এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১২



জীবনে দুটো জিনিস খুবই কষ্টদায়ক.....

একটি হচ্ছে....
যখন আপনার ভালোবাসার মানুষ আপনাকে ভালোবাসে কিন্তু তা আপনাকে বলে না

... এবং অপরটি হচ্ছে....

অপরটি হচ্ছে... যখন আপনার ভালোবাসার মানুষ আপনাকে ভালোবাসে না এবং সেটা আপনাকে সরাসরি বলে দেয়। আসলেই সমস্যা আমাদের যারা আমাদের ভালোবাসে না আমরা তাদের কাছে পরে থাকি ... কি সুখ পায় জানি না .... কি জানে এই হয়ত জীবন .... জীবন আসলেই আজিব ......



   md ariful islam





তোমার প্রেমের পথ ধরে হাঁটতে চাই দূর
বহুদূর। যেখানে নদী আছে, পাহাড়
আছে আর
আছে অনন্ত আকাশ,
যেখানে নিশ্চিন্তে উড়াবো আমি আমার
... ভালোবাসার ঘুড়ি। তোমার গভীর
প্রেমের
দহনে আমি পুড়তে চাই একান্তে। মেঘ
যেমন বৃষ্টিকে খোজে পৃথিবীতে আনার
জন্য।
তেমনি তোমাকে আমি খুজি আমার
ভালোবাসায়
পূর্ণতা আনার জন্যে। শুধু
ভালোবাসি কথাটা বলতে না পারাই, অবুঝ
চোখ
প্রতিনিয়ত ভিজছে কান্নায়। তোমার
ভালোবাসার বন্দরে সেই
কবে থেকে নোঙ্গর পেতে বসে আছি,
তুমি বুঝলেনা। কতো জোয়ার-
ভাটা গেলো আমার উপর দিয়ে।
বুঝবে কি কখনো? তোমার ঐ
রাঙা দুটি চরনে আমার
সামনে এসে বলবে কি কখনো ভালোবাসি।        
নাকি আমার আজন্ম এই অপেক্ষার
কখনো অবসান নাই



তুমি তাকেই ভালবাস,
যে তোমাকে ভালবাসে "

চাঁদ তার নিজের গাম্ভীর্য
ধরে রেখে আকাশেই অবস্থান করে ।
... এটা সবারই জানা । কখনো ধরা দেয়   mariful89@yahoo.com  
না কাউকে । এটাও জানে সবাই । চাঁদের
এত অহংকার তার সুন্দর জোছনার জন্য
। কিন্তু চাঁদ এটা ভুলে গেছে যে, তার
নিজের কোন আলোই নেই । সূর্যের ধার
করা আলো দিয়ে ফুটানি দেখায় ।
জগতে চাঁদের মত কিছু মানুষ
আছে যাদের সাময়িক কোন অভাব নেই ।
তাই সে ঐ চাঁদের মত আকাশেই থাকে ।
তাকে ভালবাসা যায় কিন্তু
কাছে পাওয়া যায় না ।

কুপি চেনেন কুপি ?? যে নিজের
আস্তিত্বের শেষ জ্বালানী বিন্দু দিয়েও
আপনাকে আলো দেয়ার চেষ্টা করে । এ
জগতে কুপির মত কিছু মানুষ আছে ।
তাদেরকে ভালবাসুন । সে চাঁদের মত নয় ।
আপনারর জন্য নিজেকে শেষ
করে দিতেও প্রস্তুত ।
যখন আপনি কুপিকে ভালবাসবেন আর
তার পাশে অবস্থান নেবেন তখন চাঁদের
আলো টাকে এতটাই ক্ষীণ মনে হবে যে,
আপনি ভুলেই যাবেন চাঁদ বলে কিছু
একটা আছে ।
সব কথার মূল কথা কি জানেন ??

" তুমি তাকেই ভালবাস,
যে তোমাকে ভালবাসে "


ভালবাসা বড়ই আজব জিনিস ।
নিজের আজানাতেই সুখের ভেলা ভাসাবে কত শত
স্বপ্নের ঘুড়ি মনের
আকাশে উড়াবে কিন্তু হঠাত কখন
যে সে আকাশের কালো মেঘ
... বৃষ্টি ঝড়িয়ে ভালবাসার স্বপ্নের
ঘুড়ি কে খুন করে ফেলে টের-ই
পাওয়া যায় না


মনের দরজায় তোমার আসার
ধ্বনি শুনতে পাই,
কিন্তু চোখের সীমানায় তোমায় খুঁজে পাই
না।
বৃষ্টির রিমজিম শব্দে তোমার
... হাসি শুনতে পাই।
কিন্তু রোদেলা ক্ষণে তোমায় খুঁজে পাই
না।
ফেসবুকে তোমার অস্তিত্ব বুঝতে চাই,
কিন্তু ফ্রেন্ড লিস্টে তোমায় খুঁজে পাই
না।
 

মনের দরজায় তোমার আসার
ধ্বনি শুনতে পাই,
কিন্তু চোখের সীমানায় তোমায় খুঁজে পাই
না।
বৃষ্টির রিমজিম শব্দে তোমার
হাসি শুনতে পাই।
কিন্তু রোদেলা ক্ষণে তোমায় খুঁজে পাই
না।
ফেসবুকে তোমার অস্তিত্ব বুঝতে চাই,
কিন্তু ফ্রেন্ড লিস্টে তোমায় খুঁজে পাই
না।

মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১২


যে কথাটা বলা হয়নি কখনো
আর কোনদিন হয়ত বলাও হবেনা
তাই অব্যক্ত কথার সাক্ষ্য দিচ্ছি শুভ্র কাগজের বুকে .....
আমি নিভৃতে তোমায় করেছি লালন হৃদয় গহীনে
তুমি হয়ত জান..
... কতটা নিবিড় করে কতটা যতনে রয়েছো আজও
সেই প্রথম অনূভবের মতন

দশটা বসন্ত দিয়েছি পাড়ি
অব্যক্ত কস্ট নিয়ে...
আরো বসন্ত আসুক নিঃসঙ্গ একাকী
তবুও বলবো না ব্যক্ত করে ভালোবাসি ভালোবাসি.
যেমন তুমি বলোনি
অথচ আমরা জানি
হৃদয়ের গহীনে আজো বসন্তের কোকিল বলে
ভালোবাসি ভালোবাসি খুব ভালোবাসি............


প্রথম ভালো লাগা.....প্রথম প্রেমের প্রহর....
সব অনূভুতি স্বপ্ন ডানায় ভাসে..
সকালের শিশিরে দেখি মুক্তার সমারোহ
কাজল দীঘিতে হাজার পদ্ম ফোটে ..........
সরিষা বনে উড়ে উড়ে প্রজাপতি কপোতেরা মধু খোজে...
... .সব সুখ স্বাদ দুহাতের আগলে ধরি.........

তোমায় ভেবে রাত ভোর করি ফের দেখা হবার আশায়..........
উদাস চোখে ঢুলুঢুলু স্বপনের সুখ...
সব ভাল লাগার আনন্দে ভাসে বুক ....

হাজার গোলাপের সৌরভ মাতাল করে হিয়া..
আয়নার প্রতিবিম্ব বড্ড অচেনা লাগে আজি...........
বার বার মন চায় শুধু ভেসে যাই তোমার সাথে ...
রেখে হাত ওই হতে


যদি কেউ চলে যায় ..
তবে পিছু ডাকো কেন ?
যে যাবে তাকে বাধবে ..
কোন্‌ বাঁধনের ডোরে ?

... আচ্ছা ..
বৃষ্ঠির অবিরাম ধার ঝরে গেল ঝরেই গেল..
তাকে ফেরাবে কি করে ওই মেঘমালাদের দলে ?
তেমনি ..
দুচোখের ঝরা কস্ঠের অশ্রুও ফেরেনা
আখির পানে...

তোমার আকাশে আজ কাল বৈশাখী
ভেবে নিও এ তোমার নিয়তি..
অবুঝ পথিকটারে যেতেই দাও এ বেলা...
বুঝে নিও..
তোমার হৃদয় ভাঙ্গা ঝড়ে
তার বসন্তবেলা..
এইতো নিয়তির খেলা।

কি লাভ বিভ্রান্তির জালবুনে
মায়াটুকু ছেড়ে দাও
তারে তবে যেতে দাও
দূর বহুদূর .


আমি বর্ষা দেখব
মেঘলা আকাশ সূর্যের লুকোচরি খেলা
হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি ...
ক্লান্ত শরীর ছুয়ে যাবে

... অতঃপর..
এলোমেলো পথ হাঠা নগ্ন দুটি পায়
ভেজা চুলের ফাকে ঝাপসা চোখে দেখব বৃষটিরধারা
ঠুংঠাং রিকশার ধ্বণি..
রিনিঝিনি চূড়ির সূরে...
মাতাল হয়ে হেটে যাব দূরে বহুদরে ...

তুমি একটা কদম ফুল দিও তো!!
ভেজা নিঃশ্বদ পায়ে এসো কাকভেজা হয়ে...
তোমার দুচোখে রেখ নিস্বার্থ ভালবাসা
যেখানে দেনা পাওনার হিসেব অর্থহীন...
সব কষ্টভুলে বৃষ্টির বারতায় শুদ্ধ হব সেদিন...
আহ্‌ কতইনা ভাল হবে...??
এমন বর্ষায় বিলিন হব যেদিন


তুমি আছো তো ??

ভোরের বৃষ্টি ভেজা শীতল হাওয়া যখনই ছুয়ে যায়
অধরের কোন জুড়ে বিষন্নতা ফিরে আসে বার বার
কে বলে তুমি নেই তুমি তো আছ ...
...
কোকিল ডাকা বিরহী দ্বীপ্রহর নিরব প্রকৃতিতে
কে বলে আমি একা ..
আমি তো দেখি তুমিও হাটছো আমার পাশে..
হাতে সেই হাতেরই স্পর্শ ...!

হুডহীন রিকশায় মুখোরিত বিকেলে ..
.তোমার গায়ের সুবাস আজো ভাসে আমার পাশে..

অথবা আজোও মুগ্ধতায় ভাসি সাঝের লালীমা দেখে ..
তুমি আর আমি

রাতের তারার বিগলিত রূপ অনুচ্চ গানের কথা মালা
তোমার প্রিয় নীল পদ্ম সব আছে জান তো..
.
কেন যে সবাই বলে তুমি আকাশের তারা হয়েছ ...
আমি জানি তুমি আছো..
তুমি আছো তো ?


তুমিও কি..... ??


তুমি ভালোবাসা বোঝ....
যে অনূভুতি ঘোর লাগা সন্ধ্যার ..
... নীড়ে ফিরতে ব্যাকুল পাখির মতন ....
মৃদুমন্দ বাতাসের ফিস্‌ফিসানি...
বারবার বলে ভালোবাসি ভালোবাসি এই তো বেশ আছি........
মগ্ন নিশ্চুপ জলের মতন মন বলে আমরণ স্হীর হও হে অনূভুতি...

তুমি স্বপ্ন বোঝ...
মায়ের আধার জরায়ূতে তিলে তিলে বেড়ে ওঠা জীবন...
যার হৃদস্পন্দন আকে আগামীর স্বপন ...

তুমি স্পর্শ বোঝ.........
হঠাৎ গ্রীস্মের বৃষ্টির মতন শীতলতা
কিংবা হাড় কাপুনি শীতের সকালে ঊষ্ন সূর্যের ওম্‌...

আমি এভাবেই বুঝি..
তুমিও কি..... ??



