকে শেষ বিদায় জানাতে এসোনা । ভাল থেকো তুমি ।
আরো দেখুন colllected

অবাক চাঁদের আলোয় দেখ,
ভেসে যায় আমাদের পৃথিবী__
আড়াল হতে দেখেছি তোমার
নিষ্পাপ মুখখানি...

...
ডুবেছি আমি তোমার চোখের
অনন্ত মায়ায়,
বুঝিনি কভু সেই মায়া তো
আমার তরে নয়...

ভুলগুলো জমিয়ে রেখে-
বুকের মণিকোঠায়,
আপন মনের আড়াল থেকে,
ভালবাসব তোমায়।
ভালবাসব তোমায়।।

তোমার চিরচেনা পথের
ঐ সীমা ছাড়িয়ে,
এই প্রেম বুকে ধরে আমি-
হয়ত, যাব হারিয়ে...

চোখের গভীরে তবু মিছে-
ইচ্ছে জড়িয়ে,
একবার, শুধু একটিবার
হাতটা দাও বাড়িয়ে...

ডাকবে না তুমি আমায়,
জানি কোনও দিন!
তবু প্রার্থনা তোমার জন্য
হবেনা মলিন।
হবেনা মলিন...

ডুবেছি আমি তোমার চোখের
অনন্ত মায়ায়,
বুঝিনি কভু সেই মায়া তো
আমার তরে নয়।

ভুলগুলো জমিয়ে রেখে-
বুকের মণিকোঠায়,
আপন মনের আড়াল থেকে,
ভালবাসব তোমায়।
ভালবাসব তোমায়।।

হাজার বছর এমনি করে
আকাশের চাদটা রইবে,
আমার পাশে ক্লান্ত ছায়া
আজীবন রয়ে যাবে!

তবু, এ' অসহায় আমি-
ভালবাসব তোমাকে...
শুধু যে তোমাকে,
ভালবাসব,
তোমাকে...  collected
আরো দেখুন
হতাশা... সীমাহীন এক হতাশা আমাকে গ্রাস করে নিয়েছে ।
কিছুতেই এই হতাশার সাগর থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না আমি । নিজের প্রতি খেয়াল নেই, নাওয়া খাওয়ার কোনও ঠিক ঠিকানা নেই, কাজে মনোযোগ নেই, দুনিয়াদারীর খোজ নেই । এভাবে আত্মহননের পথে নিজেকে ঠেলে দেয়া মহাপাপ, আমি জানি । আমি জানি এটা অর্থহীন ।
কিন্তু বিশ্বাস করো, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি তুমি হীনা এই জীবনটাকে নতুন করে সাজিয়ে নেবার । অনেক ভাবে মনকে প্রবোধ দেয়ার চেষ্টা করেছি যে, এখানেই সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি । সামনে হয়তো আরো ভাল কিছু আমার জন্য অপেক্ষা করছে । ভেবেছিলাম আমি অনেক সাহসী, ভেবেছিলাম, তুমি চলে গেছো তাতে কি, আমি ঠিকই সব সামলে নিতে পারব ।
কিন্তু দেখো, আজ এতদিন পরেও তোমাকে না পাওয়ার কষ্ট আমাকে কিভাবে নিঃশেষ করছে তিলে তিলে । নিজেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার মতো এক বিন্দু মনোবল আমার ভিতরে অবশিষ্ট নেই । আমি যতো চেষ্টা করি ততো আরো সব জট পাকিয়ে যাচ্ছে । আমি জানি না আমি কি করব ?
আমি জানি না যে যন্ত্রণার মাঝে আমি বেচে আছি তা থেকে কখনো নিজেকে বের করে আনতে পারব কিনা ???
আজ মনটা ভীষণ খারাপ । এক সর্বগ্রাসী বিষণ্ণতার সাগরে ডুবে যাচ্ছি আমি । কিছুতেই নিজেকে স্থির রাখতে পারছি না । অস্থিরতা ... শুধুই অস্থিরতা ... চারপাশে কি ভয়ানক আধার ... তার মাঝেই কতো রকম শব্দ, কোলাহল, আমি কেবল শুনি... কোনটাই বোধগম্যতার সীমা স্পর্শ করেনা ... হাল ছেড়ে দিয়ে বিষণ্ণতার সাগরে ডুবে যাচ্ছি আমি ... তুমি কি টের পাও আমার এই কষ্ট ???
স্বপ্নগুলো আজ বর্ণহীন । যেন এক অর্থহীন বাস্তবতার সমাপ্তি ।
আমি আজ এক ক্লান্ত পথিক । হিমশীতল আলোহীন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে চলেছি অনন্ত কাল ধরে । কবে শেষ হবে এই অন্তহীন পথ চলা । আমার কাছে জোছনা মানে মৃত্যুর ফ্যাকাসে রঙ । হয়তো বা উদ্বেল হয়ে থাকি সেই বহু প্রত্যাশিত মহাপ্রয়াণের মুহূর্তটিকে দুবাহুর আলিঙ্গনে জড়িয়ে নেবার জন্য । প্রেম আমার কাছে দুঃস্বপ্নের নির্ঘুম রাত, যেন অনন্ত কাল আমি এই দুঃস্বপ্নের মাঝেই ভেসে আছি । দিনের আলোয় হাজার মানুষের ভিড়ে আমি এক অশরীরী প্রেতাত্মা । আজ আমি ভীষণ নিঃসঙ্গ ।
এই ভয়ঙ্কর একাকীত্ব আঁকরে ধরে তবুও আমি অপেক্ষা করি - কিসের জন্য - আমি জানি না । হয়তো তোমার জন্য । অথবা হয়তো ওপারে যাবার খেয়া নৌকার জন্য ।

কেন জানি না আজ তোমাকে আজ ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে ...

