এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৩

এই মাত্র শাহানার মৃত দেহ উদ্ধার করা হলো সাভারে আটকে পড়া পাচ দিন পরেও যে বেচে ছিল । হঠাত করে আগুন লাগায় শাহানা কে আর বাচাতে না পেরে হাউ মাউ কান্নায় ভেঙে পড়েন সব উদ্ধার কারী দল। , আপডেট পেতে....

শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৩


ধ্বংস স্তূপের বাহিরে অনেক মানুষ ... হঠাৎ বের হয়ে আসল একটা লাশ ... একজন বোনের লাশ ... হাতের মধ্যে সাদা কাগজে ২ লাইন লেখাঃ

"আম্মা-আব্বা আমারে মাফ কইরা দিউ তোমাগোরে আর ঔষুধ কিনে দিতে পারবনা। ভাই তুই আম্মা আব্বার দিকে খেয়াল রাখিছ"

হতভাগা মা চিঠি আর মেয়ের ছবি নিয়ে একটু কাঁদছে আর বেহুঁশ পড়ছে ... এরকম দৃশ্য দেখার পরে আর কোন মানুষ হয়ত চোখের পানি টুকু আটকিয়ে রাখতে পারবেনা !!

"ভাই আমার মাকে বইলেন,আমাকে মাফ করে দিতে,আমার বাড়ি পিরোজপুর ,হুলার হাট। ভাই আমি মারা গেলে লাশ টা বাড়িতে পাঠাইয়েন !!"

"ভাই দরকার হলে আমার পা কেটে বের করেন,তবুও আমাকে বাচান,আমি আর এই যন্ত্রনা সইতে পারিনা !!"

"ভাই আমাকে একটা হাতুড়ে দেন,আমি নিজেকে বের করতে পারব… !!"

"শ্বাস নিতে পারছিনা,লাশের গন্ধে মারা যাবো,ভাই একটু অক্সিজেন আনতে পারবেন !!"

"ভাই আমাকে এখান থেকে বের করেন,আমার একটা ২ বছরের ছেলে আছে,ওর জন্য আমাকে বাচান,ওরে দুধ খাওয়াতে হবে !!"

চাপা পড়া মানুষের এই আকুতিগুলা চোখকে ঝাপসা করে দেয় !!

...... ...... ......

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,

আর রসিকতা করবো না ... একটা বার চোখ দুইটা বন্ধ করেন ... কল্পনা করেন, আপনি চাপা পড়া একজন কর্মীর বাবা ... একটা বার একটু কল্পনা করেন, আপনার ভাই চাপা পড়ে কাঁদছে !!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী,

একটাবার একটু ভাবুন, আপনার ছেলেটার বুকের উপর হাজার কেজি ওজনের একটা পাথর ... সে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না !!

'রাজনৈতিক নেতা' হয়ে তো অনেক দিন রইলেন ... এবার একটু 'মানুষ' হয়েই দেখুন !!!
ধ্বংস স্তূপের বাহিরে অনেক মানুষ ... হঠাৎ বের হয়ে আসল একটা লাশ ... একজন বোনের লাশ ... হাতের মধ্যে সাদা কাগজে ২ লাইন লেখাঃ

"আম্মা-আব্বা আমারে মাফ কইরা দিউ তোমাগোরে আর ঔষুধ কিনে দিতে পারবনা। ভাই তুই আম্মা আব্বার দিকে খেয়াল রাখিছ"

হতভাগা মা চিঠি আর মেয়ের ছবি নিয়ে একটু কাঁদছে আর বেহুঁশ পড়ছে ... এরকম দৃশ্য দেখার পরে আর কোন মানুষ হয়ত চোখের পানি টুকু আটকিয়ে রাখতে পারবেনা !!

"ভাই আমার মাকে বইলেন,আমাকে মাফ করে দিতে,আমার বাড়ি পিরোজপুর ,হুলার হাট। ভাই আমি মারা গেলে লাশ টা বাড়িতে পাঠাইয়েন !!"

"ভাই দরকার হলে আমার পা কেটে বের করেন,তবুও আমাকে বাচান,আমি আর এই যন্ত্রনা সইতে পারিনা !!"

"ভাই আমাকে একটা হাতুড়ে দেন,আমি নিজেকে বের করতে পারব… !!"