কাজল পরবে তো আজ
সেই প্রথম দিনের মতন মমতা নিয়ে
অতপর মায়া ভরা দৃস্টি দিয়ে তাকাবে একবার ?
একটু খানি তুমি এখনই লাল টিপটা পরো তো।

... স্মৃতিরা প্রতারকের মতন সব ভুলিয়ে দেয়
মাত্র ক'টা মাসের দুরত্বে কত ঝাপসা হয়ে গেলে!!
যেন কালবৈশাখী এলো আর আধারের ওপারে তুমি

জানি আজ ক্লান্তিভরে নুয়ে থাকা হৃদয়ে
প্রশান্তির পরশ হবে না তুমি

আজ শেষবারের মতন
হিসেবের খাতাটা মেলাবো আমরা
আজ ক্লান্ত হৃদয় আরো ভার হবে
বর্ষার গোমড়া আকাশটার মতন

আচ্ছা ! বৃষ্টির অবিরাম ধারা যেমন শুভ্রতা আনে আকাশে
আমরা কি তেমন বৃষ্টি নামাতে পারিনা ?
সব ভুলগুলো মুছে দিতে     mariful89@yahoo.com
চলো আজ বৃষ্টি নামাই
যাবে তো..??

একটি কিউট প্রেমময় কথোকপথন!
:
:
:
:

-মেয়ে: আচ্ছা, তুমি কি সত্যি আমাকে ভালবাস??

-ছেলে: অবশ্যই!

-মেয়ে: তাহলে, তুমি আমাকে I love you বলনা কেন ??

-ছেলে: তো কি হয়েছে ??

-মেয়ে: তার মানে, তুমি আমাকে ভালবাস না!

(মেয়েটি কাদতে কাদতে চলে যাচ্ছিল...ছেলেটি তার হাত ধরে বলল, 'আরে আমার লক্ষি সোনা পাগলী এই তিনটি কথায় কি মনের কথা বলা যায়'!!! কথাটি বলার পর মেয়েটি তার সর্ব শক্তি দিয়ে ছেলেটি কে জড়িয়ে ধরল ♥♥

ফিরে এসো না

তুমি বলো কষ্ট দেবে
কষ্টগুলোকে তো কবেই ছুটি দিয়েছি
শেষ ভালোবাসার বিকেলে
আবার কষ্ট কিসের ?
তোমার মেকি কষ্টগুলোর
কোন ভাবান্তর হবে না এ হৃদয়ে
তার চেয়ে বরং অন্য ঠিকানা খোজ

নতুন করে ভালোবাসবে
সেটাও কি সম্ভব ?
তবে তা আমার পৃথিবীতে নয়
অন্য কোন পৃথিবী খোজ

আজ আমি শূন্য সব স্পর্শ থেকে
তোমাকে দেয়ার মত কোন বিত্তই অবশিষ্ট নেই
তাই আশা নিয়ে ফিরে এসো না
তোমার রং চড়ানো স্বপ্নের পাখা মেলতে
অন্য কোথাও চলে যেও

আমি আর তুমি আজ মুখোমুখি...

শেষ বিকেলের আলো নিজেকে নিঃশেষ করে
যখন ভূবন রাঙ্গালো ....
পাখিরা ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফিরছে ..
তোমার হেয়ালী ডাকে
আমি আর তুমি আজ মুখোমুখি...

আজ আমার আনন্দে আত্নহারা হবার কথা..
তবুও অনূভুতিরা অনুপস্হিত
তোমার জন্য মেকি হাসিরাও ঠোটে ভর করেনা
অথচ শেষ বিকেলে তুমি উদ্ভাসিত..উচ্ছল
যেন বাধ ভাঙ্গা সাগরের জল..

প্রশ্ন জাগে মনে ....

আজ তুমি আমার জমানো ভালবাসা হিসেব নিতে এলে ?
এতটা বছর পর আজ সময় হল তোমার..
ভালোবাসা যাছাইয়ের!
তোমার হিসেবের খাতা তো গুছানো
আমার এলোমেলো জীবন খাতায় দেবার কিছুই নাই
তাই তোমার ফিরে আসাতে আজ কিছু যায় আসেনা

আবেগ মরেছে হেয়ালীর জোয়ারে...
অপেক্ষারা ক্লান্তিতে অচেতন ঘুমে..
তাই আজ তুমিও ফিরে যাও শূন্য হাতে.
একদিন যেভাবে আমি ফিরেছি
পার্থক্য শুধু ...
তুমি ফিরিয়েছ হেয়ালীতে
আর ফিরে যাচ্ছ পাবার মতন কিছু নেই বলে
 
আজও কুয়াশার ওপারেই তুমি

তোমাকে বুঝতে অনেকটা বেলা হয়ে গেল
তবু আজও কুয়াশার ওপারেই তুমি
কতটা বছর একই ছাদের আলো বাতাসে
আমাদের ভোর রাত সন্ধ্যারা আসে
তবুও একসাথে দেখা হয়না প্রকৃতির বিবর্তন
রাতের আকাশ ..
তারার মেলা, পূণিমার প্রহর শেষের ক্লান্তি
ঝিঝিদের একটানা সূর...
কিংবা ভরা বাদলে ব্যাঙের ডাকে..
নেশায় বিভোর আমি
তখন তোমার ঘুমের রাজ্যে বিচরণ
আর শিশির ভেজা ভোরটা আসে
তোমার কর্মব্যস্ততা নিয়ে
শখ আর আবেগগুলো উপেক্ষা করে
তুমি ছুটে চলো
তোমার স্বপ্নের আকাশটা ছোবে বলে
আর ......
আমাদের স্বপ্নে শুধু প্রতিক্ষা প্রহর গুণে
পূর্ণতা পাবে বলে ?

আমি অপেক্ষায় থাকি আজও

একদিন বলেছো....
কোন এক অঝোর শ্রাবণের শেষ বিকেলে
আমার শীর্ণ কুঠিরে তুমি আসবে .....

ঝুম্‌ বৃষ্ঠিতে কাকভেজা তুমি
আমার দুয়ারে দাড়িয়ে
বয়াড়া চুলের দেশে
ভাবলেশহীন দুটি চোখ
দ্বার খোলার অপেক্ষাতে....
আমি অপেক্ষায় থাকি আজও
শ্রাবণ ঝরা শেষ বিকেলে
তোমার প্রিয় ধূমায়িত কফি হাতে

হয়ত নিঃশেষিত সিগারেটের মতন
তোমার মন থেকে স্মৃতিটুকু হারিয়ে গেছে
তবু প্রতিক্ষায় থাকি
তুমি আসবে.......
সেদিন যদি তোমার হাতভর্তী
বেলীর গুচ্ছ ম্লান হয়ে যায়
আমি একটুও রাগ করবনা

 
বিবর্ণ স্মৃতি


যখন সারা দিনের শেষে
সন্ধ্যার লালিমায় ভাসে পুব দিগন্ত
ঘরে ফেরার তাড়না নিয়ে
দ্রুততর হয় ক্লান্ত পথিকের পা

তখনও বসে আমি রাস্তার ধারে
পৃথিবীর ব্যস্ত তাড়া ভুলে হারিয়ে যাই
আমার ছোট্ট শহরটাতে
যেখানে শান্ত শীতের সকাল
টিনের চালে শিশিরের শব্দ
কুয়াশা ঢাকা সূর্যদ্বয়
লেপেরতলায় মায়ের কোলের ওম....
ঘুম জড়ানো চোখে এককাপ চায়ের প্রশান্তি   mariful89@yahoo.com
বারবার ফিরে আসে চোখের তারায়
পাথর বেধে রাখা বুক কস্টে কাতর করে
দুচোখ নিরব নদী সাজে ........
তখন বেচে থাকার জন্য
জীবনের ছুটে চলা মুল্যহীন মনে হয়
ভাল থেক তুমি


তুমি দেখতে কেমন হয়েছ
বল তো ?
এক যুগ আগের মতন...........

লিকলিকে ছেলেটা, চোখে ভারি ফ্রেমের চশমাটা
আজো পরো তুমি ?
এক যুগ দেখিনা তোমায়...
তুমি কি আগের মতন আছো ?
চন্চল, দুরন্ত, বইয়ের পোকা ছেলেটা....
নাকি বদলে গেছ
এক যুগের ব্যবধানে..........??

আমরা এত কাছাকাছি থাকি
তবুও কেন জোজন জোজন দূর ?
আর কোনদিন বন্ধু হবোনা
তুমি...আর..আমি

ছোট্ট বেলার মতন মনোপলি বা ক্যারামে হেরে গিয়ে
চুল ছিড়বোনা তোমার
কিংবা তোমার আধ্‌খানা পড়া গল্পের বইটা
আর লুকাবোনা টেবিলের তলায়...........

ভালই হয়েছে........
তুমি..আর..আমি দূর হতে
বহু.............দূরে যাচ্ছি
নতুবা তোমার বকুনি আর মার কে খায় বল ?

এই তো বেশ ভাল আছি
একটুও মনে রাখিনি তোমাকে
তবুও কৃপনের মত বলি
ভালো থেক তুমি

 
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় কপাল...