একদিন খুঁজেছিনু যারে-
কবি- জীবনানন্দ দাশ

একদিন খুঁজেছিনু যারে
বকের পাখার ভিড়ে বাদলের গোধূলি-আঁধারে,
...
মালতীলতার বনে, কদমের তলে,
নিঝুম ঘুমের ঘাটে-কেয়াফুল, শেফালীর দলে!
-যাহারে খুজিয়াছিনু মাঠে মাঠে শরতের ভোরে
হেমন্তের হিম ঘাসে যাহারে খুজিয়াছিনু ঝরঝর
কামিনীর ব্যথার শিয়রে
যার লাগি ছুটে গেছি নির্দয় মসুদ চীনা তাতারের দলে,
আর্ত কোলাহলে
তুলিয়াছি দিকে দিকে বাধা বিঘ্ন ভয়-
আজ মনে হয়
পৃথিবীর সাঁজদীপে তার হাতে কোনোদিন জ্বলে নাই শিখা
-শুধু শেষ নিশীথের ছায়া-কুহেলিকা
শুধু মেরু-আকাশের নীহারিকা, তারা
দিয়ে যায় যেন সেই পলাতকা চকিতার সাড়া!
মাঠে ঘাটে কিশোরীর কাঁকনের রাগিণীতে তার সুর
শোনে নাই কেউ
গাগরীর কোলে তার উত্থলিয়া ওঠে নাই আমাদের
গাঙিনীর ঢেউ!
নামে নাই সাবধানী পাড়াগাঁর বাঁকা পথের চুপে চুপে
ঘোমটার ঘুমটুকু চুমি!

মনে হয় শুধু আমি, আর শুধু তুমি
আর ঐ আকাশের পউষ-নীরবতা
রাত্রির নির্জনযাত্রী তারকার কানে কানে কত কাল
কহিয়াছি আধো আধো কথা!
আজ বুঝি ভুলে গেছে প্রিয়া!
পাতাঝরা আঁধারের মুসাফের-হিয়া
একদিন ছিল তব গোধূলির সহচর, ভুলে গেছ তুমি!
এ মাটির ছলনার সুরাপাত্র অনিবার চুমি
আজ মোর বুকে বাজে শুধু খেদ, শুধু অবসাদ!
মাহুয়ার, ধুতুরার স্বাদ
জীবনের পেয়ালায় ফোঁটা ফোঁটা ধরি
দুরন্ত শোণিতে মোর বারবার নিয়েছি যে ভরি!
মসজেদ-সরাই-শরাব
ফুরায় না তৃষা মোর, জুড়ায় না কলেজার তাপ!
দিকে দিকে ভাদরের ভিজা মাঠ-আলেয়ার শিখা!
পদে পদে নাচে ফণা,
পথে পথে কালো যবণিকা!
কাতর ক্রন্দন,-
কামনার কবর-বন্ধন!
কাফনের অভিযান, অঙ্গার সমাধি!
মৃত্যুর সুমেরু সিন্ধু অন্ধকারে বারবার উঠিতেছে কাঁদি!
মর্‌মর্‌ কেঁদে ওঠে ঝরাপাতাভরা ভোররাতের পবন-
আধো আঁধারের দেশে
বারবার আসে ভেসে
কার সুর!-
কোন্‌ সুদুরের তরে হৃদয়ের প্রেতপুরে ডাকিনীর মতো
মোর কেঁদে মরে মন
আরো দেখুন

কিসের প্রতীক্ষা আমার,
তুমি চলে গেছো সেই কবে,
ফিরবে না আর কোনোদিন,
তবুও কিসের প্রতীক্ষা আমার ?
দিনগুলো পার হয়ে যায় একেলা, আশাহীন ।
...
তোমাকে ভুলে থাকতে চাই বলে নিজেকে ব্যস্ত রাখি কাজের মাঝে, বিশ্রাম হীন ।
তুমি হীন জীবনের কষ্ট ভুলে থাকার জন্য,
নিজের উপর চাপিয়ে দিয়েছি কর্মব্যস্ততার পাহাড় সমান বোঝা ।
তারপরেও কি ভুলতে পেরেছি তোমাকে ?
কেন জীবনটাকে এখনো অর্থহীন মনে হয় ?
কেন তোমার স্মৃতি কাদায় আমাকে প্রতিটি মুহূর্ত ?
কেন তোমার উপর অভিমান করে
আজো আমি বয়ে চলেছি কষ্টকর এক জীবনের বোঝা ?
গভীর রাতে ফিরে আসি শূন্য ঘরে, কাটিয়ে দেই নির্ঘুম রাত ।
নিকষ কালো রাতের নিঃসঙ্গতা আমার উপর হামলে পরে হিংস্র এক জন্তুর মতো ।
তার ধারালো থাবায় ক্ষতবিক্ষত হতে থাকি আমি ।
যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে উঠি, কেউ শুনতে পায়না আমার সেই চীৎকার ।
নিজের ভেতরেই যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাই আমি, কেউ দেখতে পায় না ।
তবুও প্রতীক্ষা করি রাত পোহাবার, প্রতীক্ষা করি নতুন এক ভোরের ।
যদিও সেই ভোর আমার জন্য নতুন কোন স্বপ্ন বা আশার বারতা বয়ে আনে না ।
শুরু করি আরেকটি হতাশা পূর্ণ নিরানন্দ দিন ।
তবুও প্রতীক্ষা করি দিনের শেষে নিঃসঙ্গ রাতের সেই হিংস্র দানবের ধারালো নখরের নিচে নিজেকে সপে দেয়ার জন্য ।
তবুও ভুলতে পারিনা তোমাকে, কারণ তোমার চলে যাওয়ার কষ্ট যে এর চেয়েও হাজার গুন বেশী ।
আরো দেখুন

শনিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১২


তোমার হাজার বেস্ততা , কোলাহল এর মাঝে একটা মিনিট সময় দিবে কি ?
শুধুই আমাকে ,
আমার চোখে চোখ রেখে চেয়ে রবে ,
হাত দুটো তোমার হাতে বন্দি থাকবে ,
চোখে চোখে কথা হবে ,
...
মনের সাথে মনের কথা হবে ,

দিবে কি ??
শুধু একটা মিনিট ,
তোমাকে বুঝাবার বৃথা চেষ্টা করবো আরও একবার , যে ,
কত টা ভালবাসি তোমায় ♥ ♥

হবে কি কিছু টা একান্ত সময়??
আরো দেখুন

আমি ফিরতে চাই...

যেখানে জোছনা পাবো,
অসংখ্য তারার মাঝে,
অথবা নীকশ আধাঁরে,
...
যেখানে কেউ খুজেঁ পাবে না।।
সেই মায়ার জালে,
যেখানে ফেরার পথ রুদ্ধ।।

সেই পুরোনো স্মৃতিতে,

যেখানে আমার প্রিয় মানুষের অবস্থান।।
সেই ভালোবাসার দুয়ারে,
যেখান থেকে ফিরে এসেছি।।
  collected
 
আরো দেখুন

কি পেলাম তোমায় ভালবেসে ?
এক ফোটা জ়ল তোমার চোখে চাই না
এক পৃথিবী আলো থাকুক তোমার পাশে
এক নদী ঢেঊ দিলাম আমি
এক ছোট ভুলে কালো মেঘ আকাশে
...
এক রাতের আধার নিভিয়ে দিয়ে
এক দক্ষিন হাওয়া পরশ নিয়ে
এক সুরে তোমায় হয়ত হয়নি বাধাঁ
এক ছোট ভূলে তুমি গেলে অচিন দেশে......

এক কবির কবিতায় উপমা ছিলে
এক ছবির মাঝে নীল বেদনা হলে
বেদনা তোমায় ছোবে চাই না আমি
এক ছোট ভূ্লে তাই হল অবশেষে।

তবু জ়েনে নাও তুমি এক নিঃশ্বাসে
এখনও এক মানুষ তোমায় ভালবাসে...

[ সংগৃহীত ]
আরো দেখুন

তাকে তুমি কোনও দিনই হারাবেনা ,
যে তোমার

তাকে তুমি কোনও দিনই কাছে পাবেনা ,
যে তোমার ছিল না
...

তাকে তুমি কোনও দিনই ধরে রাখতে পারবেনা ,
যে তোমার কাছে থাকতে চায়না

হোক সেটা কান্নার বিনিময়ে ,বিশ্বাস এর বিনিময়ে ,সত্তের বিনিময়ে ,নিষ্ঠার বিনিময়ে , মিথ্যার বিনিময়ে এমন কি নিজের জানের বিনিময়ে ও না !!
আরো দেখুন

পৃথিবীতে তিনটি কষ্টকর মুহূর্ত,

সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি যখন
অবহেলা করে

...
ভালোবাসার মানুষটি মোটেও
যত্ন নেয় না

অতপর সেই মানুষটি নিমিষেই হারিয়ে যায় যার উপর
দিয়ে যায় শুধুই
সে বুঝে দুঃখ কি, অন্য কারো বোঝার
ক্ষমতা নেই ।
আরো দেখুন

মনটা খুব বিষন্ন আজ, মনের মধ্যে খুব হাহাকার
করছে।। কেন জানি মনে হচ্ছে কি যেন
হারিয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে।।

সেদিনের
...
ভালো লাগা গুলো আগের মত স্পর্শ
করে না মনকে।।মনটা আজ ভীষণ একা।।

আকাশ টাকে আজ খুব বিষন্ন লাগছে।। অনেক
খুজেঁও একটা তারা পেলাম না, চাদঁ তো দূরের
কথা।। অনেকদিন ধরে বৃষ্টির ছোয়াঁ পাচ্ছি না।।


