এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১২


জানিনা কেন এমন লাগে

সূর্যের প্রথম কিরণে তোমায় দেখতে ইচ্ছা হয়,
প্রখর রোদে তোমার তৃষ্ণার জল হতে ইচ্ছা হয়,

...
কিংবা ঝড়ো-বৃষ্টিতে তোমার হাত ধরে
কোনো আশ্রয় খুঁজতে, ছুটতে ইচ্ছা হয়,

বিকেলের শেষ নীলিমায়
সন্ধ্যার গোধূলীতে
রাতের নিচ্ছিদ্র নীরবতায়-
শুধু তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকতে ইচ্ছা হয় ।

একেই কি প্রেম বলে ?

ভালোবাসা বলে ?

এই বুঝি প্রেম ?
 


তুমি দৃষ্টি থেকে দূরে,
মন থেকে নয় ।
তুমি আমার থেকে দূরে,
ভাবনা থেকে নয় ।
আমি হাসি থেকে দূরে,
...
কান্না থেকে নয় । আমি আমার থেকে দূরে,
তোমার থেকে নয় । আমি এখোনো তোমার
পাসে ছায়ার মত আসি এবং থাকব চিরদিন..
ভালোবাসা প্রকাশ করার মত কোন
ভাষা আজো আবিষ্কার হয়নি, তাই নীরবতাকেই
বেছে নিলাম । কতটুকু ভালোবাসি তা প্রকাশ করার
জন্য কোন স্কেল আবিস্কার হয়নি, তাই হৃদয়
জুড়ে ভালবাসলাম । কেন শুধু তোমাকেই
...
ভালোবাসি,কারন জানি না বলে কিছু বোলো না,
অকারন কে দোষ দিয়ে দিতে পার ।।
গতকালের চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসি আজ,
কাল ভালবাসবো অনেক বেশি আরও ।
ভুলে যেতে বলেছিলে তোমায়, হুম্মম...এ
জীবনে তো আর সম্ভব না, আর একবার জন্ম
নিলে চেষ্টা করে দেখতে পারি । যদি প্রশ্ন
করো কেন এতোটা ভালোবাসি !!! যা প্রকাশ করার
ভাষা ,পরিমাপ করার স্কেল অথবা কোন কারন
আজো পাইনি । উত্তর
একটাই ..."ভালবাসতে ভালোবাসি....
যদি খুজতে চাও আমায়,
তবে খুজে দেখ ঐ নীল আকাশের মাঝে।

যদি বুঝতে চাও আমায়,
তবে কুল ভাঙ্গা নদীকে বোঝ।
...

যদি অনুভব করতে চাও আমায়,
তবে অনুভব কর কালো অন্ধকারকে।

যদি সঙ্গি করতে চাও আমায়,
তবে সঙ্গি কর নিঃসঙ্গতাকে।

যদি বালোবাসতে চাও আমায়,
তবে ভালোবাসো নয়নের অশ্রুকে।

যদি আপন করতে চাও আমায়,
তবে আপন কর কষ্টকে।

তবে খুজে দেখ কে আমি ?
পারো কি বুঝতে আমায় ?
 
তোমার কাছে পেয়েছিলাম একটু প্রশ্রয়,
সেই ভরসায় খুজে ছিলাম বুকেতে আশ্রয়।
আসলে যে সেটা ছিল অনেক বড় ভুল,
কাঁটাগুলো বোকার মত ভেবেছিলাম ফুল!!
ভালোবাসি বলেছিলাম মুখের কথা নয়,
...
ইচ্ছা করে বুকটা চিরে দেখাই এ হৃদয়!!
অনেক মিথ্যা ছলনার এ জগত সংসার,
সত্য কথা গুলোও লাগে নিঠুর মিত্থাচার!
কাছে থাকতে চেয়েছিলাম অনেক আপন ভেবে,
তোমার তো নেই সেই ইচ্ছাটা আপন করে নেবে!
তোমায় অনেক ভালোবাসি অনেক খানি চাই
তাতে আর কি লাভ বল পাওয়ার উপায় নাই!!
আমার যখন তখন রাত হয়ে যায়
মেঘে মেঘে মন দেখে যায়
মনের ভিতর বৃষ্টি ঝরে
তোমার কথাই মনে পড়ে

...
আমার যখন তখন ভুল হয়ে যায়
ভুলে ভুলে পথ যে হারায়
পথের মাঝে আমি একা
পাই না খুঁজে তোমার দেখা