বিকেল-
টকটকে লাল কিছু গোলাপ ফুল আমার দিকে বাড়িয়ে ছোট্ট ছেলেটি বেশ জোড়ালো ভাবে বলল-আপা, নেন। এমন করে বলেছে যেন আমি তাকে অনেক বার এই ফুলগুলো আনতে বলেছিলাম। সে আনতে দেরি করেছিলো বলে তাকে বকেছিলাম, তাই সে এখন নিয়ে এসেছে...আমি একটু অবাক হয়ে তাকালাম। একটা হাফ প্যান্ট আর হাফ হাতা ময়লা শার্ট পরা। এক ঝলকে দেখতে পারলাম ছেলেটা কোন হাইফাই কিংবা কোন ঠিকঠাক ফ্যামিলিতে জন্ম নিলে অবশ্যই রাজপুত্র টাইপের দেখতে লাগতো। আমার ভেবেই একটু মন খারাপ হল। আমি ফুলগুলো নিয়ে নিলাম।ভাবলাম এবার ছেলেটা হয়তো একটু খুশি হবে। আমি বেশ আশা নিয়ে তাকালাম। ছেলেটি চুপচাপ টাকা নিয়ে বড় বড় গাড়ির ভিড়ে হারিয়ে গেল। আর আমার আরেকটু মন খারাপ হল কিংবা হয়ত আশাহত হলাম।
সন্ধ্যা-
আমি আমার এক বান্ধুবীর বাসায় গিয়েছিলাম। ওর ঘরের ফুলদানিতে ফুলগুলো অসাধারণ ভাবে মানিয়ে গেল, যেন লাল গোলাপগুলো ওর জন্যই ফুটেছিলো।
-------------------------
আমার মাঝে অনেক সময় অন্য সত্ত্বা বাস করে। যেই আমাকে আমি চিনতে পারিনা। কিছুদিন আগে একটা বাংলা অনলাইন রেডিও ষ্টূডিও তে আমার ছোট্ট একটা শো ছিল। শেষ হওয়ার পর, অনেক বছর কলকাতায় থেকে আসা সেটার এম, ডি একটু কলকাতার টানে মিষ্টি করে যখন বল্লেন-
-“তোমার মা কি তোমার শো শুনেছেন ?"
-নো ম্যাম।
-তুমিকি জানতে না তোমাকে উনি তখন পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে শুনতে পারতেন!!! (উনি অনেক অবাক হয়েছিলেন)
-ইয়াহ ম্যাম। জানি।কিন্তু আমার তাকে জানাতে ইচ্ছে করেনি। আমি যে বলেছি আমি আমার মা কে অনেক বেশি ভালবাসি উনি শুনে ফেললে আমার অনুভূতিটা তখন ধপ করে পরে যেত। আমি সেটা চাইনি।
ওনি ঠায় তাকিয়ে ছিলেন আমার দিকে।
আমি বলেছিলাম-আমরা সবাই আজকাল বাক্সবন্দী হয়ে গেছি। খোলা আকাশ দেখিনা। অফিস করি রুমের মধ্যে সেটাও বাক্স, আমাদের বাড়িগুলোও আসলে এক ধরনের বাক্স। গাড়িগুলোও তো বাক্স। রাতে ঘুমানোর সময় মশারী টানিয়ে ঘুমাই সেটাও বাক্স!!!! আসলে আমরা বাক্সবন্দী না হলে সিকিউর ফিল করিনা। এমনকি নিজেদের খুব কাছের মানুষগুলোকেও আমরা বাক্সবন্দী করে ফেলতে চাই। কি অদ্ভুত!!! আমার খুব প্রিয় একজন টিচার বলেছিলেন-সংকীর্ণ মনের মানুষ যারা তারাই তো ভালবাসে একবার, যার মন বড় যত দেখে ভাল, অবিরত তারাই তো ভালবাসে বারবার.....আমি তখন অনেক ছোট, ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলাম অনেকখন তার দিকে। কিছুই বলিনি। আমি এখন কেন জানি মনে হয় ভালবাসায় সংকীর্ণতা, উদারতা ভেবে ভেবে করার কিছুই নেই। ভালবাসা ভালবাসার মতই সুন্দর।
রাত-
টুনটুন করে আমার মুঠোফোনটা বেজে উঠেছে.....“ওই...তুই কাছে নেই তাই বিচ্ছিরি লাগে রাত, বিচ্ছিরি লাগে দিন, বিচ্ছিরি লাগে সাত, বিচ্ছিরি লাগে তিন......আমি ছোট্ট এই মেসেজটা পড়ে অনেক বেশি খুশি হয়ে যাই। আর সাথে সাথেই অর্নবের গানটা ছেড়ে বসি...
আমি মাঝে মাঝেই ল্যাম্প পোস্টের আলোয় লালচে ঢাকা শহর দেখি, বেঁচে থাকা কে অনেক বেশি আনন্দময় মনে হয় আমার কাছে। মনে হয় অনেকের চেয়ে অনেক বেশি ফাটাফাটি আছি এই আমি। আমার খুব প্রিয় কমলা রঙের মতই আমি রংচঙ্গে.....আমার এই ব্যস্ত জীবনে কখনো বা হুট করে একদিন অনেক দূর দেশ থেকে একটা ফোন আসে, আমি বুঝি অনেক দুরের ওই বিদেশে আমার বন্ধুটার মন আমাদের সবার জন্য, দেশের জন্য,এখানকার সব কিছুর জন্য অনেক কাঁদে...ওর একঘেঁয়ে কথাগুলোও কেন জানি আমার অনেক প্রিয় ধরে যায়। হঠাৎ ও বলে "দোস্ত, একটা গান শুনবি, ভালো গাইতে পারুম কিনা জানিনা...
আমি বলি-----------হূম-----হূম-----গা না ----ইনশাল্লাহ ইনশাল্লাহ অনেক ভাল হবে... ওপাশ থেকে গান ভেসে আসে---------
"আমার মন মজাইয়া রে----------
দিল মজাইয়া মুরশীদ-------------
নিজের দেশে যা-------------------" mariful89@yahoo.com
আমি কাপুরুষ নই

তোমার প্রেমের সদম্ভ পদচারনায়
আমি কুর্নিশ করব তোমাকে,
তাই বলে ভেবনা আমি ভিতু --
নারীর হুঙ্কারে আমি কম্পিত হই ।
তোমার আদরে আশ্রয়ে সোহাগে
লুটিয়ে পড়বো তোমার বুকে ।
সমর্পিত প্রেমে আমি অবনত হব
এই সর্বংসহা ধরণীর মতো ।
আত্মত্যাগের কঠিন ব্রতে বন্ধুর এ পথ
পাড়ি দেব হাসি মুখে, যদি বন্ধু
হাত খানি রাখো মোর হাতে ।
নইলে ইস্রাফিলের প্রলয় শিঙ্গা উপেক্ষা করে
প্রলয় ঘটাবো এ ধরনিতে ।
সহস্র নাগিনীর হিংস্র ছোবল উপেক্ষা করে
দাঁড়াবো তোমার মুখোমুখি ।
তোমার উপেক্ষা অনাদরে প্রজ্জলিত দাবানলে
পুড়ে ছারখার হবে তুমিও ।
আমার চোখে যদি জল ঝরে
সে জলে ভাসিয়ে নেব তোমাকে ।
যে দুটি হাতে তোমাকে জড়িয়ে ধরি ,    mariful89@yahoocom
জেনে রাখ, আমি প্রেমিক
তাই বলে -- কাপুরুষ নই ।

যা বৃষ্টি ধরে যা!"


অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরে, ভাসছে বানে সব
গগন জুড়ে মেঘ গর্জে ভীষণ কলরব!
বাইরে যাওয়া কষ্ট সবার ভিজে সারা গা!
"লেবুর পাতা করমচা যা বৃষ্টি ধরে যা!"
কোমর জলে যাওয়া আসা পথটা আছে ডুবে
যায় না দেখা রবির কিরণ, পশ্চিমে বা পূবে।
ঘন কালো মেঘের ভেলার আকাশ জুড়ে ভাসা-
"লেবুর পাতা করমচা যা বৃষ্টি ধরে যা!"
আর তো কিছুই যায় না শোনা ঝমঝমাঝম
এমন দিনে ঘরের কোণে আটকে আসে দম!
কতই বা আর লাগে ভালো চুমুক দিতে চা!
"লেবুর পাতা করমচা যা বৃষ্টি ধরে যা!"
চারপাশটা আবছা আলোয় যায় না দেখা ভালো
মাঝে মাঝেই তাই কি বিধি মেঘের প্রদীপ জ্বালো?
সেই প্রদীপের শিখায় পোড়ে গাছপালা, খড়-গাদা।
"লেবুর পাতা করমচা যা বৃষ্টি ধরে যা!"
কূল-কিনারা পাই না ভেবে হচ্ছে কী তার হাল    md ariful islam
মাথার উপর রয়েছে যার শতেক ফুটোর চাল!
বাইরে যতই ঝরছে বারি ঘরে কি কম তা ?
"লেবুর পাতা করমচা যা বৃষ্টি ধরে যা!"
সে বার যখন বৃষ্টি এসেছিল মুষল ধারায়
আমি বলেছিলাম দেখ আকাশের কান্না ,
কতটা কষ্টে আকাশ কাঁদতে পারে তা কি তুমি জানো ?
তুমি আমাকে থামিয়ে উচ্চস্বরে হেসে বলেছিলে
তুমি কোথায় দেখলে কান্না ? এ যে বৃষ্টি ,
প্রকৃতির এক অপরূপ অনাবিল সৃষ্টি ;
বোকা আকাশ কি কখনো কাঁদতে জানে নাকি ?
আমি চুপ করে জানালার পাশে দারিয়ে ছিলাম
বাহিরে তাকিয়ে বৃষ্টি দেখছিলাম ,
কোন উত্তর দিইনি সেদিন তোমার প্রশ্নের ...
হয়তো সেদিন কোন উত্তর জানাবার ইচ্ছে ছিলোনা আমার ;
কিন্তু আমি জানতাম আকাশেরও কিছু কষ্ট থাকে
থাকে কিছু যন্ত্রণা , ক্ষোভে ,গর্জনে উন্মাদ হয়ে
এক সময় অঝোর ধারায় বৃষ্টি হয়ে কাঁদে ।
এখন তুমিও জানো , আকাশের কিছু দুঃখ আছে
এখন তুমিও কষ্ট পাও অঝোরে বৃষ্টি ঝরলে ,
আনমনে জানালার পাশে দাড়িয়ে ডুবে যাও অদূরে ;
অবিরাম বৃষ্টির ধারায় খুঁজে ফেরো অনেক প্রশ্নের উত্তর ...
সরল ,গড়ল , পাওয়া না পাওয়ার আরও অনেক
পার্থিব অথবা অপার্থিব প্রশ্ন এসে তোমার মনের জানালায় উঁকি দেয় ,
আকাশের মত তুমিও কষ্ট পাও , মনের আকাশে জমে কালো মেঘ
তোমারও চোখের কার্নিশ গড়িয়ে ঝরে অঝোর শ্রাবণ ।
শুধু আজ আমি আর নেই তোমার পাশে ...
সময়ের ব্যবধানে আমাদের গন্তব্যরা হারিয়েছে ঠিকানা
খোলা জানালা , অবিরাম বৃষ্টি সব কিছু আগের মতই এখনো ,
রদ-বদলের স্রোতে ভেসে গেছি শুধু আমরা দুজনে ।
জানালার গ্রিল ধরে একা একা এখন তোমার বৃষ্টি দেখো
আর অদূর অতীতের ম্রিয়মাণ ভাবনার অতলে ডুবে যাও ,
জানালার পাশে একা একা আমার পাথরের মত দাড়িয়ে থাকা
হাত বাড়িয়ে আর ছুঁয়ে দেখা হয়না আকাশের জল রঙা কান্না ,
এখন তুমি বেশ ভালোই জানো বৃষ্টি রহস্য , চিনতে শিখেছ
বৃষ্টির জল রঙ , কালো মেঘদের অর্থ ।

তুমি পাশে থাকলে,
তোমার হাত ধরে বেরিয়ে আসব ধ্বংসস্তুপ থেকে,
ভাঙ্গা পৃথিবীকে আবার সাজাবো নতুন করে ।
তোমার শাড়ির আঁচল বিছিয়ে বানাবো বিস্তীর্ণ মাঠ,
স্তনের আদলে বানাবো পাহাড়,
টলটলে গভীর চোখ থেকে বানাবো সমুদ্র,
চোখের জল দিয়ে বানাবো ঝরনা থেকে নদী,
তোমার মনের রঙ দিয়ে সাজাবো সবুজ বন ,
চোখ থেকে স্বপ্ন নিয়ে সাজাবো এক স্বপ্নিল পৃথিবী ।
তারপর, তোমার বুক থেকে ভালবাসা নিয়ে
ছড়িয়ে দেব পৃথিবীময় ,
তুমি পাশে থাকলে ------
আবার নতুন করে শুরু হবে সভ্যতা
আজকের এই অসভ্য সভ্যতা কে ভুলে ।

আমি এক পথিক....

আমি অজানার পথে হাঁটা এক পথিক.....হেঁটে চলি, চলছি.......
খুঁজি মনের গহিনে লুকিয়ে থাকা...হারিয়ে ফেলা অতীত ভালোবাসা.....
আমি দেখিনি তাকে.....শুনেছি সে আমায় ভালোবাসে......
তার খঁজেই আমি পথ চলছি........
পাবো কিনা জানি না.....আছে কিনা তাও জানা নেই......
তার ভালোবাসার সম্মানেই আমি অদূর অজানায় ছুটে চলছি......