ভুলে গেছি কয়েকদিন আগেও
বৃষ্টি নেমেছে,তবুও মনে হচ্ছে অনন্তকাল
ধরে বৃষ্টি হয় নি।। জীবনে চলার
পথে হারিয়েছি অনেক, যাদেরকে পেয়েছি তাদের
থেকে দূরে সরে গিয়েছি, একা পথ চলবো বলে।।


কিন্তু যখন একা থাকি, খুব ইচ্ছে হয় সবাই আমার
পাশে থাকুক, খুব
কাছে থেকে ভালোবাসুক, যতটা আমি চেয়েছি তার থেকে অনেক বেশী।। collected
আরো দেখুন

একটি ছেলে একটি মেয়েকে খুব ভালবাসে কিন্তু
কিছুতে বলতে পারছে না। তারা ২ জন খুব ভাল বন্ধু।
একদিন রাতে ছেলেটা ভাবল যে কি করেপ্রস্তাব
দেয়া যায়। অনেক ভাবার পর হঠাত্ তার
মাথাতে একটা বুদ্ধি আসল। পরের দিন ছেলেটা ওই
...
মেয়েটার সাথে দেখা করল এবং বললঃ
ছেলেঃ তুমি কিছুক্ষণের জন্য চোখটা বন্ধ করবে?
মেয়েঃ হঠাত্ করে চোখ বন্ধ করবো কেনো!
ছেলেঃ দরকার আছে। চোখ বন্ধ করলে বুঝতে পারবে।
মেয়েঃ ঠিক আছে। চোখ বন্ধ করছি!
ছেলেঃ তুমি যে চোখ বন্ধ করে রেখেছএ
অবস্থাতে তোমার কেমন লাগছে?
মেয়েঃ খুব খারাপ! চারদিকে শুধু অন্ধকার!
মনে হচ্ছে যেন আমি খুব একাকী!
ছেলে মেয়েটির কানের কাছে ফিসফিস
করে বললঃ তুমি ছাড়া আমার জীবন এমনই অন্ধকার! ♥
পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক দিয়ে পেজ এ একটিভ collected
থাকুন
আরো দেখুন

শুক্রবার, ২৪ আগস্ট, ২০১২

আমি জানিনা ভালবাসার মানে কি

শুধু জানি, এ মন ব্যাকুল হয়ে থাকে তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখার জন্য
এ চোখ জোড়া চেয়ে থাকে অপলক এক নজর তোমায় দেখবে বলে
এ কান যেন অস্থির, কখন শুনবে তোমার মায়া ভরা ডাক
কখন আসবে তুমি, কখন বলব '' তোমায় মিস করছিলাম ভীষণ ''

আমি জানিনা কষ্টের মানে কি ...
শুধু জানি তুমি কষ্ট পেলে আমার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরে
কিছুক্ষন তুমি বেখবর থাকলে এ মন অস্থির হয়ে উঠে
চোখ দুটো এদিক অদিক তোমায় খোঁজা খুজি করে

আমি জানিনা সুখ কাকে বলে ...
শুধু জানি যখন তোমার মুখের হাসি দেখি, চোখ জুড়িয়ে যায়
যখন তুমি আদর করে নাম ধরে ডাকো, মন জুড়িয়ে যায়
যখন আলত করে গাল ছুয়ে দাও , যেন স্বর্গের ছোঁওয়া পাই

আমি জানিনা এর মানেই কি ভালোবাসা কিনা ..?
ভালবাসা অথবা না বাসার গল্প"

আমি তখন একা, একদম একা। নিঃস্ব বলতে পারেন। বাবা-মা মৃত,
কেবল একটা বাড়ী আর সামনে ঘুটঘুটে আঁধার সম্বল।
সান্তনা দিতে আসা লোকগুলো ধীরে ধীরে আসা যাওয়া বন্ধ করলো। দুর্ঘটনাটার সাত দিন বাদে হঠাৎ খেয়াল করলাম, আমি একা, একদম একা।

এরপর এমন কোনো দিক নেই যা দেখনি। এক দুঃসম্পর্কের
চাচা এসে দলিলবাজী করে বাড়ীটা দখল করে নিলেন।
মোটা টাকা ছড়িয়ে ছিলেন চারিদিকে, তাতে সন্দেহ নেই কোনো।
ব্যাংকে কিছু নেই সেটা জানি। আমি কেবল একাদশের ছাত্র, চীরদিন চার দেওয়ালের ভেতর থাকা আর স্কুল-কলেজের বন্ধুহীন
বোকাসোকা ভালোছেলে টাইপ বেকুব। আত্মীয়রা দূরে দূরে সরে থাকেন, এমন একটা কপর্দকহীন আধ- দামড়া ছেলের অভিভাবক কে হতে চায় বলুন?