"শ্বাস নিতে পারছিনা,লাশের গন্ধে মারা যাবো,ভাই একটু অক্সিজেন আনতে পারবেন !!"

"ভাই আমাকে এখান থেকে বের করেন,আমার একটা ২ বছরের ছেলে আছে,ওর জন্য আমাকে বাচান,ওরে দুধ খাওয়াতে হবে !!"

চাপা পড়া মানুষের এই আকুতিগুলা চোখকে ঝাপসা করে দেয় !!

...... ...... ......

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,

আর রসিকতা করবো না ... একটা বার চোখ দুইটা বন্ধ করেন ... কল্পনা করেন, আপনি চাপা পড়া একজন কর্মীর বাবা ... একটা বার একটু কল্পনা করেন, আপনার ভাই চাপা পড়ে কাঁদছে !!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী,

একটাবার একটু ভাবুন, আপনার ছেলেটার বুকের উপর হাজার কেজি ওজনের একটা পাথর ... সে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না !!

'রাজনৈতিক নেতা' হয়ে তো অনেক দিন রইলেন ... এবার একটু 'মানুষ' হয়েই দেখুন !!!
সাভার ট্র্যজেডির সকল আপডেট   ফেসবুক পেজে পোষ্ট করার কারনে ব্লগ পোষ্ট করতে পারিনি , আপনাদের সময় মত আপডেট দিতে না পারায় আন্তরিক ভাবে দু:খিত।
তৈরী করা গুজবের আসল খবর জানুন এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুইজন ভাই ও বোনের কাছ থেকে>> ভাই দয়া করে লেখা টা শেয়ার করবেন: ফেইসবুকে কিছু পেইজ থেকে এনাম মেডিকেলের নামে মিথ্যা গুজব ছড়ানো হচ্ছে ।দয়া করে এসব গুজবে কান দিবেননা । না খেয়ে না দেয়ে এতো কষ্টকরে রোগীদের সেবা করার পর এধরনের কথা দেখলে আসলেই খুব কষ্ট লাগে। তারপরও কারো সন্দেহ হলে এনাম মেডিকেলের দরজা আপনাদেরজন্য সবসময়ই খোলা (আব্দুল আহাদ খানঃ facebook.com/abdul.a.khan.12)>> ২৪ এপ্রিল সকাল ১০ টা থেকে আজ ২৭ এপ্রিল এখন রাত ৩.৫০ বাজে বিশ্রামহীন ভাবে কাজ করছি আমরা সবাই।।। এখন একফোটা শক্তি নেই শরীরে তারপর ও এই কথাটা সবাই কে বলার জন্য কিবোর্ড টা হাতে নিলাম।।। ভাই আমরা নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করছি এই অসহায় মানুষ গুলোর জন্য।।না খেয়ে না নেয়ে বিরামহীন কাজ।।।খুব পানি পিপাসা লাগছিল বন্ধু লোকেশ কে বল্লাম একটু পানি দে পানির বোতল হাতে নেয়ার সাথেই এম্বুলেন্সের শব্দ।।।আমার পরিচিত শব্দ এই তিন দিনে শোনা হয়েছে হাজার বার।।অনু স্যার আমার দিকে তাকিয়ে বলল স্যালাইন রেডি করো বোতল নিয়ে দাড়িয়ে আছো কেন,,ব্যাস পানি আর খাওয়া হলোনা ঐ সময় একসাথে ৪ জন রুগীর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পানির বোতল হাতে নিয়ে ছিলাম।।।।সারাদিনের খাটনি্ ছোট ভাই রাজীব খেয়াল করছিলো বারবার বলছিলো আপূ একটু গ্লুকোজ খান।।।আমি অবাক হলাম ও আমাকে গ্লুকোজ খেতে বলল অথচ ওর অবস্থা আমার থেকে ও খারাপ।।।শুধু আমরা এই কয়জন না আরো অনেক সিনিয়র জুনিয়র আর আমার সহপাঠি এবং স্যাররা কেউ ই নিজের কথা ভাবছেনা সবাই যেন কেমন একটা পরিবার হয়ে গেছি আর ঐ ভবনে চাপা পরা মানুষ গুলোতো আমাদেরই পরিবার এর একজন ।।।আমরাও কেদেঁছি বুড়ো মায়ের আহাজারি দেখে আবার ৩ দিন পর যখন মনোয়ারা পারভীন এর স্বামি তাকে খুজে পেয়ে খুশিতে কেদেঁছে আমারা ও অশ্রু শিক্ত হয়েছি।।।এভাবে ই অনেক চরাই উতরাই এর ভিতর দিয়ে আমরা এক একটা দিন কাটাচ্ছি কিন্তু আমাদের ১০০ ভাগ সেবা আমরা দদিয়ে যাচ্ছি প্রিয়জনকে তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা টুকু জানাতে পারিনি ।।এতোগুলো কথা বলার কারন হচ্ছে এই মাত্র রুমে এসে শুনলাম অনেকে নাকি বলছে এনাম মেডিকেলের গোপন ঘরে নাকি ১৫০ লাশ গুম করে রাখা হইছে!!!!!ভাইরে আমরা কারো কাছে আমাদের কষ্টের মূল্য চাইনা কিন্তু তাই বলে কি আমরা একটু বাহাবা ও পেতে পারিনা????রাত দান এক করে এই মানুষ গুলোকে সুস্থ করার পিছনে লেগে আছি আমরা সবাই ...এই ধরনের আজগুবি কথা গুলো শনলে মন ভেঙে যায় প্লীজ কেউ মিথ্য্যা অপপ্রচার করবেননা দরকার হলে আপনারা এনাম এ এসে নিজের চোখে দেখে যান তারপর যা লিখার লিখুন একটা মহৎ কাজে শরীক হতে না চাইলে হবেননা কিন্তু তা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করবেননা।।।(চৌধুরী নাবিলা আহসানঃ facebook.com/adapadalobonchadamnaacs)

বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৩

সাভারের জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন। গ্রুপ নির্বিশেষ রক্তের প্রয়োজন। যারা ঢাকা এবং সাভারে আছেন তাদেরকে দ্রুত ঘটনাস্থলে অথবা শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে যোগাযোগ করুন। যারা রক্ত দিতে চান দ্রুত চলে আসুন শাহবাগে। ঢাকা শহরের যারা আছেন তারা শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে যোগাযোগ করলে সেখানে রক্ত দিতে পারবেন। এখান থেকে রক্ত কিছুক্ষণ পর পরই পৌঁছে দেয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
যোগাযোগ
শাহবাগ : মিডিয়া সেল, গণজাগরন মঞ্চ। ডাঃ উজ্জ্বল ০১৭১৭৬৪৩২০৫, সাগর ০১৯২৫১৫০২০৪। 
সাভার : এনাম মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, সাভার, ঢাকা। মোবাইল: ০১৬৮১২১২৭৭৭। ০২-৭৭৪৩৭৭৮-৮২।
অনেক আহত ব্যাক্তি পঙ্গু হাসপাতাল শ্যামলী তে ভর্তি হয়েছেন এবং কিছুক্ষণ পর পরই আসছেন সবারই প্রায় রক্তের প্রয়োজন, শ্যামলী ও এর আশে পাশে যারা আছেন অর্থাৎ পঙ্গু হাসপাতালের
আশে পাশে যারা আছেন এবং রক্ত দিতে ইচ্ছুক, তাঁরা হাসপাতালে যোগাযোগ করে ওখানেই রক্ত দিতে পারেন, আর যাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই, তাঁরা সরাসরি ব্লাড ট্রান্সফিউসান অথবা রক্ত সন্জ্ঞালন বিভাগে যোগাযোগ করে ও ব্লাড দিয়ে চলে যেতে পারবেন ।
যোগাযোগ :
ডাঃ সনেট: 01711733175
ডাঃ টিপু: 01714107670

এই মুহুর্তে ৫০০ ব্যাগের উপর রক্ত প্রয়োজন....যাদের পক্ষে সম্ভব নিন্মোক্ত নাম্বারে ফোন করে রক্ত দিয়ে আসতে পারেন...নিজে না পারলেও আপনার বন্ধুকে উত্সাহিত করতে পারেন....
01711025876 (টিএসসি)
8629042, 01711025876, 01720080012, 01917264615, 01912082919 (BUET)
01712180246 (Jahangirnagar University)
01923337010 (জাহাঙ্গীরনগর)
01681212777 (এনাম ম্যাডিক্যাল)
ডাঃ সনেট: 01711733175 (শাহবাগ)
ডাঃ টিপু: 01714107670 (শাহবাগ)
ডাঃ উজ্জ্বল-০১৭১৭৬৪৩২০৫
সাগর- ০১৯২৫১৫০২০৪