মাঝরাত ! একটি সত্যিকারের ভয়ংকর গল্প
লিখেছেনঃ সূর্য চৌধুরী

ঘটনাটি একেবারেই সত্য । ঘটেছে রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় । এটি ঘটেছে আজ থেকে অনেক বছর আগে ।
আমাদের এলাকায় কবির নামক এক লোক ব্রয়লারে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন যিনি কাজের চাপে প্রতিদিনই বেশ রাত করে বাড়ি ফিরতেন ।
একরাতে তিনি একা বাসায় আসছিলেন ।
সেদিন টিপটাপ বৃষ্টি হচ্ছিল ।
ঠিক নদীর ধারে শ্বশানের সামনে তাকে নিয়ে আসা CNG টা নষ্ট হয়ে যায় । এই শ্বশান নিয়ে অনেকেরই অনেক কথা আছে ।
তিনি ভয় পেয়ে যান ।
তবে একটু সাহস সন্ঞ্চয় করে তিনি পায়জামার গুজিয়ে হাঁটছিলেন ।
একটু সামনেই তিনি শিবগন্জ এর মোড় পান এবং সেখানে একটি চায়ের দোকানে চা খেয়ে আবার অন্ধকার রাতে একা হাঁটা দেন ।
বৃষ্টির রাতে ছাতা ছাড়াই তিনি হাঁটতে হাঁটতে বুঝতে পারেন যে তিনি একা নন ।
তার পিছনে একটা কালো কুকুর আসছে . . .
এবার তিনি একটা শব্দে পিছনে তাকান ।
স্বস্তি !
একটা কার গাড়ি এদিকে আসছিল বলে মনে হয় . . .
হ্যাঁ ঠিকই । এটা তার বন্ধুর কার , যে বন্ধুটি নওগাঁ সদরে থাকেন । হয়তো তিনি আসছেন ভেবে কবির দাঁড়িয়ে যান ।
গাড়িটির সামনে হেডলাইট জ্বলছিল । তবে এর গতিটা একটা সাধারন মানুষের হাঁটার চেয়ে একটু কম । অর্থাত্‍ গাড়িটি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল ।
কবির সাহেব এর সামনে এসেই গাড়িটির দরজা সয়ংক্রিয়ভাবে খুলে গেল ।
কবির ভয় না পেয়ে ক্লান্ত থাকায় তাড়াতাড়ি করে গাড়ির পেছনের সিটে বসে পড়ে সামনে না তাকিয়েই ।
গাড়ি চলছে . . . . . .
চলছে . . . . .
কোন শব্দ নেই । এমন কি ইন্জ্ঞিনেরও শব্দ নেই ।
বাহিরে কেবল বৃষ্টির শব্দ ।
.
কিন্তু ব্যাপারটা বুঝতে কবিরের একটু সময় লেগে গেল ।
সে ভয় পেল যখন দেখল গাড়িতে কোন চালক নেই । অর্থাত্‍ গাড়িতে তিনি একা ।
অথচ এখনও গাড়ি চলছে . . .
পরিস্থিতি কবিরকে কোন যুক্তি বা ব্যখ্যা খোঁজার সময় দিলনা ।
কবির সাহেব বাম হাতে দরজা ঠেলে বাইরে লাফ দেন এবং জোরে দৌড় শুরু করেন ।
পেছন থেকে শুধু একটাই কথা শোনা যাচ্ছিল ,
"কবির যাসনে কবির যাসনে ।"
কবির আরও জোরে দৌড় দিল ।
এবার পেছন থেকে অট্রহাসির শব্দ পাওয়া গেল ।
কবির পড়ে গেল . . . . .
পরদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকা হ্নদরোগে আক্রান্ত কবির কে দেখতে এসেছেন অনেকেই ।
এসেছেন সেই বন্ধুটি যার কার গাড়ি নিয়ে ঘটনা ।
তার বন্ধু তাকে জিজ্ঞেস করলো ,
কাল রাতে ওভাবে চলে এলি কেন ?
কবির ভ্রু কুচকিয়ে বলল কিভাবে আর কখন ?
তার বন্ধুটি বলা শুরু করলো , নওগাঁ থেকে আসার পথে গাড়ি পান্চার হয়ে গিয়েছিল তাই হেডলাইট জ্বালিয়ে রেখে আমি পেছনে ঠেলে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম । তোকে দেখে থামিয়ে দরজা খুলে দিতেই তুই ভেতরে ঢুকে পড়লি । ক্লান্ত ছিলি তাই ডাক দিইনি । কিন্তু যখন দেখি তুই বের হয়ে দৌড় দিলি তখনই আমি তোকে পেছন থেকে ডাকছিলাম । অথচ তুই পালিয়ে যেতে গিয়ে হঠাত্‍ পড়ে গিয়ে জ্ঞ্যান হারালি ।
কবির আর হাঁসি ধরে রাখতে পারেনা । হাঁসতে হাঁসতে লুলুপুটি ।
কবির সাহেব তার ভয় পাওয়ার কথা বন্ধুকে জানালেন । তার বন্ধূটিও হেঁসে বাঁচেনা ।
হাঁসিটা স্থায়ী হতো যদি গল্পটা এখানে শেষ হতো ।
গল্প গুজব করার পর তার বন্ধুটি যখন বাসায় ফিরছিলেন তখনই কবির জানতে পারেন যে মাঝপথে তার বন্ধুটি এক্সিডেন্টে মারা যান ।
বিঃদ্রঃ এটি একটি সত্য ঘটনা তবে একটু আলাতা ফিতা চুরি ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে । সত্য মিথ্যার যাচাইয়ের জন্য এটি নয় ।
অপেক্ষার আক্ষেপ

সহস্র রজনীর অপেক্ষার আক্ষেপ তুমি
তুমি অপরিণত ভালোবাসার সজীবতা
শিরির হৃদয়ে তুমি অজেয় প্রেমের আক্ষেপ
তুমি দুর্বিনীত সময়মাত্রা
সময়ের কাছে তুমি থামতে চাওয়ার আক্ষেপ
তুমি নবপরিণীতার নতুন পাওয়া
নতুনত্বের তুমি বুড়িয়ে যাওয়ার আক্ষেপ।
সহস্র রজনীর অপেক্ষার আক্ষেপ তুমি
তুমি নির্জনতায় হারিয়ে যাওয়া সুর
ভুলের কাছে তুমি শুধরে নেয়ার আক্ষেপ
তুমি জ্যোৎস্নামাখা রাতের কাঙ্খিত সতেজ ভোর
শুকনো পাতার মনে তুমি মর্মরতার আক্ষেপ
তুমি স্বচ্ছ জলে রামধনুকের প্রতিচ্ছবি
আদির বুকে তুমি প্রান্ত ছোঁয়ার আক্ষেপ।
সহস্র রজনীর অপেক্ষার আক্ষেপ তুমি
তুমি ভোরের আকাশে হারিয়ে যাওয়া তারা
আঁধার ফেড়ে তুমি আলো ছড়ানোর আক্ষেপ
তুমি নির্ভীক নাবিকের ঢেউয়ে ভাসানো তরী
পালের গায়ে তুমি ঝড়ো হাওয়ার আক্ষেপ
তুমি স্রোতস্বিনীর বুক চিরে ছুটে চলা জল
চলমান গতির মাঝে তুমি অস্থিরতার আক্ষেপ।
সহস্র রজনীর অপেক্ষার আক্ষেপ তুমি
তুমি জীবন মাঝে পালিয়ে বেড়ানো ভীত সৈনিক
সরলতার সারল্যে তুমি বক্রতাময় আক্ষেপ
তুমি অজানার পথে পাড়ি জমানো ক্লান্ত-শ্রান্ত পথিক
বিধ্বস্ত এক যোদ্ধা তুমি তরুণ প্রাণের আক্ষেপ
তুমি স্বাধীনতার আক্ষেপ, তুমি গণমানুষের আক্ষেপ
তুমি চাওয়ার সাথে প্রাপ্তি না মেলা চিরন্তন অপেক্ষার আক্ষেপ।

রবিবার, ২৪ জুন, ২০১২

ভালোবাসার মানুষটি হয়তো আপনার থেকে অনেক অনেক দূরে চলে গেছে, হয়তো তার জীবনে আপনার জন্যে কোনও অপেক্ষা নেই, নেই কোন চাওয়া পাওয়া, নেই কোন বেহালার সুর......... তবু যখন রাত নামে পৃথিবীতে , তারারা খেলা করে অন্ধকার আকাশ জুড়ে, বারান্দার গ্রিল ধরে একবার কি আপনি আনমনে বলে উঠেন নি কোনদিন ।
"জোছনা"
লিখেছেনঃ মীম নোশিন নাওয়াল খান  md ariful islam