আমার যখন তখন ঘুম ভেঙ্গে যায়
অনিদ্রায় রাত কেটে যায়.........
রাতের সাথে আকাশ তারা
তুমি ছাড়া আমি ভুবন হারা.......।।
বদলে গেছে চারপাশ। কিন্তু আমি আছি সেই আগের
মতো। একটুও কমেনি তোমার প্রতি ভালবাসা।
আজীবন ভালবেসে যাব। আমার পৃথিবীর
বিরাট অংশজুড়ে শুধুই তুমি। দূরে ঠেলে দিয়ে কেন এত
বড় শাস্তি দিলে তুমি ???
...

আমার কথা কি একটুও মনে পড়ে না তোমার ??
জানি তুমিও কষ্ট পাও,তবে কেন থাকো দূরে ??
আগের মত এখন আর কেউ কোনো কাজে জোর
করে না। কারো ভোরের মেসেজে এখন আর ঘুম ভাঙ্গে না। তাই আমি জেগে থাকি সারারাত।
কেঁদে যাই ক্লান্তিহীন।

হারিয়ে ফেলেছি তোমাকে। তার থেকে বাস্তব সত্য
হারিয়ে ফেলেছি নিজেকেই। অনুভূতিগুলো শেয়ার করার
কেউ নেই। আর কখনো কেউ ডাকবে না আমায়।

সামান্য ভুল কিংবা জমে থাকা অভিমানে আমার
ভালবাসার প্রতিদান তুমি এভাবে দিলে ???
তোমার হাসিটা দেখব বলে আমি আজও অপেক্ষায় থাকি।
আমি জানি সে হাসিটা আমার সব দুঃখ ভুলিয়ে দেবে।

আমার প্রতিটিক্ষণ এখন কাটে একটামাত্র মেসেজের রিংটোনের অপেক্ষায়। অপেক্ষার বাঁধ ভেঙ্গে যায়
তবু আমি অপেক্ষায় থাকি। তোমার ফিরে আসার
অপেক্ষায় কষ্টের দিনগুলো কেটে যাবে...

ভাল থেকো তুমি। জেনে রেখ,
পৃথিবীতে এমন একটা মানুষ আছে যে তোমার পৃথিবীর
সাথে নিজের পৃথিবীটাকে এক করে ফেলেছে।
যার কখনো বিচ্ছেদ ঘটবে না। অপেক্ষায় থাকলাম.......

 
কখনোই বলিনি আমাকে ভালবাসো। কারণ
আমি জানি ভালবাসাটা দু'টি হ্দয়ের মেলবন্ধন। সেই
মেলবন্ধন আঁকড়ে ধরার যোগ্যতা আমার নেই।।

সবসময় চেয়েছি তুমি পাশে থাকবে। ভালবাসার মানুষ
...
হিসেবে হয়ত নয়
কিন্তু একজন ভাল বন্ধু হিসেবে।
সেই বন্ধনও হয়ত এতটা মজবুত
করতে পারে নি আমি। আজ সিগারেটের জ্বলন্ত
শিখাও কষ্টগুলোকে সামান্যতম কমাতে পারে না উল্টো আমাকে দেখে বিদ্রুপ করে। সারারাত জেগে যখন আমি আকাশের অবিরাম
কান্না দেখি নিজের গোপনে অশ্রু ঝরানোটাকে তখন
খুব তুচ্ছ মনে হয়। আমার আকাশে আজ হঠাৎ হঠাৎ
মেঘের আনাগোনা দেখা যায়।
কষ্টগুলোকে মুক্তি দিতে আমি তখন বৃষ্টি ঝরাই
অভিরাম।

এতকিছুর পরও আমার ভালবাসার শক্তি বার বার আমাকে তোমার
কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
আমি পারিনা অনুভূতিগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখতে।
ভালবাসার শক্তিটা আমাকে অক্ষম
বানিয়ে রেখেছে বাইরের পৃথিবীটা থেকে। আমি আজও
তাই চিত্‍কার করে বলতে পারি ভালবাসি শুধুই
তোমায়। শত কষ্ট আর অভিমানের মাঝেও বাস্তব
এই সত্যটা থেকে কখনো তোমায়
দূরে সরিয়ে রাখতে পারব না।।
colllllllllllllllllll