ওসবে অবশ্য কোনো কষ্ট পাইনি। বাবা-মা মারা গেলে কেঁদেছিলাম,
জানতাম ওঁরা আর ফিরে আসবেন না। ঘর হারিয়ে গিয়ে উঠেছিলাম পরিচিত কয়েকটা ক্লাসমেটের দয়াতে ওদের মেসে। ভাবতেই হাসি পায়, শহরের সব থেকে জাঁকালো বাড়ীটা ছিলো একসময় আমার, এখন আমি টিনের চালার অন্ধকার মত এক খুপচি ঘরে আরো দুজনার সাথে গাদাগাদি করে বাস করি। আগে ঘর আলোতে ভাসিয়ে রাখতাম, এখন বিদ্যুৎ বিলের ভয়ে টিপে টিপে বাতি জ্বালাই। রোজ কম হলেও চারটে মুখোরোচক তরকারীর বদলে একটু ঠান্ডা ভাত আর কোনোমতেমুখে তোলা যায় এমন বিচ্ছিরি শাকপাতা রান্না।

ওরাই টিউশনি জুটিয়ে দেয়। প্রথমে একটা, তার মাস দুয়েক
পরে আরো দুটো। সরকারী কলেজের সুবিধে, পড়ার চাপ কম, নিয়মিত হাজিরা দেই, তবে না দিলেও চলে। একসময় এই জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠি। নিত্যদিনের মতই সহ্য হয়ে যায় সব।

এই সময়টা আমি সবকিছু ভুলে থাকতাম শুধু মিতুর জন্যে।

মিতু, আমার ক্লাস মেট, ছোটোবেলা থেকেই একসাথে বন্ধুত্ব,
প্রাইমারি স্কুলে যাওয়া। আমাদের একদম পাশের বাড়ীটা ছিলো ওদের, সারাদিন এখানেই কাটতো ওর একসময়। বড়
হতে হতে আসাযাওয়া কমে গেলেও, মনের টানটা বেড়ে যায়। একদিন ও বুঝে ফেলে, আমাদের দুজনার প্রতি দুজনার অনুভুতিটাও একই। তখন আমরা হাই স্কুলে। একে অন্যকে স্বীকৃতি দিয়ে ফেলি একদিন, নিজেরা নিজেরা। পরে অবশ্য পরিবারের অন্যরাও টের পেয়েছিলো, তবে অমত ছিলোনা কারো সেটা উনারাও বুঝিয়ে দিতেন তখন। সে বাবা-মা বেঁচে থাকবার সময়কার কথা।

বাবা-মা মারা যাবার পর, আর স্থাবর-অস্থাবর বাকিটুকু
আত্মীয়েরা ছিনিয়ে নেবার পরে আমি চলে এসেছি এই শস্তা এলাকায়। মিতুর সাথে অবশ্য রোজ ক্লাসে দেখা হয়। কথা হয়।
একসাথে বসি মাঠে। তবে আগের মতন ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখাটা আর হয়ে ওঠে না। নিজেদের আলাপ এখন বলতে গেলে পুরোটাই বদলে গেছে। এখন কথা হয় ভালো মার্কস, তারপর ইউনিভার্সিটি এসব নিয়ে। ভালোবাসি শব্দটা আমরা কেউ আর উচ্চারন করি না। আর সযত্নে এড়িয়ে যাই দুজনার কোনো একপতেহ চলবার স্বপ্নটা। তবু আমি ভেতরে ভেতরে খুব চাই, ও সারাজীবন আমার পাশে থাকুক, এক সাথে পথ চলুক।

মিতু একদিন জানতে চেয়েছিলো, এমন বদলে গেলাম কেন। জবাব
কি দিয়েছিলাম ঠিক খেয়াল নেই। যতদূর মনে পড়ে,
ওকে দেখিয়ে দিয়েছিলাম ওর আর আমার বর্তমান সামাজিক
অবস্থানগত ফারাকটা। ও চলে যাবে ভালো কোনো ইউনিতে, আমার ভরসা এই লোকাল কলেজই। ওর বর জুটবে কোটিপতি, আমার তখনো চলবে দু'মুঠো যোগাড়ের সংগ্রাম। মিতুর চীরকাল ইচ্ছে ছিলো আমরা বাইরে কোথাও সেটল করবো। সেটা ওর
পক্ষে সম্ভব, আমার পক্ষে এখন সেটা অবাস্তব কল্পনারও বাইরে। ও
এখোনো সমাজের উঁচু তার মেয়ে, তবে আমি পিছলে পড়ে নেমে এসেছি একদম নীচ তলায়।

শুনে মীতু কিছুই বলেনি সেদিন।

পরদিন ক্লাস শেষে বাসায় ফেরবার আগে, মীতু
একটা চিঠি গুঁজে দিয়েছিলো আমার হাতে। সেখানে অনেক
আবেগী কথা লেখা ছিলো, আমি যেনো এসব আর না বলি, ওর ওপর ভরসা রাখি, হেরে যেনো না যাই - এসব। তারপর একসময়, আমাদের মাঝে সম্পর্কটা একটা নতুন দিকে এগোয় - অপেক্ষা।

আমি টের পেতাম, আমাকে মিতুর বাবা-মা ভালোভাবে নিচ্ছেন না, তাই যাওয়া বন্ধ করেছিলাম অনেক আগেই। আবার জুটলো নতুন উৎপাত, ওদের ড্রাইভার শ্যেন চোখে ওকে পাহারা দেয় কলেজে। আগে শুধু নামিয়ে দিয়ে যেতো আর ফিরিয়ে নিয়ে যেতো, এখন সারাক্ষন বসে থাকে। আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম শুধু মাত্র চিঠি।