-তোমার নাম কী ? বাসার নতুন কাজের মেয়েটির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো আশফা।
-জোছনা। ভয়ে ভয়ে উত্তর দিলো মেয়েটি।
-তুমি এখন থেকে আমাদের বাসায় থাকবে ?
-জি।
আশফা আর কোনো প্রশ্ন না করে নিজের ঘরে চলে গেলো।
-শোনো জোছনা, তুমি তাশফা আর আশফার সঙ্গে ওদের ঘরে শোবে। তবে তোমার জিনিসপত্র ওই ঘরটায় রাখবে। আশফা আর ওর বড় বোন তাশফার পড়ার ঘর দেখিয়ে দিলেন মা।
আশফা ওর টেডি বিয়ারটাকে কোলে বসিয়ে বই পড়ছে। ফেলুদার বই। ঠিক এই সময় ঘরে ঢুকলো জোছনা। হাতে পানিভর্তি বালতি আর ন্যাকড়া। সে ঘর মুছতে এসেছে।
-তুমি এখানে এসেছ কেন ? প্রশ্ন করলো আশফা।
—ঘরটা মুইছে দেই, বললো জোছনা।
-তুমি জানো না, কারও অনুমতি না নিয়ে তার ঘরে ঢুকতে নেই? কেন এসেছো তুমি ? বেরিয়ে যাও। এক্ষুনি বেরিয়ে যাও। চেঁচিয়ে উঠলো আশফা। সে জোছনার হাতের বালতিটা এক ঝটকায় ফেলে দিলো। প্রচণ্ড শব্দে ছুটে এলেন মা।
-এসব কী ? এগুলো কী করে হলো ? প্রশ্ন করলেন মা। জোছনা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখ জলে ভেজা।
-ওকে আমার ঘরে কেন পাঠিয়েছ ? ও আমার ঘরে কেন এসেছে ? চিত্কার করে বললো আশফা।
-আহ আশফা! ওরকম বলতে হয় না। ও জানতো না, ভুল করে ফেলেছে। তুমি ওকে সব শিখিয়ে দেবে। তাহলেই ও শিখে যাবে। আর কোনো অসুবিধা হবে না, বললেন মা। আশফা কোনো কথা বললো না। মা তার মাথায় হাত বুলিয়ে জোছনাকে পানিটা মুছতে বলে চলে গেলেন। রাতে জোছনা বালিশ-কাঁথা নিয়ে আশফার ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
-আসুন আশফা আপু ?
-কী চাও ?
-খালাম্মা কইলো আপনার এইখানে থাকতে।
-আমি তোমাকে এখানে থাকতে দেবো না। আমি আর আপু এখানে শোব।
-আমি মাটিমে ঘুবাম আপু।
-না, তুমি এখানে শোবে না। বললো আশফা।
-ছি. আশফা, মা ওকে এখানে শুতে বলেছে। তুমি নিষেধ করছো কেন? ও তোমাকে বিরক্ত করবে না। শুধু এখানে শোবে। ওকে আসতে দাও। তুমি এসো জোছনা। বললো তাশফা। জোছনা ঘরে ঢুকে এককোণে বালিশ রেখে তাতে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লো। গায়ে দিলো ছেঁড়া কাঁথা। আশফা তার টেডি বিয়ারটা নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো।
-এ কী! তুমি খালি মেঝেতে ঘুমোচ্ছ কেন ? ঠাণ্ডা লাগবে যে। আর ওই ছেঁড়া একটা কাঁথায় শীত মানে নাকি ?
দাঁড়াও, আমি চাদর বের করে দিচ্ছি। কাঁথাটা মেঝেতে বিছিয়ে চাদরটা গায়ে দাও।
-লাগব না আপু।
-বলেছে তোমাকে লাগবে না।
তাশফা ওর একটা শাল বের করে জোছনাকে দিল। জোছনা সেটা গায়ে জড়িয়ে শুয়ে পড়লো।
প্রতিদিন বিকেলে আশফা আর তাশফা ব্যাডমিন্টন খেলে। একদিন ওরা যখন খেলতে গেছে, তখন জোছনা ঘর মুছতে ওদের পড়ার ঘরে ঢুকলো। আশফার পড়ার টেবিলে ক্লাস ফোরের বই। সেগুলো দেখে জোছনা ধীরে ধীরে বইগুলোর দিকে হাত বাড়লো। বাংলা বইটা তুলে নিয়ে পৃষ্ঠা ওল্টাতে লাগলো।
-তুমি আমার বই ধরেছো কেন ? এত্ত বড় সাহস তোমার! দাও আমার বই। জোছনার হাত থেকে বই নিয়ে নিলো আশফা।
-আশফা, ছিঃ মা! একদম এভাবে কথা বলবে না। ও তো শুধু ওগুলো দেখছিলো। কিছু তো আর নষ্ট করেনি, বললেন বাবা।
-জোছনা, এদিকে এসো। কী হয়েছে বলো তো। জিজ্ঞেস করলেন মা।
-খালাম্মা, আমি তো ফোরে পড়তাম, আশফা আপুর মতো বই-খাতা আমারও ছিল। তাই একটু দেখতে ছিলাম।
-তুমি পড়া ছাড়লে কেন ? জানতে চাইলেন বাবা।
-কী করুম কন খালুজান ? দুই বেলে খাওন নাই, মায়ে ইশকুল ছাড়ায় দিয়া ঢাহায় (ঢাকায়) পাঠাইলো। ছলছল চোখে বললো জোছনা।
-তুমি ফোরের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছো ? প্রশ্ন করলো তাশফা।
-দিছি, তয় রিজাল্ট পাওনের আগেই...। দীর্ঘশ্বাস ফেললো জোছনা।
-আগামীবার তোমাকে ক্লাস ফাইভে ভর্তি করে দেব, বললেন বাবা।
জোছনা প্রায়ই আশফার বই-খাতার দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু আশফা কখনই ওকে সেগুলো ধরতে দেয় না। একদিন মা আশফাকে কাছে ডাকলেন।
-আশফা, জানো, বাংলাদেশকে সুন্দর করতে কী দরকার ?
-কী ?
-সবার লেখাপড়া জানা দরকার। অথচ আমাদের দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ অশিক্ষিত। লেখাপড়ার মূল্য তারা বোঝে না। সেখানে জোছনা সাগ্রহে পড়তে চায়। এটা ভালো কাজ। জানো, ভালো কাজে সাহায্য করলে সওয়াব হয়। আর না করলে গুনাহ হয়। তাহলে তোমার কী করা উচিত ?
আশফা চুপ করে রইলো।
আজ ১ জানুয়ারি। নতুন বছরের প্রথম দিন। গতকাল বাবা-মা সবার জন্য উপহার কিনে এনেছেন। তবে জোছনার জন্য কিছু কেনা হয়নি। কিন্তু আশফা জোছনার জন্য উপহার রেখেছে। সে বাবাকে বলে দুই সেট বই-খাতা কিনেছে। একসেট তার, আরেক সেট জোছনার। সঙ্গে নিজের এক বাক্স রং পেন্সিল আর একটা পেন্সিল বক্স রেখেছে জোছনার জন্য। এটা জোছনার নববর্ষের উপহার।
আশফা আর জোছনা এখন একসঙ্গে পড়াশোনা করে, খেলে আর গান গায়।
আজ যেমন মা ঘরে ঢুকে দেখলেন আশফা আর জোছনা হাতে হাত রেখে গাইছে—
‘আমরা করব জয়, আমরা করব জয়,
আমরা করব জয় একদিন...।

ভোরের স্নিদ্ধ শিশির যখন, ঘাসের বুক ছুয়ে যায়…
তোমাকে ভালবাসি।
যখন সকালের স্বচ্ছ আলো,জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে যায়...
তোমাকে ভালবাসি।
যখন রোদেলা দুপুর, ক্লান্তি এ দেহ কে আঁকড়ে ধরে...
... তোমাকে ভালবাসি।
যখন বিকেলের হিমেল হাওয়া, গাছের পাতা দোল দিয়ে যায়...
তোমাকে ভালবাসি।
যখন রাতের কোলাহোল থেমে যায়, নিস্তব্ধ চারিপাশ, আকাশের বুকে তারার মেলা,
তোমাকে ভালবাসি।
যখন পৃথিবী ঘুমে মগ্ন, ঝি ঝি পোকার আওয়াজ ভেসেআসে দু'চোখের পাতা শান্ত হয়ে যায়...
তোমাকে ভালবাসি।
যখন সমাজ, সংস্কৃতি শিকল ভেঙ্গে স্বপ্নের রাজ্যে হারিয়ে যাই, ভেসে বেড়াই সুখের ভেলায়...
তোমাকে ভালবাসি।
আমার প্রতিদিন প্রতিক্ষন প্রতি নিঃশ্বাসে আমি তোমাকেইভালবাসি........ .. md ariful islam

"জানি তুমি ফিরে আসবেনা"

তুমি নেই,
জানি তুমি ফিরে আসবেনা কখনো,
হইতো অনেক কষ্টের মাঝে পাবোনা তোমার সান্তনা,
তোমার হাসিতে লুকানো থাকবেনা_ খুব গোপনে লালন করা আমার কষ্ট গুলো,

... ... ... তবু আমি জানি,
আমি তোমাকে ভালোবেসে যাব ,
কারন তুমি না থাকলেও_______
তোমার ভালবাসা আমার সাথে থাকবে  md ariful islam
প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিতি সময়......

সেদিনের সেই তুমি কত বদলে গেছ


সেদিনের সেই তুমি কত বদলে গেছ
আমার পৃথিবী আজও তেমনি আছে,
যেমন দেখেছ॥

কোথায় সেই সুর, সেই গান
প্রাণে প্রাণে এত মান অভিমান
মনে হয় যেন তুমি আজ    MD ARIFUL ISLAM
সবই ভুলে গেছ॥

সেইসব দিন আজও আমায়
আকুল করে ডাকে
যেতে যেতে পথে এখনও
আমি দাড়াই থমকে॥

আজ ও আমি যে গানে গানে
স্মরণ করি দিনগুলি মনে মনে
জানিনা তুমি আজ
কোন পথে চলেছ॥

স্বপন দেখতে ভাল লাগেনা......"


ভুলে আছি ভাল আছি,
সেদিনের কথা আর তুলো না
দূরে আছি, বেশ আছি
আমায় কাছে ডেকনা॥

রাতের স্বপ্ন প্রভাতে জাগরণে
তুমি আর জাগায়ো না মিছে স্মরণে
নতুন করে আমি আর
দুঃখ পেতে চাইনা॥

স্বপন দেখতে ভাল লাগেনা এখন
স্বপন দেখলে বাড়ে জ্বালা অকারণ,
মিলনের সুখ তো আমার
কখনো প্রাণে সয়না॥ MD ARIFUL ISLAM
"একদিন জানবে........."

একদিন জানবে
হঠাৎ চলে গেছি পৃথিবী ছেড়ে
বুক ভরা অভিমান নিয়ে
এই বুকের ভেতরে॥

কতটা দুঃখ হতাশা নিয়ে
জীবনটা দিয়েছি আমি কাটিয়ে
কেউ না জানুক
তুমি তো জানো ভালো করে॥

তুমি তো জানো কার কারণে
এতটা অসুখী আমি এই জীবনে
কতটা কষ্টে আছি..........॥

"ভালবাসার মানে"

ভালবাসা মানে তোমায় না পাওয়া,

ভালবাসা মানে তোমায় পেয়েও হারানোর ব্যর্থতা,

ভালবাসা মানে কল্পনার সাগরে ডুবে যাওয়া,
...
ভালবাসা মানে বাস্তবতার পথ ধরে হেঁটে যাওয়া,

ভালবাসা মানে তোমায় ভেবে কাটে রাতের নিস্তব্ধতা

ভালবাসা মানে উকি দেয় চাঁদ,

ভালবাসা মানে পথ হারাও তারার মেলায়
যদি কখনো বুঝতে পারো ভালবাসি তোমায় এতটা,

তবে তাতেই হবে আমার জীবনের পূর্নতা....!!!

ভোরের স্নিদ্ধ শিশির যখন, ঘাসের বুক ছুয়ে যায়…
তোমাকে ভালবাসি।
যখন সকালের স্বচ্ছ আলো,জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে যায়...
তোমাকে ভালবাসি।
যখন রোদেলা দুপুর, ক্লান্তি এ দেহ কে আঁকড়ে ধরে...
... ... তোমাকে ভালবাসি।
যখন বিকেলের হিমেল হাওয়া, গাছের পাতা দোল দিয়ে যায়...
তোমাকে ভালবাসি।
যখন রাতের কোলাহোল থেমে যায়, নিস্তব্ধ চারিপাশ, আকাশের বুকে তারার মেলা,
তোমাকে ভালবাসি।
যখন পৃথিবী ঘুমে মগ্ন, ঝি ঝি পোকার আওয়াজ ভেসেআসে দু'চোখের পাতা শান্ত হয়ে যায়...
তোমাকে ভালবাসি।
যখন সমাজ, সংস্কৃতি শিকল ভেঙ্গে স্বপ্নের রাজ্যে হারিয়ে যাই, ভেসে বেড়াই সুখের ভেলায়...
তোমাকে ভালবাসি।
আমার প্রতিদিন প্রতিক্ষন প্রতি নিঃশ্বাসে আমি তোমাকেইভালবাসি........ ..
আরো দেখুন
আমি অন্ধকার আকাশের তারা......"


আমি অন্ধকার আকাশের তারা, আঁধারের মাঝে জ্বলি একা একা
আমার গোপন কান্না রাতের গহন আঁধারে থাকে ঢাকা।
...
নয়নে আমার কত যে আশার ছিল স্বপন
আজ স্বপ্ন আমার ভেঙেছে, ভেঙেছে মন
অশ্রুভেজা আজ এ দুটি আখি কাজল আঁকা।

আলোকের নিচে আঁধারের খবর কেউ রাখে না
কেউ বুঝে না তাই আমার মর্ম বেদনা
আমার মর্মবেদনার সাক্ষী শুধু আমি একা ॥
আরো দেখুন
"আমার অতীত বলে কিছু নেই......."