এক একদিন স্বপ্ন দেখি একেক রকম ।
তাই বলে তুমি ভেবো না আমি হাজার স্বপ্নের পিছু ছুটছি ।
আমার স্বপ্নের মূল লক্ষ্য তো একটাই তা হল__"তোমাকে কখনও কষ্ট দেবো না, আমার জীবনের শেষ সুখটুকু দিয়ে হলেও তোমার মুখে হাসি ফোটাবো"

এখন তুমি হয়তো ভাবছ যে আমার এ তুমি তা আমার জন্য বিশেষ কেউ।কিন্তু তা নয়। আমি যে ভালবাসি সবাইকে।
আমার এ তুমির মাঝে লুকিয়ে আছে পৃথিবীর সবকটি মানুষ...
 
 
আমার সারা আকাশ জুড়ে ছিলে তুমি
কিন্তু তোমার সারা আকাশে কোথাও ছিলাম না আমি
তবুও এই বিবাগী মন খুঁজেছে সারাক্ষণ
যদি মিলে দেখা অকারণ।

...
মেঘের মতো উড়েছি তোমার আকাশে
পাইনি একটুকু ঠাঁই
ভালোবাসা অন্ধ,
তখন ই বুঝলাম কারণ............
বোকা মন বুঝেইনি;
আকাশের বুকে কখন মেঘ দীর্ঘস্থায়ি হয়না...।।
অবুঝ হৃদয় তবুও ভালবেসে যায়.
 
যদি দেখা না হয় !!
ভেবো না দূরে আছি..
যদি কথা না হয় !!
ভেবো না ভুলে গেছি..
যদি না হাসি !!
...
ভেবো না অভিমান করেছি..
যদি কল না দেই !!
ভেবো না বদলে গেছি।।
সত্যি বলতে কি - আমি সবসময় তোমায় মিস করি♥♥

 
তুমি খুব বিচিত্র ।
অনেক বেশী বিচিত্রতা হয়তো
কিছু সময় এর জন্য অপরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে ,
কিন্তু সারা জীবনের জন্য হয়ত সেটা দুখের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।
তোমাকে বোঝার মতো ক্ষমতা আমার নেই ,
...
চলার পথে আবারও যাদের নিয়ে স্বপ্ন ছবি আঁকছো ,
দেখে অবাক হইনি একটুও ।
মনে রেখো সুখী হতে গেলে তার জন্য রিহারসেল দেওয়ার প্রয়োজন হয়না ।
সেটা প্রাকৃতিক ভাবেই মানুষ উপলব্ধি করতে পারে ।
একটুখানি অসাবধানতা তোমার জীবন কে দুঃখের শেষ সীমানায় নিয়ে যেতে পারে ।
তাই বলছি বুঝবে একদিন ঠিকই কিন্তু ,
শুধরে নেবার সময়টা হয়ত আর পাবেনা । coll................

শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২

তুমি মানুষকে তুমি তোমার
দূর্বলতার
কথা জানিয়ো না, এমন
কিছু শেয়ার
করো না, যে কথার
...
আঘাতে তুমি কষ্ট
পাও।।

এটা নিশ্চিত
যে,তুমি যদি কাউকে তোমার
দূর্বলতার
কথা জানাও,সে তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে।।
তার ফিরে আসার
আশা খুব ক্ষীণ
তোমাকে নিয়ে এখন আর কিছু
লিখতে ভালো লাগেনা,
ভালো লাগেনা তোমাকে নিয়ে ভাবতে ,
এখন আর আড্ডার ফাকে বন্ধুদের
সাথে তোমার কথা বলি না ,
...
মাঝ রাতে সৃতিগুলো এখন আর
চোখে ভাসে না , মনটাও বলে দিয়েছে সে তোমাকে আর
ভালোবাসে না.....
তুমি যাই ভাবো না কেন আমি এখন
আর মিথ্যা বলি না,
আমার কাছে এখন একা জিবনি ভাললাগে<



 
ভালোবাসার সম্পর্ক
টিকিয়ে রাখতে ধৈয্য
ও আবেগ দুটোই
প্রয়োজন।। আবেগপ্রবণ
একটি ছেলে কখনোই
...
তার সম্পর্ক
এগিয়ে নিতে পারে না, কারন
বাস্তবতার কাছে তার
আবেগ মূল্যহীন।।
যেসব
মেয়ে চাপা ধরনের, তারা তাদের
আবেগকে লুকিয়ে রাখে আপনজনের
কাছ থেকে।। যার
ফলে ভুল বোঝাবুঝির
মাত্রাও নিয়ন্ত্রনের
বাইরে চলে যায়।।

ছেলেদের
বাস্তববাদী মনোভাবের
কাছে মেয়েদের
আবেগ,কান্নার জল
হার মানে বলেই
তারা তাদের
সম্পর্কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে,যেখানে তাদের
ভবিষ্যত তাদের
অপেক্ষায়....