ছোটো ছোটো চীরকুটে খবর পাই, ভালোমন্দ মিশিয়ে। একদিন
খবর পেলাম, ও দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। সেটা আমাদের
ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার কিছু পর। একটা ফোন নম্বর আর ঢাকার
ঠিকানা, দেখা করতে হবে জরুরী। জমানো কিছু টাকা নিয়ে রওনা হলাম ঢাকায়।

ঢাকায় নেমে ফোন করলাম সেই নাম্বারে। তখন মোবাইল ফোন
ছিলোনা দেশে। ল্যান্ড ফোনে কল করে চাইলাম যাকে চাইতে হবে -
উর্মী। একগাদা প্রশ্নের জবাব দিয়ে উর্মীর মা ফোন দিলেন মেয়ের
হাতে। উর্মী জনালো, পরদিন কোথায়-কখন দেখা করতে হবে মিতুর সাথে।

আরেকটা মেস, এটা উর্মীর প্রেমিকের। তার ঘরে দেখা হলো মিতুর
সাথে। আমাদে একলা করে দিয়ে বেরিয়ে গেলো উর্মী আর ছেলেটা। মিতু ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো আমার ওপর, কাঁদছে ফুঁপিয়ে।

কান্না থামিয়ে জানালো, পরের সপ্তাহেই চলে যাচ্ছে মিতু।
আমাকে অনেকদিন দেখতে পাবেনা তাই কাঁদছে। ও নাকি অনেক
চেষ্টা করেছিলো দেশেই থাকতে, দেশেই পড়তে, বাবা রাজী নন। মিতু জানালো, ও ফিরবে, আমি যেনো অপেক্ষায় থাকি। বললো, সুযোগ পেলেই ফোন করবে আমাকে, আমার এক বন্ধুর বাসার নম্বরে। চিঠিও লিখবে, মোড়ের দোকানটার ঠিকানায়। অনেক কাঁদলো মিতু, ওকে জড়িয়ে ধরে বসেছিলাম সারাক্ষন। তারপর মিতু চলে গেল। আমিও ফিরতি বাসে চলে এলাম নিজের শহরে।

মিতু যাবার একমাস বাদে প্রথম ফোন পেলাম ওর। বন্ধুর ছোটোভাই ছুটতে ছুটতএ এসে জানালো, লং ডিস্ট্যান্স কল, দশ মিনিট পরে আবার করবে। আমিও গায়ে জামা চড়িয়ে ছুট দিলাম ওর সাথে ফোন এলে একটা "হ্যালো" শুনেই বুকের ভেতরে কেমন
জানি করে উঠলো। ওপাশ থেকে অনেক কথা বললো মিতু, বললো, আমাকে নাকি চিঠিও লিখেছে, জলদি পাবো। আরো বললো, পনেরোদিন পর পর ও ফোন করবে আমাকে। সেরাতে মেসের গুমোট ঘরে শুয়ে, চোখে পানি এসে গিয়েছিলো আমার।

নিয়মিত চিঠি পেতাম, ছবি থাকতো সাথে। একটু একটু
করে বিদেশী লাগতে লাগলো মিতুকে আমার, সাজে, ব্যাবহারে, কথায়। তবু ফোন করে যখন বলতো, "কেমন আছো?" মনে হতো সে পুরোনো মেয়েটিই!

একদিন কিছু ডলার পাঠালো মিতু। ফোনে ওকে মানা করার পর, একটু মন খারাপ করেছিলো। বলেছিলো, এ নাকি ওর উপার্জনের ডলার আমি নিলে খুশি হবে। আমি বলেছিলাম, এটা নিলাম, আর না। আমার ডলার চাই না, আমার চাই মিতুকে। অনেক হেসেছিলো মিতু। বলেছিলো, ও আসবে, আমি যেনো অপেক্ষা করি।

বছর গড়ায়। মিতু এলো একদিন। আবার ঢাকা ছুটলাম ওকে দেখতে। ওর পরিবার ততদিনে সব গুটিয়ে ঢাকাতে চলে গিয়েছে।
একটা চাইনিজে দেখা হলো। সত্যি কথা, সেই প্রথমবার,
নিজেকে মিতুর সামনে অনেক ক্ষুদ্র মনে হলো নিজেকে। ওর আচার- আচরন সবই বদলে গেছে। ওকে হিংসে হতে লাগলো। আগের সে আটপৌরে বাঙালী মেয়ে নেই আর, স্বাবলম্বী আর আত্মবিশ্বাসে ভরপুর অন্য কোনো মেয়ে মনে হচ্ছিলো ওকে। একটু
নিস্প্রভ হয়ে গিয়েছিলাম সেই সন্ধেয়।

মিতু বুঝতে পেরেছিলো সেটা, প্রথমেই বলেছিলো, ওর যত বদল সব বাইরেই, ভেতরে ও আমার পুরোনো মিতুই আছে - খুব
ভালো লেগেছিলো কথাটা। বেশ কিছুদিন ছিলো মিতু সেবার,
পরিবারকে সময় দিয়ে যখনই পারতো, দেখা করতে চলে আসতো।
আমরা ঘুরে বেড়াতাম।