আমার অতীত বলে কিছু নেই,
আছে কিছু স্মৃতি বেদনা-ভরা
... আমার ফাগুন বলে কিছু নেই,
আছে কাটার জ্বালা বুক-ভরা॥

দুখের পরে সুখ, সুখের পরে দুঃখ জানি
এই নিয়মে চলছে তো ধরণী-
আমার দুখের পরে দুঃখ আসে,
আমার সবই মিথ্যে দিয়ে গড়া ॥

রাতের শেষে দিন আসে, দিন শেষে রাত
আমার রাতের পর আসেনা প্রভাত-
আমার জীবন বলে কিছু নেই,
আছে প্রাণ এক যন্ত্রণা-ভরা॥
আরো দেখুন
নিঃস্তব্ধতা"

আমার পৃথিবীটাকে আমি ছোট করে নিয়েছি,
একান্ত নিজের মতো করে,
দিন গড়িয়ে রাত অতঃপর আবার দিন,
... কখনো কোলাহলমুখর,
কখনো নিঃস্তব্ধ-শান্ত ।
... মাঝে মাঝে এই নিঃস্তব্ধতাকে বড্ড অসহ্য মনে হয়
ঠিকই কিন্তু তাই বলে ভেবোনা... তুমিহীন
একাকী আমি ভালো নেই;
বেশ ভালো আছি আমি আমার
নিঃসঙ্গ, নিঃস্তব্ধ-শান্ত পৃথিবীটাতে..... .
আরো দেখুন
জীবন আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে"

জীবন আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে,
কখনো কেঊ ভালোবেসে আগলে রেখেছে,
কখনো সেই ভালোবাসা আমাকে নিঃশেষ করেছে,
... কেওবা তার প্রয়োজনে ব্যাবহার করেছে।
কখনো বন্ধুরা অনেক সুখ দিয়েছে,
... আবার তাদেরই কেও আত্মহত্যা করার জন্য বাধ্য করেছে।
কখনো ভালবাসার মানুষের চোখে অবহেলা দেখেছি।
কখনো কারো অসীম ভালোবাসায় নতুন জীবন পেয়েছি।

জীবনে অনেক কিছু দেখেছি,
খুব প্রিয় মানুষের মৃত মুখ দেখেছি।
কারো মুখে হাসি ফুটিয়েছি।
তো কাওকে অনেক কষ্ট দিয়েছি।
দেনা পাওনার হিসেব এখন আর মিলাই না।
চাওয়া পাওয়ার হিসেব কসতে সাহস হয়না।
সব কিছুই হয়ত পেয়েছি জীবন থেকে,
শুধু পাইনি খুঁজে আমার মাঝে লুকিয়ে থাকা আমিকে ।
আরো দেখুন

বুধবার, ২০ জুন, ২০১২

তোমাকে ছাড়া.......



বন্ধি জীবন মুক্তির সাধ পেলনা এখন তুমি কোথায়
... জীবনের প্রথম বেলাতে এসেছিলমি আবার নিজেকে হারালে
এমন নিষ্ঠুর জীবন উপহার দিলে এখনো অপেক্ষায়।
ভালবাসার মানে যদি মিথ্যা আশ্বাস হয় তুমি কে ?
সাজানো জীবনটাকে এলোমেলো করলে আমার
আমি কি ভুল করেছিলাম তোমাকে ভালবেসে বল।
তুমিও ভালবাসা পেতে চাও তাহলে কেন এই ব্যবধান
ক্ষনিকের মায়ায সাজাতে এসে অনেকটা ক্ষতিই করলে
বিনিময়ে যা দিলে তা হয়তো উপহাস না হয় করুনা।
কোনটাই চাইনি তাহলে এমন উপহার কেন দিলে
প্রেম ভালবাসা এটাতো ত্যাগের ব্যাপার না হয় আমার থাক
তুমিই সুখে থাক তোমার মতো করে কখরনা বলবনা।
জীবনতো একটাই আর কখনো ভুল হবেনা আমার
বলবনা ভালবাসা দাও আমাকে আমি একাই থাকব
স্মৃতির পরসা সাজিয়ে এখনো প্রকৃতির মাঝে তোমাকে ছাড়া।
আরো দেখুন
তোমার জন্য

তোমার জন্য আমার কবিতা তোমার জন্য গান
তোমার হাসিতে হৃদয় জুড়ানো তোমার হাসিতে প্রাণ
তোমাকে জড়িয়ে প্রথম পেয়েছি জীবনের সন্ধান
... ভুলতে পারিনা যেখানেই যাই তোমার এই প্রতিদান
তুমি তো আমায় দিয়েছো প্রথম সূর্য্যরে ভৈবব
তোমার দুপুর দিয়েছে নুপুর দুরন্ত শৈশব
আমার মনের সবটুকু রঙ সবটুকু আরাধনা
তোমার জন্য আমার সুর আর শব্দের ব্যঞনা
তুমি আমার স্বপ্ন সাহস আমার অহংকার
তুমি আমার কাব্য গানের শ্রেষ্ঠ অলংকার
তোমার সঙ্গে রয়েছে আমার সু-গভীর বন্ধন
তুমি আমার হৃদয়ে দিয়েছো সুবাসিত চন্দন
তোমার কাছে আমার রয়েছে লক্ষ হাজার ঋন
যতো দুরে যাই হৃদয়েতে তাই তুমি থাকো অমলিন
যতোবার আমি তোমাকে দেখি চোখে অপরূপ লাগে
তোমাকে ভাবলে মনের ভিতরে নতুন স্বপ্ন জাগে
তোমাকে ঘিরে স্বপ্ন আমার তোমাকে নিয়েই আশা
তুমি যে আমার এই জীবনের শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা

রক্তের আখরে হৃদয়ে লিখেছি তোমার নামটি আমি
তোমার জন্য আজিবন রবো মিছিলে অগ্রগামী
তোমার জন্য বাঁচবো এবং তোমার জন্য মরবো
তোমার মুখের হাসির জন্য প্রাণপণে আমি লড়বো
জীবনের সাথে মিশে আছো তুমি বিপ্লবে সংগ্রামে
এ জীবন বাজী রাখতে যে রাজি হে প্রিয় তোমার নামে
তোমার বুকেতে লাগলে আঁচড় আমি দেই চিৎকার
তোমার শোকেতে আমার হৃদয়ে বয়ে যায় হাহাকার
প্রেমিকার ঠোঁঠে তুমি যে রয়েছো ভালোবাসা চুম্বনে
পৃথিবীর পথে আমি যে ঘুরাই তোমার স্বপ্ন বুনে
তোমার হাসিতে আমার মুখেতে ফুটে ওঠে যেন হাসি
আমার সোনার বাংলা আমি - তোমায় ভালোবাসি
দূর নীলিমার কষ্ট.....


ঝলমলে স্বর্ণালী দিনের
গাঢ় নীল আকাশর মাঝে,
... দেখি সাদা মেঘেদের
এদিক সেদিক উড়ে চলা।
নির্মল বাতাসের দূরন্ত বেগে
হেলে পড়েছে সামনের,
সবুজ পাতায় ভরা গাছ গুলো।
বাতাসের ঝাপটায় যেন
হীমসীম খাচ্ছে তারা।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে
আমি আজ একাকী,
অনুভব করছি বাতাসের
এই দূর্ণিবার স্পর্শ।
বহুদিনের দম আঁটকে রাখা
ফুসফুসটাকে আজ করেছি,
সব বাঁধন থেকে মুক্ত।
টাইটানিক ছবির মত দুবাহু মেলে,
আলিঙ্গন করছি দূরন্ত বাতাসের ছোঁয়া।

কি পরমশান্তি এই বাতাসে !!!!
যেন ভেতরের সব ক্লান্তি মুছে দেয়।

আজ এই ঝড়ো হাওয়ায়
উড়িয়ে দিতে চাই,
আমার মনের সব
ধূলিময় কষ্ট গুলো কে।
যেমনি করে উড়ে যাচ্ছে
খড়কুটো আর ঝরাপাতা,
তেমনি ভাবে আমার
কষ্টের পাতারা ঝরে যাবে,
উড়ে চলে যাবে
দূর থেকে বহু দূরে,
সীমান্তের বাইরে।
কষ্টের নীল যেয়ে মিশে যাবে,
সুদূর নীলিমার গাঢ় নীলের মাঝে।
আমি দূরের এই পৃথিবী থেকে
মাঝে মাঝে চেয়ে দেখব,
আমার সেই কষ্ট গুলোকে।
আরো দেখুন
অপার্থিব প্রেমময় জীবন
===============

প্রেম আমারই কাছে আকাশে উদাসীন মেঘ,
খুঁজে পাও কোথাও স্বপ্ন,
... কোথাও গন্ধ,
কোথাও স্মৃতির স্নিগ্ধ বকুল কুড়ানোয় বিভোর তুমি,
ব্যর্থতার খোঁজে…।।

আমায় আদিম শূন্যতারা
অক্টোপাস হয়ে ঘিরে ধরে
সবটুকু ভালোবাসা নিঃশেষে
ফেলে রেখে যায় একাকী
ঠিকানাহীন এক যাযাবর মানুষ করে।।

তোমাকে আষ্ট্রে-পৃষ্ঠে
বেঁধে রাখতে চেয়েছি আমার হৃদয় প্রকোষ্ঠে
অতঃপর দীর্ঘশ্বাস বুকে রেখে থমকে দাঁড়াই
দেখি আমারই মতো গন্তব্যহীন উড়ে যায় পাখির ঝাঁক।।

শত আলোক শিখা, প্রাণময় জীবন বিসজর্ন দিয়ে
জয় করতে চেয়েছি ভালোবাসা
শুধু তোমাকে পাওয়ার আশায় হয়ে উঠছিলাম
এক মৃত্যুঞ্জয়ী মাতাল জোনাকী …
তুমিই বর্তমান, তুমিই ভবিষ্যত
এমন অপার্থিব প্রেমময় জীবন
ক''জনের কপালে জোটে. . ?
আরো দেখুন
বৃষ্টি ভেজা দিনগুলি.....



অঝোরধারায় কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে শুনলে মনের ভেতরে একটা চঞ্চল শিহরণ এখনো জেগে উঠে। মন চলে যায় অতীতের ফেলে আসা মধুর কিছু স্মৃতির মাঝে,যেখানে মিশে আছে আমার শৈশব আর কৈশরের বৃষ্টি ভেজা দিনগুলি।ব্লগে বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি নিয়ে অনেকের খুব সুন্দর সুন্দর লেখা পড়ছি।বাংলাদেশের মানুষেরা বৃষ্টির আনন্দ নিচ্ছে শুনে অজান্তেই নিজের মনটা কেমন যেন আনচান করে উঠলো।

আমার এইখানে বৃষ্টি হলেও বাংলাদেশের মত কালবৈশাখীর ঝড় এখনো দেখিনি। সেই ঝড় দেখার জন্য প্রাণটা যেন ছটফট করে উঠছে। ছোটবেলার অভ্যস বৈশাখ মাসে কালবৈশাখীর ঝড় না দেখলে যেন মন ভরে না...সারা আকাশ কালো করে চারিদিক স্তব্ধ হয়ে থাকে কিছুক্ষণ, তারপরে হঠাৎ করে ঠান্ডা দমকা বাতাস শুরু হয়, সেই ঠান্ডা বাতাসটা আমার অনেক প্রিয়...ভাবলে এখনো কত ভাল লাগে। আকাশটা গাঢ় ধূসর কালছে রঙের হয়ে গেলে ঢাকার সাদা সাদা বিল্ডিং গুলো আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠে। তখন মানুষজনের ছুটোছুটি, ময়লা, পলিথিন ব্যাগ আর নানা রকম জিনিষের উড়াউড়ি দেখতে অনেক ভাল লাগত আমাদের বাসার বারান্দা দিয়ে। রাতের বেলা যখন ঝড়ের জন্য ইলেক্ট্রিসিটি চলে যেত, আমরা অন্ধকারের মাঝে বসে থাকতাম আর অদ্ভুত একটা ভাল লাগাময় ভয় লাগতো মনে। জোরে জোরে আলোর ঝলকানি দিয়ে বিজলী চমকাতো আকাশে আর আমি তাড়াতাড়ি দুহাতে কান চেপে ধরতাম, মেঘের ঘর্ষণের বিকট শব্দটা যেন আমার প্রাণ প্রিয় আত্মাটাকে বাইরে বের না করে দেয় সেজন্য....