 

বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২

তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায়
তবু তোমার টুকরো ছায়ায়
ডুবে আছে কত মিথ্যে আগুন অন্ধকারময়
কত স্মৃতি কত সময়
তোমার জন্য পৃথিবীতে আজকে ছুটির রোদ
...
নিজের মাঝে তোমায় খোঁজা
আকাশ নীলে তাকিয়ে থাকা

তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায়
মেঘাচ্ছন্ন ব্যস্ত ঢাকায়
মানুষগুলো শূন্য চোখে দুঃখ দ্বিধায়
আকাশ পানে তাকায়
তোমার জন্য পৃথিবীতে থেমে যায় সময়
আমার দেহে রাত্রি নামায়
মিথ্যে আগুন অন্ধকারময়

ভীড়ের মাঝে আবার ভীড়ে
আমার শরীর মিশে কোলাহলে
দুঃখ ভুলে মিশে যাই মুখোশ স্রোতে
অনেক দুরের একলা পথে
ক্লান্ত আমি ফিরি তোমার কাছে
মুখোশ খুলে বসে রই জানলা ধরে

আমার গানের শব্দ সুরের অন্তরালে
তোমায় আঁকি কান্না চেপে
মহাকালের ক্লান্ত পথে

তোমার জন্য বৃষ্টি ঝরে আমার লেখায়
আলোর মতন মিথ্যে ছায়ায়
পাথর হয়ে ঘুরে মরে আমার হৃদয়
কত স্মৃতি কত মিথ্যে ভয়

তোমার জন্য গলার ভেতর
আটকে থাকে ক্রোধ
আমার চোখে স্মৃতির ঘোলা জল
নির্জনতায় তোমার কোলাহল

তোমার না থাকা অস্তিত্ব
রয়ে গেছে আমার নিঃশ্বাসে
ফেলে আসা এই পথে দুজনেই একসাথে

আমার অবশ
অনুভূতির দেয়াল জুড়ে কত সময়
হেটে এসে আমরা দু’জন
হারিয়েছি পথ কোথায় কখন

আমার দেহে খুঁজে ফিরি
তোমার অনুভূতি
তোমার চোখের দুরের আকাশ
মিশে থাকে রূপক হয়ে

তোমার জন্য
বিষন্ন এক নিথর হৃদয় আমার ভেতর
দাঁড়ায় সরব একা
তোমার পৃথিবী স্বর্গের মতন
চির অদেখা

তোমার জন্য পথ হারিয়ে অজানায়
তবু তোমার লেখায় কথায়
ফেরে ক্লান্ত আমার অলস সময়
কত স্মৃতি অন্ধকারময়

অবশ অনুভূতির দেয়াল
আর্টসেল


গায়ে হলুদ দিতে যাচ্ছি। শাড়িও পরেছি। শুধু একজন কে খুব Miss করছি। তাকে খুব দেখাতে ইচ্ছে করছে। বলতে ইচ্ছে করছে,

"দেখতো ময়না.... আমাকে কেমন লাগছে?"

সে হয়ত ঠাট্টা করে বলবে, "পেত্নীর মত লাগছে।" কথাটা শুনে আমি ভীষণ অভিমান করবো আর চোখ দিয়ে...
পানি বেরোবে।

সে আমার চোখের পানি মুছিয়ে দেবে আর বলবে, "ধুর বোকা! আমি তো এমনি বলছি। আমার সোনামণি টাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।


" জানিনা আজকাল তোমাকে কেন এত অনুভব করছি। হয়ত একদিন তোমার মত আমিও তোমাকে ভুলে যাবো। মনে মনে এটাই এখন কামনা করছিহ্।
 

ছবি: গায়ে হলুদ দিতে যাচ্ছি। শাড়িও পরেছি। শুধু একজন কে খুব Miss করছি। তাকে খুব দেখাতে ইচ্ছে করছে। বলতে ইচ্ছে করছে, 

"দেখতো ময়না.... আমাকে কেমন লাগছে?" 