তারপর ও চলে গেল, আমিও চলে এলাম। মিতু ফোন করতো নিয়মিত চিঠিও লিখতো। তবে ভেতরে ভেতরে আমি একটু একটু
করে দুরে সরে আসছিলাম। আমি জানি মিতু আর আমার
মাঝে তফাৎটা এখন অনেক, আর সেটা ক্রমেই বাড়ছে। এভাবে প্রায.একবছর গেল, একদিন ফোনে মীতু জানালো, সে দেশে এসেছে। আমাকে সারপ্রাইজ দেবে বলে জানায়নি। আমি যেন পরের বাসেই রওনা হই। আমি রওনা হলাম। কেন যেনো মনে হচ্ছিলো, খুব সম্ভব এটাই ওর সাথে আমার শেষ দেখা। বিকেলে চাইনিজ রেঁস্তোরাতে দেখা হলো। মিতু আরো বদলেছে।
আরো অনেক আত্মপ্রত্যয়ী আর ভিনদেশী মনে হচ্ছিলো ওকে। ওর
চোখদুটো লাল। টেবিলে বসে প্রথম কথা বললো, "সামনের
সপ্তাহে আমার বিয়ে।" এরপর আমার সম্বিৎ একটা ঘরে,
একটা চেয়ারে বসে আছি, মিতু আমার হাত
ধরে জোরে জোরে ঝাকাঁচ্ছে, উর্মী আর ওর প্রেমিক আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে আছে। চারদিকে চেয়ে বুঝলাম, এটা সেই মেস,
উর্মীর প্রেমিক যেখানে থাকে, মিতু দেশে এলে যেখানে আমরা দেখা করি একান্তে।

মিতু কাঁদছে। ওর দিকে তাকিয়ে জানতে চেয়েছিলাম,
আমি কিভাবে গেলাম। মিতু জানালো, ওর বিয়ের খবর
শুনে আমি নাকি একটুক্ষন ওর দিকে চেয়ে ছিলাম, তারপার
সোজা উঠে রেঁস্তোরা থেকে বেরিয়ে এসে হাঁটা শুরু করি উদ্দেশ্যহীন
এবং উদভ্রান্তের মতন। মিতু জোর পায়ে প্রায়
ছুটে এসে আমাকে ধরে এবং রিকশায় তুলে এখানে চলে আসে। আমি নাকি কোনো জোর করিনি, যা বলেছে শুনেছি, তবে বাক্যহীন
এবং ভুতগ্রস্থের মতন। আমি ওকে শুভকামনা জানাই, আরো জানাই, আমি সবসময় চাইবো ও সুখী থাকুক। সাতেহ এটাও জানাতে ভুলি না, আমার মতন চালচুলোহীন
কাউকে মিতু বিয়ে করবে, আমিসেই আশাও করি না।
জবাবে সাপটে একটা চড় খেয়েছিলাম গালে, এখনো মাঝে মাঝে ঝিনঝিন ভাবটা মনে করতে পারি। চড় দিয়ে মিতু কিসব তড়বড়
করে বলছিলো চোস্ত ইংলিশে। পরে শুনেছি, আমাকে গাল দিচ্ছিলো ও।

পরদিন আমরা বিয়ে করে ফেলি। মিতুর প্লান ছিলো, বিয়েটা করে রাখা, তবে এখন জানাবে না বাসায়। চেষ্টা করবে ওর বাবার পছন্দের ছেলেকে পাশ কাটাতে, যেকোনো ছুতোয়। তবে সেটা সম্ভব না হলেই ফাঁস করবে আমাদের বিয়েকরে ফেলার খবরটা। এরপর আরো দুই সপ্তা ছিলো মিতু, তারপর চলে গেল। বাসে গা এলিয়ে দিয়ে এই প্রথমবার অনুধাবন করলাম, আমি এখন একটা জলজ্যান্ত স্বামী!

ফিরে এসে তখন মাথা খারাপ অবস্থা আমার। মিতুর পড়াশুনো শেষ হবে জলদিই, আর এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের কোর্স লাগে ছয় বছর। রেজাল্ট পেতে আরো প্রায় একবছর, তবে উপায়! চোখে সর্ষেফুল দেখছিলাম, সারা জীবনে সেই প্রথম।
আরো একটা বছর গড়িয়ে গেল। ফোনে আর
চিঠিতে আলাপটা বদলে গেল, প্রেমিক-প্রেমিকার আলাপ বদলে গেল স্বামী-স্ত্রীর আলাপে। মিতুর পড়াশুনো শেষ হলো। এবং একদিন মিতু জানিয়ে দিলো, ও আর ফিরবে না!

এরপর............বাকিটা আমি নাই বলি..........ছোট গল্পের মত নাহয ধরে নিন 'শেষ হইয়াও হইল না শেষ'।

গল্পটা আমার নয়, গল্পটা আপনার খুব পরিচিত কারোর হতে পারে।
কে জানে গল্পটা হয়তো আপনার ও হতে পারে। গল্পটা যারই হোক
তার মঙ্গলময় জীবন কামনা করছি।


বুধবার, ২২ আগস্ট, ২০১২


ভালবাসা কি জানো?
আমি জানি, আমার কাছে ভালবাসা হচ্ছে তুমি।
আবেগ কি জানো?
আমি জানি, আমার কাছে আবেগ হলে তুমি।
মায়াতে কিভাবে জড়ায় জানো?
...
আমি জানি, যেভাবে তুমি আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছ।
সুখ কি জানো?
আমি জানি, তুমি যখন হাসো তখন আমার সুখ:)
আরো দেখুন

ভালবাসা কি ?
ভালবাসা কেমন ?
ভালবাসার অনুভব কেমন ?