স্কুল কলেজের জীবনে মাঝে মাঝে এই ঝড় বৃষ্টিটা কে ভীতিকর মনে হতো আমার কাছে। যখনই স্কুল বা কলেজে যাওয়ার জন্য তৈরী হয়েছি আর কিছুক্ষনের মধ্যে বের হবো, ওমনি বৃষ্টি শুরু। মেজাজটা যা খারাপ হতো, আমার আব্বু বলতো থাক আজকে আর যেতে হবে না, একা বাসায় বসে বসে বোর হতাম... কিন্তু একবার কলেজে চলে যেতে পারলে বৃষ্টির দিনের মজার শেষ থাকতো না। কত যে শয়তানি করতাম, কলেজের বারান্দায় আমরা বান্ধবীরা মিলে লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকতাম, বাতাসে বৃষ্টির পানির ঝাপটা এসে লাগতো শরীরে। আর কলেজ ছুটির সময় বৃষ্টি হলে তো না ভিজে বাড়িই যেতাম না। আমাদের কলেজটা ছিল বি.ডি.আর এর ভেতরে, বেশ সুন্দর ছিমছাম জায়গাটা। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বি.ডি.আর এর মেইন গেট পর্যন্ত এসে তারপরে রিকশায় করে বাসায় আসতাম... একবার কোচিং করতে গেছিলাম স্যারের বাসায়, পড়াও শেষ হয়েছে আর অনেক জোরে শুরু হয়েছে ঝড়। সবাই তাড়াহুড়া করে চলে গেছে আর আমি রয়ে গেছি একা, কারণ আমার আব্বু আসবে আমাকে নিতে। একা একা দাঁড়িয়ে আছি আর ভাবছি চলে যাব কিনা, ভাল লাগছিল না একা দাঁড়িয়ে থাকতে। এদিকে ঝড়ও কমছিল না, হঠাৎ দেখি আমার একটা বান্ধবী আর তার মা যাচ্ছে।আমিও তাদের সাথে রওনা দিলাম, অঝোরে বৃষ্টি ঝরেই যাচ্ছে আর রাস্তায় এক হাঁটু পানি জমে গেছে। ওরই মধ্যে আমরা রিকশাও পাচ্ছিলাম না, হেঁটে হেঁটে অনেকদূর এসে রিকশা পেয়ে বাসায় গেলাম। যেয়ে দেখি ততোক্ষণে আব্বু আমাকে আনতে চলে গেছে.... ভয়ে আমার জান শেষ, তখন মোবাইলের এত চল ছিল না, তাই আমাদের মোবাইলও ছিল না যে বলবো আমি বাসায় চলে এসেছি। আব্বুর টেনশনের কথা চিন্তা করে সেদিন অনেক ভয় পেয়েছিলাম। আব্বু কোচিং এ আমাকে না পেয়ে টেনশন করে স্যারকে সব বলাতে স্যারও চিন্তায় পড়ে গেছিল, বাসায় আসার পরে আব্বুকে কোন ভাবে বুঝালাম যে আমার ভাল লাগছিল না তাই আমার বান্ধবীর আম্মুর সাথে চলে এসেছি, কিন্তু পরের দিন কলেজে স্যার আমাকে ধরে বসেছে...বলে পাজী মেয়ে এইভাবে কেন চলে এসেছিলে আমাকেও না জানিয়ে, আমার বাসায় বসে থাকতে পারনি, যদি কিছু হত তাহলে কি হত।আমি আর কি করার চুপচাপ বকা শুনলাম...

অসম্ভব রকমের দূর্দান্ত ছিল সেই দিনগুলি। ফেলে আসা দিনের কথা মনে পড়লে বুকটা মুচড়ে কান্না আসে... হাজার কান্নাকাটি করলেও সেসব দিন আর কখনো ফিরে পাবো না জানি... এখন বৃষ্টি হলেও আর ভিজতে ইচ্ছা করে না। শুধু জানালার ধারে বসে থেকে মুষলধারে বৃষ্টিঝরা দেখি, গান শুনি আর অতীতের মাঝে নিয়ে যাই নিজের ভেতরের অস্তিত্বটা কে....তখন আপন মনে একলাই হাসি।

"আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি
আমায় আর কান্নার ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই...."
ভালবাসার ধ্রুব তারা ......


আলোক রশ্মির মত ঝলমলে,
তারার উজ্জ্বলতায় ভরা,
... অতিশয় ক্ষুদ্র ছোট কিছু স্বপ্ন,
ক্ষণে ক্ষণে উঁকি দেয় প্রত্যেকের হৃদয়ে।
স্বপ্নটাকে উপলব্ধি করার মত,
একজন মানুষ বড় প্রয়োজন সবার।

মোহনীয় আবেগের একটা ভালো লাগায়,
সম্মোহিত হয়ে যায় হৃদয়।
সময়ের স্রোতে ম্লান হয়ে যাওয়া কোন আশা,
হঠাৎ করে ঐ ধ্রুব তারাটির মত উজ্জ্বল হয়ে উঠে।
চোখের তারার মাঝে জ্বলে উঠে,
সেই অদূরে ফেলে আসা কোন ভালো লাগার স্বপ্ন।
নিষ্প্রভ হৃদয় আবার গুন গুন করে উঠে,
ভালবাসার ছন্দময় সুরে।

হৃদয়ের এই আবেগ,এই অনুভূতি
মনের গভীরে সুরোছন্দের এই দোলা,
ম্লান হয়ে যাওয়া কোন স্বপ্ন ফিরে পাওয়ার,
পূর্ণতার এই অকৃত্বিম স্বাদ।
হয়ত এসবের অপর নামই....
ভালবাসা ???
আরো দেখুন
তুমি....


খুব উঁচু দিয়ে উড়ে গেলে,
পড়ে না মাটিতে ছায়া।
... তুমি কি তেমনি দূরে ?
গাঢ় ভাবনার মুখটিরে দেখি,
কাছের তৃণাঙ্কুরে।

উইলো গাছেরা উঁচু হয়ে
মাপে পাহাড়ী দীর্ঘতাকে।
তুমি কি তেমনি বড় ?
আমি এইখানে হাঁড়গোড় ভাঙ্গা,
সংকোচে জড়োসড়ো।

যত দূরে থাকো,
যত বড় হও,
পাহাড়,পাখি বা তুমি
জেনেছ কি সব ঠিক ?
আমার হাতেই সুন্দর হলো,
নিখুঁত অলৌকিক।
আরো দেখুন
ব্যর্থতা.....


ইচ্ছে ছিল, তোমায় ছুঁয়ে ভালবাসার পরশ নিয়ে
ছন্দে ছন্দে মৃদু দুলে, ভালবাসার গানের সুরে,
... তোমার চোখে হারিয়ে যেতে।
তোমার হাতে হাত রেখে অজানা কোন নদীর বাঁকে,
আবির মাখা গোধূলিক্ষণে দূর দিগন্তে পাহাড়ের ঢালে,
ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে দেখব, অস্তমিত সূর্যকে ।

আকাশ জুড়ে যখন নামবে আঁধার,
কিছু কিছু তারা জ্বলবে মিটমিট করে,
তখন এক ফালি চাঁদ হবে সঙ্গী
আমাদের ভালোবাসার।
চাঁদের আলোর মোহনীয়তায়
রইবে স্বর্গীয় আবেগের ছোঁয়া।
যতটা কাছে থাকলে,
নিঃশ্বাসের স্পর্শ অনুভব করা যায়,
তোমার ঠিক ততোটা কাছে থাকবো আমি।
তোমার নিঃশ্বাসের প্রতিটি স্পর্শে,
আমি হবো শিহরিত।
অদ্ভুত ভাল লাগবে আমার,
সেই শিহরণ।
নাম না জানা ফুলের গন্ধের মাদকতায়,
ভরে থাকবে চারিপাশ।
তোমার নিঃশ্বাসের স্পর্শ আর ফুলের গন্ধের মাদকতা,
এ যেন আমার কাছে এক অমৃত পাওয়া,
কল্পনা থেকে বাস্তবে আসা পর্যন্ত যার অস্তিত্ব।

যখন সময় ছিল,কোন কথা হয়নি বলা,
তাই আজ কল্পনাতেই তোমায় আঁকা।
তোমায় পেতে পারতাম.... পাইনি,
সেও হয়ত আমারই ব্যার্থতা।
আরো দেখুন
ব্যথা....


যখন ছিল সবাই,
ভাবি হয়ত, সহজ ছিল পাওয়া।
... যখন হারাই সব,
ভাবি হায় !! এত সহজে শিখেছে,
মানুষ-- চলে যাওয়া।

সব কিছু ছেড়ে আমিও,
চলে যাব একাই একদিন।
আর কেউ নয়, পোড়া এ বুকে
জমে থাকা কান্না গুলো,
তখন শুধু সঙ্গী হবে।
বুঝলে না তুমিও,
কতটুকু ব্যথা দিলে।
আরো দেখুন
আমার মৃত্যু ভাবনা"

পৃথিবী আমায় টানে অন্ধকারের পানে
নেশা আনে এই মন জানে।
আমি ভাবি কেন জানি পৃথিবীর হাতছানি।
... কেন শুধু চাই চাই মুখে আর ভাষা নাই।
সীমাহীন ঠিকানার কেন খোঁজ রাখি না
কত সুখ কত হাসি জীবনটা আছে বাকি।
কেও কারো নয়
সবার জন্য করো নিজের জন্য কেন নয় ?
কি নিয়ে যাবে তুমি কি নিয়ে যাবে
ভাব তুমি আজ সময় পাবে না কাল।
পূণ্যর ঝুলিতে আছে কিছু শূণ্য
এই নিয়ে পাড়ি দিলে দোযখ তোমার জন্য।
অন্ধকারের মাঝে পাবেনাতো আলো
পেয়ে যাও কিছু যদি সেতো খুব ভালো।
সীমাহীন পথে তোমার ঐ টুকু আলো
অমরত্য দিতে পারে থাকবে নাতো কালো।
কি নিয়ে যাবে তুমি সময়েতে ভাবো
শেষে এসে ভেবো না কোন লাভ হবে না।
তোমার জন্য হবে কিছু কান্না
তিন দিন তিন মাস তারপরে আর না
পৃথিবীর সুখ গুলো হবো শুধু কান্নার।
সব পথ ছেড়ে দিয়ে এক পথে চলো
পৃথিবীর মায়া ছেড়ে স্যত পথে চলো।
কত শত ভাবনা পৃথিবীতে আর না
একটাই ভাবনা আখিরাতে হয় যেন
আমাদের সুখের কান্না।
আরো দেখুন
কিছু অনুভূতি..."


মনে যদি মেঘ জমে

... সেই মেঘে যদি বৃষ্টি ঝরে

তবে বৃষ্টি হয়ে ঝরে যাক তোমার কষ্ট গুলো...