সে হয়ত ঠাট্টা করে বলবে, "পেত্নীর মত লাগছে।" কথাটা শুনে আমি ভীষণ অভিমান করবো আর চোখ দিয়ে পানি বেরোবে।

সে আমার চোখের পানি মুছিয়ে দেবে আর বলবে, "ধুর বোকা! আমি তো এমনি বলছি। আমার সোনামণি টাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। 


" জানিনা আজকাল তোমাকে কেন এত অনুভব করছি। হয়ত একদিন তোমার মত আমিও তোমাকে ভুলে যাবো। মনে মনে এটাই এখন কামনা করছিহ্।

Written by - Airin Akter Emu
হ্নদয়ের চাই না দাম
একা রবো একা ছিলাম
ডেকোনা আর আমাকে
ভেবো তোমাকে ফিরিয়ে দিলাম ।।
হ্নদয়ের চাই না দাম
একা রবো একা ছিলাম
ডেকোনা আর আমাকে
ভেবো তোমাকে ফিরিয়ে দিলাম ।।
এখন প্রায় প্রতি রাতেই কান্না পায়,
তুমি শুনলে মনে করবে তোমায় পাইনি বলে।
আসলে তা নয়।
আমার এখন কান্না পায়,
তুমি সুখে নেই, এই কথা ভেবে।
...

আগে যখন চোখ বন্ধ করে তোমায় ভাবতাম!
তখন দেখতাম তুমি সুখের রানী
তবে এখন চোখ বন্ধ করলে দেখি....
তোমার চোখে জল।
থাক ওসব কথা।
তবে, তুমি যখন আমার জীবনে ছিলে......
কথায় কথায় তোমার ভুল ধরতাম, বকুনি দিতাম, বিরক্ত হতাম।
তবে সত্যি বলতে কি-
আমাকে কেউ এখন আর বিরক্ত করে না।
আমি এখন খুব শান্ত হয়ে গেছি।
তোমার কথা মতো, বাবা-মা’র কথা শুনি।
তোমার শুধু একটি কথা রাখতে পারলামনা।
আসলে আমি রাখতে চাই,
তবে চোখ দুটো রাখতে পারেনা।
ওরা এখনো বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকে।

 
♥একটা ভালবাসার সম্পর্ককে মজবুত রাখতে হলে নিয়মিত এর যত্ন নেয়া উচিত, সময় দেয়া উচিত.....
ঠিক একটা ছোট্ট চারাগাছের মত.....
এমন নয় যে চারাগাছটির পেছনে আপনার সবসময় লেগে থাকতে হবে.....
কিন্তু অবশ্যই এর দিকে আপনার নিয়মিত নজর দিতে হবে.....
এমনটা কিছুদিন না করলে এটি নির্জীব হয়ে যাবে.....
...
তখন পানি দিলে হয়তো আবার পুনর্জাগরিতও হবে.....
কিন্তু আপনি যদি এমনটা দীর্ঘ সময় ধরে করতেই থাকেন তবে এমন একসময় আসবে যখন যত পানিই দিন,যতই যত্নই নিন এটা আর বেঁচে থাকবে না.....
তাই আপনার ভালবাসার মানুষটির নিয়মিত যত্ন নিন,তাকে সময় দিন.....♥
আরো দেখুন
জানি একদিন আমি চলে যাব সবি ছেড়ে
যত বুক ভরা দুঃখ কষ্ট নিয়ে
ফিরবোনা কোন দিন এই পৃথিবীতে
কোন কিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে
জানি একদিন ভুলে যাবে সবাই
...
আমায়, আমার স্মৃতি মুছে যাবে ধারায়
ও জানি একদিন এক মুহুরত কারও
মনে পড়বেনা আমার কথা...


একদিন চলে যাব .............

 

বিশ্বাস!

কিসে করবো বিশ্বাস?
কাকে করবো বিশ্বাস?
প্রেমিকা প্রেমিককে বলেছিলো,
...
'বিশ্বাস করো, তোমাকে ছাড়া এক
মুহুর্তও
আমি থাকতে পারবোনা'
সেই প্রেমিকা এখন আরেক পুরুষকে
বলে,
'বিশ্বাস করো,
তোমাকে আমি হারাতে পারবোনা!

এই হলো বিশ্বাস!!???