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৩

কি অদ্ভুত তুমি !
ব্যথা দিয়ে বল, ব্যথা পেয়েছ ?
কাঁদিয়ে বল, কাঁদছও কেন?
...
...হাঁসিয়ে বল, হাঁসছ কেন?
আমি কিছুই বলি না,
শুধু তোমার চোখে চোখ রেখে, বলি –

ও কিছু না ।
কি উন্মাদ তুমি !
কাছে টেনে বল, কাছে এসো না,
প্রশ্ন করে বল, কথা বলবে না,
হাঁসতে হাঁসতে বল, কি বিশ্রী তুমি,
পাশে বসে বল, দূরে যাও না,
হাত ছুঁয়ে বল, এসব
কি?
আমি কিছুই বলি না,
শুধু তোমার চোখে চোখ রেখে,
বলি – ও কিছু না ।
কি উন্মনা তুমি !
হাতে ঘড়ি নিয়ে বল, কয়টা বাজে?
ফুলে নাক শুঁকে বল, ফুল ভাল না,
কাঁধে কাঁধ রেখে বল, তুমি ভাল না,
ঘুম ঘুম চোখে বল, ঘুম আসে না ।
নির্বাক আমি,
কিছুই বলি না,
শুধু শুধু তোমার চোখে চোখ রেখে,
ফিসফিস
করে শিশিরের শব্দের মত-
বলি - ভালোবাসি !

সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৩


হঠাৎ এসেছিলে চোখের আলোতে
হারিয়ে ফেলেছি এক ঝলকে
তবুও তুমি ছিলে চোখের কোণে
আগলে রেখেছি বড় যতনে
ভালোবেসেছি তোমাকে প্রথম,
চোখের আলোতে এসেছ যখন
ছিলে হৃদয় জুড়ে প্রতিক্ষণে
ভালবাসা তো হয়না মনের বিপরীতে।
এটাই কি প্রণয়ের অনুভূতি??
তাই কতটা পথ খুঁজে ফিরে এসেছি।
হঠাৎ তোমার ছায়ায় আহ্বান,
তাই ভুলে গেছি যা পিছুটান
ভালোবেসেছি তোমাকে প্রথম,
চোখের আলোতে এসেছ যখন;
ছিলে হৃদয় জুড়ে প্রতিক্ষণে
ভালবাসা তো হয়না মনের বিপরীত।
মাঝে মাঝে তোমাকে বুঝিনা কেন?
তোমায় ঘিরে যে কত বেদনা...

এসো না তুমি আঁধার ভুলে আলোতে,
জড়িয়ে নিবো মায়ার চাদরে,
ভালোবেসেছি তোমাকে প্রথম,
চোখের আলোতে এসেছ যখন;
ছিলে হৃদয় জুড়ে প্রতিক্ষণে।
ভালবাসা তো হয়না মনের বিপরীতে

রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৩


তোমার জন্য নিরাবতা তোমার
এম আরিফুল ইসলাম আকাশ

ভোর হয়েছিল অনেক আগেই
তবু সকালটা দেখা হয়নি
শ্শিউলি ফুলেরা নাকি ঝরেছিল
আমার বাগানে
 হাত বাড়িয়ে তুলিনি
সুয্যি  মামাও উকি দিয়েছিল
মুখ লুকিয়ে ছিলাম
এমন কেন হয়েছে আমার
অন্ধকারে এলাম  ।

কোকিলের গানও এখন
কান পেতে শুনিনি
দুর্বা ঘাসের উপর তাই আর
এক বিন্দু শিশির পড়েনি
তুমি নাকি এসেছিলে
অস্পষ্ট শুনতে পেলাম
সবকিছু হারিয়ে
একেমন হলাম।

নি:স্তব্ধ আর নিরাবতা
এখন আমার সঙ্গি
চার দেয়ালের মাঝে কেন
হলাম একা বন্দি
তোমার জন্য কবিতা আমার
লিখলাম কত কথা
তুমি আর নেই বলে
সঙ্গি আমার নিরাবতা।


শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৩

আমার জন্য আজকাল তোমার 
সময়ই হয়না 
নাকি সময়ের বাইনাতে 


আমাকে দুরে সরাতে চাইছ 
দুরে সরে যাওয়াতে যদি 
তোমার সুখ হয়
তবে কোন আফসোস নেই
অনেক দুরে পারি দেব
এক বুক পাথর চাপা
কষ্টের পাহার নিয়ে
না ফেরার পথে।

কষ্ট হবে জানি
তবুও তোমার জন্য
আজ সবই করতে পারি।

সয়তে পারবো না জানি
তবুও আমার সুখের চাদ
অমাবস্যা না হয়ে
আলো ছড়িয়ে যাবে এটাই
চেয়ে যাব।

এখন শুধুই বিরক্ত
তোমার কাছে

আর জ্বালাব না

কি দোষে পর হলে
আজও বলে গেলে না
একটু সময় পেলে
বলে যেও
সেই পথ চেয়ে বসে থাকব ।

আমার বৃস্টিতে তুমি
এম আরিফুল ইসলাম আকাশ


আখি ভরা বৃস্টি অঝরে ঝড়ে
তাই আর বৃস্টি চাই না আমি
আমার বৃস্টিতে আমিই ভিজি
আমাকে আর কে ভেজাবে

ভিন্নতা শুধু একটাই
আমার বৃস্টি একটু নোনা
তবুও তাতেই আমার
সকল সুখ দু:খ স্নান করে।

এত বৃস্টি চাই নি আমি
তবুও যে কেন বার বার
আমাকেই ভিজতে হয় অবিরত!

জানি ভুলে গেছো,
তবুও বলছি কেমন আছ?
জানি উত্তর দিবে না,
তবুও বলছি কি করছ?
জানি বিরক্ত হবে,
তবুও বলছি ভাল থেকো...
জানি ভুলে গেছো,
তবুও বলছি কেমন আছ?
জানি উত্তর দিবে না,
তবুও বলছি কি করছ?
জানি বিরক্ত হবে,
তবুও বলছি ভাল থেকো...

@[100002490785184:2048:ব্যার্থ ছেলে]

তোমাকে ভেবে
এম আরিফুল ইসলাম আকাশ

দুরে কোথাও একদিন
নীলিমার প্রান্তে
হারাতে চাই
চোখ পানে চেয়ে
কাটাতে চাই
পুর্নিমা রাত
তোমার মুখের
মিস্টি হাসি
ছুয়ে দিতে চাই
আলতো করে
তবুও যে মন ভরেনা
তোমার লাজুক লাজুক
চোখের পাতায়
মনের রঙে আকঁা
আমার এক সমুদ্র প্রেম
সব তোমার
তোমার হাতে পরাবো
ভালোবাসার কাকন
লজ্জা চোখে
আমায় দেখবে যখন
আমি হয়ত স্তব্ধ হব
তোমার হাতের পরসে
ছুয়ে দিও আমায়
হারাবো একসাথে দুজন।