সূর্যের উত্তাপ নয়

চাঁদের নির্মল আলোয় ভরে যাক তোমার আকাশ

তারারা ভাগাভাগি করে নিক কষ্ট তোমার...

আর যদি তা নাই হয় তবে

আমি নতুন ভোর হয়ে স্নিগ্ধ আলোয়

তোমাকে আলোকিত করবো

আমার ভালোবাসার বৃষ্টি দিয়ে

ধুয়ে দিব তোমার সব কষ্ট...

শুধু তুমি ভালো থেকো।
আরো দেখুন
বিষন্ন ভালোবাসা"


আমি জানতে চাই "তুমি আমাকে ভালোবাস ?"
তুমি বল "হ্যাঁ"
... আমি জানতে চাই "তুমি আমাকে মিস কর ?"
তুমি বল "হ্যাঁ, করব না কেন ?"
আমি বলি "তোমার জীবনে আমার প্রয়োজন অনুভব কর ?"
তুমি বল "না করার কি আছে ?"
আমার জানা হয় না তুমি সত্যি বলছ না মিথ্যা বলছ।
যদি সত্যি বল তাহলে আকাশ অনেক কেঁদে
যে রাতকে মায়াবী করে
তখন তোমার মন কেমন করে না কেন?
তুমি ছুটে এসে কেন বল না
"চল, তোমাকে নিতে এসেছি ?"
তুমি তো জান কি ভীষন সুখে
বৃষ্টি আর কান্না একাকার হবে।
তবে কি তুমি মিথ্যে বল ?
যদি মিথ্যা হয় তবু আমি ঈশ্বরকে বলি
কখনো যেন জানা হয় না সব মিথ্যা ছিলো।
তা না হলে পৃথিবীর সব ভালোবাসাকে জড়ো করেছি
তোমায় দেব বলে, সব কি মিথ্যা হবে ?
আরো দেখুন
"স্বপ্ন"


একটা লাল জামদানী শাড়ী, কপালে লাল টিপ, একটা ছোট নাকফুল
খোঁপায় একগুচ্ছ বেলী, চোখের কোলে কাজল আর পায়ে আলতা পড়ে
... এক ভরা পূর্ণিমায় তোমার ঘরের আঙ্গিনায় দাঁড়াব।
তুমি দুয়ার খুলে আমার হাত দুটো ধরে
তোমার ঘরে নেবে ?
দেখবে কি প্রচন্ড সুখে কেঁপে উঠব
চোখে জল ঝরবে আনন্দ হয়ে।
নাকি ফিরে যেতে বলবে আমাকে ?
পৃথীবীর সবটুকু দু:খ বুকে চেপে
ফিরে আসব আমি।
কাজল কষ্ট হয়ে ঝরবে
প্রিয় বেলীফুল কষ্টের ছেঁয়ায় নেতিয়ে যাবে।
আমি অপেক্ষায় থাকি স্বপ্ন পূরনের
চোখ বুজে, হাত জড়ো করে খুঁজি তোমায়।
আরো দেখুন
হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা



ভোঁর বেলায় সূর্যের প্রথম রশ্মি হয়ে বলে যাব শুভ সকাল ♥
দুপুরের কড়া রোদের মাঝে এক টুকরো মেঘ হয়ে ছায়া দিয়ে যাব ♥
ক্লান্ত বিকেলে এক দমকা হাওয়া হয়ে মন দুলিয়ে যাব ♥
মনোরম সন্ধায় পাখির শেষ কিচির মিচিরের সাথে গুন গুন গান গেয়ে যাব ♥
নিঝুম রাতে একাকি মন খারাপে অতীত স্মৃতির সুখের স্বপ্ন হয়ে আসব ♥

প্রতি মুহূর্তে তোমার সঙ্গেই থাকব ♥
তুমি হয়ত জানবেও না কখনও ♥


বৃষ্টি হলে বারান্দায় এসো , ♥
হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো ধরবে,
যত গুলো ধরতে পারবে .....
ততটুকু তুমি মিস্ করো আমায়!
আর যত গুলো ফোঁটা ধরতে পারবেনা,
জেনে রেখ,
ততটুকু আমি মিস্ করি তোমায়॥ ♥♥


আজ এই আকাশ
কালো হয়ে
বৃষ্টি ঝরে
তোকেই ধরি
ছন্দ ছাড়া, হয়ে আমি
খুজি তোরে
আপনমনে........

মাঝে মাঝে মনে পড়ে,
সেইসব দিনগুলো, তুই ছিলিনা যখন....
মাঝে মাঝে, কড়া নাড়ে,
সেই দিনগুলো, তুই ছিলিনা যখন,
তুই রবি আমারই
তুই ছবি আমারই,
তোরে ছাড়া বাঁচি কেমনে...

বড় একা আমি
নিজের ছায়ার মত,
শূন্যতার মত
দীর্ঘশ্বাসের মত
নিঃসন্গ বৃক্ষের মত
নির্জল নদীর মত
বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত
মৌন পাহাড়ের মত
আজীবন সাজাপ্রাপ্ত, দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর মত,
বড় একা আমি, বড় একা....

মেঘে মেঘে কত বেলা কেটে যায় শুধু,
বিষাদ এর ভেলা,
তুই ছাড়া একা একা
দিন কাটেনা স্মৃতিরও ছায়ায়,
তুই রবি আমারই, তুই ছবি আমারই,
তোরে ছাড়া আমি বাঁচি কেমনে...

নিকষ কালো এই আঁধারে
স্মৃতিরা সব খেলা করে
রয় শুধু নির্জনতা
নির্জনতায় আমি একা
একবার শুধু চোখ মেলো
দেখো আজও পথে জ্বালি আলো
তুমি আবার আসবে ফিরে
বিশ্বাস টুকু দু' হাতে আকড়ে ধরে...................


যখন নিজেকে খুব একা লাগবে ,
সন্ধার বাতাসে নিজেকে খুব হতাশ লাগবে ,
দুঃসহ সৃতিগুলো কষ্ট দিবে ,
একা একা বিষন্ন মনে বেলকোনিতে বসে থাকবে ,
যখন কিছুই ভাল লাগবেনা
তখন আমায় ডেকো একটিবার ।
আমি সব কিছু ফেলে চলে আসবো
তোমার কাছে..... তবে
চিন্তা কোরোনা কোন
কিছু চাইবোনা তোমার কাছে ।
শুধু নিস্বার্থ ভাবে ভালবেসে যাবো ।


দেখার জন্য খুঁজছি না,
শোনার জন্য বলছি না,
ভালোবাসার জন্য ডাকছি না...

আজ আর কিছুই আমি চাইছি না,
তবুও এক অদ্ভুত না পাওয়ার শূন্যতা থেকে
নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারছি না...

এই শূন্যতা কেবল আঁকড়ে ধরছে আমায়,
আর আমি হারিয়ে যাচ্ছি,
দূর কোন অজানা সীমানায়..................।।


মুক্ত করে দিলাম তোমায়
আর সেই সাথে শুরু হল ভাঙ্গন আমার...
আমার পৃথিবীতে
তোমার প্রভাব যতই থাকুক না কেন...
আমার পৃথিবীটা...
তোমায় ছাড়া যতই এলোমেলো হোক না কেন
তবুও চাইব না আর তোমায়...
আর কখনো না কোনদিন না...
এতটা স্বার্থপর হয়ে উঠতে পারিনি এখনও
যে শুধু নিজে বাঁচার তাগিদে তোমায় চাইব...
আমি নিঃশেষ হয়ে যাবার পরও যদি
তুমি ভাল থাক তবে সেখানেই আমার শান্তি......।।


সপ্ন যদি ভেঙে যাওয়ার জন্যই হয়ে থাকে
তবে আর সপ্ন দেখবনা।

সপ্নকে আড়ি দিয়ে পা বাড়াবো বাস্তবতার পানে।
ভয় ছিল তোমাকে হারানোর,
সেটাকে তুমি সত্যিতে পরিণত করলে।
এখন আর কোন কিছু হারানোর ভয় নেই,
আমার আর কোন দুর্বলতা নেই।
কোন কিছুতেই আর ভেঙে পরবো না।
আমার গন্তব্য এখন আর তোমার দিকে নয়,
ইট পাথরের এই পৃথিবীতে ভাঙ্গা হৃদয়টা নিয়ে
বেঁচে থাকার বাসনাই এখন আমার একমাত্র গন্তব্য ......



তোমাকে আমি নতুন করে এখন আর ভালবাসিনা,
কিন্তু একদিন যতটুকু ভালবেসেছিলাম...
ততটুকু ভালবাসা শত তিক্ততার মাঝেও
আমি এখনও বাঁচিয়ে রেখেছি।
হাজার তারার ভীড়ে যখন তোমায় হারিয়ে ফেলি,
তখনও আমি আমাকে নিরাশ হতে দেইনা।
ভাবি যে আমি হাজার তারার ভীড়ে তোমায় খুঁজি,
সেই তুমিও একদিন আমার মাঝে আমাকে খুঁজবা।
চলে যেতে যেতেও আমি বারবার পিছনে তাকাই,
যদি তুমি একবার দুটি হাত তুলে আমাকে ডাকো এই ভেবে।
কিন্তু তুমি মুক্তির আশায় ছুটে চলে গেলে।
যতদূর দৃষ্টি যায় আমি শুধু তোমায় খুঁজি,
হয়তো তুমিও একদিন সবার মাঝে আমার দুটি চোখ খুঁজবে।


আমি যখন মারা যাবো, তখনও আমার মনের সর্বস্ব দিয়ে শুধু তোমায় ভালোবেসে যাব।
ওই দূর আকাশ থেকে শুধু তোমায় দেখে যাব, আর তোমার জন্যে প্রার্থনা করব।
যখন দেখব তুমি হাসছ বুঝে নেব আমাদের মধুর স্মৃতিগুলো মনে করে হাসছ।
যখন দেখব তুমি কাঁদছ বুঝে নেব আমায় কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা তোমায় পোড়াচ্ছে।
মৃত্যুর পরের জগতেও আমার চিন্তা চেতনায় শুধু তুমি রবে।
যখনই তুমি আমায় ভাববে বুঝে নেব আমি কখনও কাওকে ভালবাসা দিতে পেরেছিলাম।
কিন্তু মনে একটা প্রশ্ন আসে, যখন আসলেই আমি মারা যাব ?
তুমি কি ভাববে আমার কথা ?
যে চোখ আমায় দেখে কখনও হেসেছে সেকি কখনও আমার কথা ভেবে কাঁদবে।
তখন কি তোমার মনে পরবে কখনও আমরা হাত ধরে নদীর পাশে হেঁটেছি ?
মনে পরবে একসাথে কতযে কথা কতনা গান গেয়েছি ?
যখন আমি মারা যাব তখনও কি আমায় এভাবেই ভালবাসবে ?

জানি জীবন কারো জন্যে থেমে থাকে না। তোমার জীবনও জিবনের নিয়মে এগিয়ে যাবে।
আমি চাইনা তুমি আমায় ভেবে জীবনকে থামিয়ে রাখ। চাইনা আমার কবরে যেয়ে একটি গোলাপ দিয়ে এসো, চাইনা আমার জন্য এতটুকুও অশ্রু ঝরাও।
শুধু এটুকু চাই। কোন এক ভোরে ঘুম ভেঙ্গে আমায় মনে পরলে আকাশ পানে চেয়ে একটু হেসে বোলো "তোমাকে এখনও অনেক ভালোবাসি।
Nusrat Sharmin Moushumi এর সাথে।