এসব আজ আমি জানি। আমি বুঝি, আমি অনুভব করতে পারি।
...
আজ আমি ভালবাসা বুঝি জানি শুধুমাত্র তোমার জন্য। তুমি ছাড়া আমি কখনো অনুভব করতে পারতাম না।

জানিনা তুমি আমার সাথে এইভাবে সবসময় থাকবে কিনা।
কিন্তু আমি জীবন এর শেষ দিন শেষ সময় পর্যন্ত ভালবেসে যাবো ।
কারন আমি জেনে গেছি বুঝে গেছি আমি যে ভালবাসি শুধু তোমায়।
ভালবাসি তোমার ওই রোদ্দুর
হাসি দেখে স্বপ্ন কাটে আমার
দিবা নিশি, কি হল আজ
আমি ভেবে না পাই সব হারালেও শুধু
তোমাকে চাই।। সব
...
উপমা শেষে তুমি তুমি আমার একটাই তুমি, কতশত ভুল আজ নিত্য
চারিপাশে, ভুলগুলো ফুল
হয়ে ফিরে আসে। জোছনার এই রাত
জাগে আমারি সাথে দীঘির
জলধারা তোমার ছবি আঁকে, কোথায়
আমার আজ ঘুম হারাল স্বপ্ন হয়ে তবু দু'হাত বাড়াল"

নিরব ভাইয়ের এই গানটার প্রতিটি কথা আমার কাছে খুব অসাধারন লাগে আপনাদের কাছে কেমন লাগে লাইক দিয়ে জানান
জানি তুমি আমাকে আগের মতই
ভালোবাসো শুধু আমার প্রতি তোমার
বিশ্বাসের আকাশে কিছু কালো মেঘ
জমেছে । আর তাইতো আমি এখন
থেকে সেই কালো মেঘ
থেকে বৃষ্টি ঝরিয়ে বিশ্বাসের আকাশটাকে আবার পরিষ্কার করার
চেষ্টা করব........


জানো মাঝে মাঝে যখন আমার মন
খারাপ হয় তোমার জন্য, তখন
আমি একা একা ভাবি কেন
তোমাকে এত ভালবাসতে গেলাম,
আসলে তুমি যত দিন আমার
...
জীবনে ছিলে আমি ভাবতাম তুমি আমাকে ছেড়ে গেলেও
হয়তো ফিরে আসবে, ভাবতাম শত কষ্ট
এর পরও
তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না, কিন্তু
আমার ভাবনা গুলো ভুল, তাইনা,
তুমি ফিরে আসার জন্য চলে যাওনি, জানো আমিও কেমন জানি তোমার মত
বদলে গেছি, তাই
তো তোমাকে কাছে পাওয়ার
ইচ্ছাটা আমার আর করে না, সব
স্মৃতিগুলো শুধু ভুলতে চাচ্ছি, শুধু কষ্ট
হয় এই ভেবে আমার স্বপ্নগুলো কে কেন তোমার
স্বপ্নগুলোর সাথে মেলাতে গেলাম,
আবার মাঝে মাঝে ভাবি আর তুমিই
বা কেন তোমার সুখগুলো কে বিসর্জন
দিবে আমার জন্য, আজ অনেকদিন পর
কেন জানি মনে হচ্ছে আমি বলে কিছু ছিলাম তোমার জীবনে,
হয়তো ছিলাম না, তাই তো স্বপ্ন আর
ভালোবাসার ফল ভোগ করছি, শুধু
বলবো আমাকে ভুলে যদি তুমি সুখে থাক,
তবেই ধরে নিব এটাই আমার
প্রাপ্তি!! পূরণ না হওয়া আমার স্বপ্নগুলো স্বপ্নই হয়ে থাক
তুমি দৃষ্টি থেকে দূরে,
মন থেকে নয় ।
তুমি আমার থেকে দূরে,
ভাবনা থেকে নয় ।
আমি হাসি থেকে দূরে,
কান্না থেকে নয় । আমি আমার থেকে দূরে,
তোমার থেকে নয় । আমি এখোনো তোমার পাসে ছায়ার মত আসি এবং থাকব চিরদিন

তোমারি তরে দিয়েছি যে আজ সুগভীর ভালবাসা,
তোমারে নিয়ে মনেতে জমানো কতো স্বপ্ন আর আশা।

তোমারি তরে করেছি যে কতো স্তুতি আর প্রার্থনা,
দিলাম তোমারে অন্তর হতে শত শুভকামনা।
...

তোমারি তরে দিয়েছি যে ধরা ফুলে ফুলে আজ ভরে,
যতো বেদনা,শত যাতনা নিলাম আমারি করে।

তোমারে জানাতে ভালবাসা চাঁদ হয়ে আছে উন্মুখ,
মহাকাল চেয়ে প্রতীক্ষায়,পথ প্রসারিত সম্মুখ।

আকাশের সব নীল রং দিয়ে সাজায়েছি তোমারে,
বেলা চলে গেল,হে বন্ধু!
বিদায় দাও আমারে।
আরো দেখুন