ebay

http://www.ebay.com/

শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৩


ঝনঝন
করে একটা গ্লাস
ভেঙ্গে পড়ল হঠাত্
করেই।
ভেঙ্গে যাওয়া গ্লাসের
...
কাচেঁর
টুকরো এসে বিধঁলো নীলিমার
পায়ে।।বুঝে উঠার
আগেই
পায়ে আলতা রাঙ্গিয়ে দিলো ভাঙ্গা কাচঁ।।
রক্তে ভেসে গেলো চারপাশ।।
তার
মাঝে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গেলো নীলিমা।।
তারপর সব ই
নিঃশব্দ।।
কৌশিকের
সাথে নীলামার
সম্পর্ক মাত্র চার
মাসের।তবু কেন যেন
মনে হয় দুজনের
কাছেই,সর্ম্পকটা চার
বছর পেরিয়ে গেছে।।
বাংলাদেশের
স্বনামধন্য
একটা প্রকৌশুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের
একসাথে লেখাপড়ার
সুযোগ হয়।ক্লাসের সব
মেয়েদের মধ্যে শান্ত
মেয়ে ছিলো নীলিমা।।
আর
সবচেয়ে মনযোগী ছাত্র
কৌশিক।।দুএকদিন
পরেই কৌশিকের নজর
কাড়লো নীলিমা।।
চোখে চোখে চোখ
রাখলেও পছন্দের
কথা বলতে সাহস
হয়নি কখনো কৌশিকের।।
কৌশিকের গ্রামের
বাড়ি বরিশাল।
বাড়ী যাওয়ার
জন্যে বাসে উঠতেই
কৌশিক পেয়ে যায়
নীলিমাকে।।
জানা গেলো নীলিমা ও
বরিশাল যাবে।ওর
বাবা মা ওখানেই
থাকেন।।
যেতে যেতে অনেক
কথা হলো ওদের মাঝে।।
নীলিমার ও
ভালো লেগে গেলো ছেলেটিকে।।
ফোন নম্বর টাও
জেনে নিলো নীলিমা।।
আস্তে আস্তে ভালোবাসা বাড়তে লাগলো ওদের
মাঝে।।
ভার্সিটিতে একসাথে বসা,ফুচকা খাওয়ার
পাল্লা দেয়া,চোখে চোখ
রেখে কেবলই
তাকিয়ে থাকা,পড়া বুঝিয়ে দেয়া সবকিছুতেই
যেন অন্যরকম
ভালো লাগা,,নতুন
করে কাছে আসা।।।
ভালোবাসার ডাকপিয়ন
ভালোবাসার সব
চিঠি দিয়ে রাঙ্গিয়ে দিলো দুজনকে।।
একদিন কৌশিক
নীলিমাকে একটা গোলাপ
ফুল আর একটা কার্ড
দিয়ে প্রপোজ করলো।
নীলিমা কার্ডটা হাতে নিয়ে বলল
এখন
আসি পরে কথা হবে।।
রাতে ফোনে নীলিমা জানালো এক
সপ্তাহ সময় লাগবে।।
পরে এক সপ্তাহ
পরে নীলিমা কৌশিককে জানালো আমিও
ভালোবাসি তোমাকে।।
তিন মাস কেটে গেলো।।
নীলিমার কেনো যেন
মনে হচ্ছিলো কৌশিক
ওর সাথে টাইম পাস
করছে।।ওর যখন
ভালো লাগে তখন
কথা বলে,যখন
ভালো লাগে না কথা বলে না।
একদিন
নীলিমা কৌশিককে জিগ্যেস
করলো আমাদের
সর্ম্পক
টা নিয়ে কি ভাবছো তুমি?
তখন থেকেই খুব
আনমনা হয়ে যায়
কৌশিক।সে জানায়
তার বাবা খুবই
রক্ষনশীল।
তিনি তাদের প্রেম
মেনে নিবে না।আর
সে পরিবারের বড়
ছেলে।।পরিবার
থেকে তার
জন্যে মেয়ে ঠিক
করলে সে তার
বাবা মার মনে কষ্ট
দিতে পারবে না।।
নীলিমার মাথায়
আকাশ ভেঙ্গে পড়ল।
তাহলে তাদের এই
ভালোবাসার কি কোন
মূল্য নেই!প্রশ্ন
আছে তবে উত্তর
নেই।।
আজ ও
নীলিমা অপেক্ষায়
আছে কবে উত্তর
পাবে।।কৌশিক কোন
ভরসা দিতে পারছে না।।
প্রশ্নটা যখন
নীলিমা বলে,কৌশিক
মাটির
দিকে তাকিয়ে বলে জানি না।।
একদিন
কষ্টে অভিমানে নীলিমা এক
গাদা ঘুমের ঔষধ
খেয়ে ফেললো।
গ্লাসটা টেবিলে রাখতে গিয়ে পিছলে হাত
থেকে পড়ে গেলো নিচে।।
ভাঙ্গা কাচেঁর
টুকরা গুলো এসে বিধঁল
পায়ে।।
রক্তে ছেয়ে গেলো চারপাশে।।
অজ্ঞান
হয়ে পড়ে গেলো নিচে।
তারপর সব নিঃশব্দ।।
নীলিমা ভালো আছে।।
কৌশিক ও
চালিয়ে যাচ্ছে তার
লেখাপড়া নিজেকে প্রতিষ্ঠিত
করতে।থেমে নেই
তাদের ভালোবাসা ও।।
তবে এতে কৌশিকের
নেই কোন ভরসা।।
নীলিমা ও আশা হীন
হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে নীড়
বিহীন পাখি হয়ে আজ
ও।।