সে কি তোমায় দেখছে অতো যত্ন নিয়ে
যেভাবে দেখে আমায় গভীর মুগ্ধতায় ?
...
তাকে বলে দাও -
তোমার আলোয় আবীর ছড়িয়ে দিয়েছি
যেন দেখামাত্রই আমার আবেগ টের পায়।
তাকে বলে দাও -
যে প্রান্তেই সে থাকুক,
আমাদের অস্তিত্ব সে খুঁজে পাবে তোমাতে।

তুমি আমাদের মাঝে আজ বড় স্পষ্ট
সাক্ষীগোপাল হয়ে এই রাতের অভাব বোধোদয়।
তার জানালায় আজ তুমি উপস্হিত,
যেমন করে উঁকি দিয়েছো আমার জানালায়।
তাকে শুধাও,
কিসে আজ সে মুগ্ধ ?
আমার প্রেমে না তোমার আলেয়ায় ?

তোমার ঔজ্বলে আজ বড় ঈর্ষান্বিত হয়ে আছি,
বুঝতে পারছিনা কার প্রভাব আজ বেশী তার ওপর।
সে কি জেগে আছে এখনো, দেখছে তোমায় ?
ভাবছে কি আমার কথা এই জ্বলন্ত পূর্নিমায় ?

নাকি ডুবে গেছে তোমাতে,
ভুলে গেছে,
আরেকজন জেগে খুঁজছে তাঁর চোখ তোমার ঝরনায়।
 
"-সোনামণি, তোমার হাত টা একটু দিবে ?

-কেন বলত ?
-তোমার হাত দেখবো।
-ময়না, তুমি হাত দেখতে পারো ? আগে কখনো বলনি তো আমাকে ?
...
-বলিনি, তবে এখন বলছি। উফ দাও তো সোনা!
-আচ্ছা দিচ্ছি। তবে বলতে হবে কি দেখেছো।
-আচ্ছা বাবা বলব, এখন দাও তো!
-নিন জনাব।
-উমমম...........
-কি হল!? এত মনযোগ দিয়ে কি দেখছো ময়না ?! আমার কপালে কি খুব খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে নাকি ? নাকি তোমার আমার মিলন কবে হবে সেটা দেখছো ? হুমম ?
-ঊফ... আগে দেখতে তো দিবে ?
-বলনা ময়না, কি দেখছো তুমি অমন করে ?
-তোমার হাত।
- বুঝলাম তো। কিন্তু তুমি কী বুঝলে ?
-সোনা, তোমার হাতটা না অনেক সুন্দর। ধরতে ভীষণ ইচ্ছা করছিলো। তাই একটু অভিনয় করলাম তোমার সাথে। তুমি রাগ করনি তো সোনা ?!"

নাহ্। একদম করিনি। আজ পর্যন্ত করতেও পারিনি। শুধু অভিমানী চোখ দুটুকে আজও মানাতে পারিনা।!!
 
চলে যাওয়া মানে তো নয় মিথ্যে ছিল সব
দেরি হয়ে যায়নি কিছু- এখনও সম্ভব।
কেমন করে জানবো তোমার মনেরই খবর!
একটু কি রাগ কমেছে এই আমার ওপর ?

...
তুমি আমি দু’জনেই তো ভেবেছিলাম ভুল
একরোখা জেদ ছিল বলেই নড়োনি একচুল।
তোমারও কি আমার মতো একই অনুভব ?
দেরি হয়ে যায়নি কিছু- এখনও সম্ভব।

শুধু শুধু আসছে কেনো হেরে যাওয়ার ভয়
কিছু সময় কোনোভাবেই হেরে যাবার নয়।
স্মৃতিগুলো আছে বলেই এমন অনুভব
দেরি হয়ে যায়নি কিছু- এখনও সম্ভব।
আরো দেখুন
আমায় দেখা তুমি ও কাঁদবে বিস্ময়ে,
গতির অভাবে সুখ থেমে যাবে না তোমার ।
হাত বারালে সঙ্গির অভাব হবে না,
আমায় হয়তো আর খুঁজে পাবে না ।
দিন যাচ্ছে আজ একা একা এই আমার,
...
অস্রু সাথি হবে দেখ একদিন তোমার ।
থাকবে সবাই তোমার পাসে সারা বেলা,
খুজে পাবে না হয়ত এই আমায় কোন বেলা ।
আছি দূরে কষ্ট নিয়ে আজ সুখে আছ তুমি,
তোমার আকাশ সুনিল আর আমার মুরুভুমি

বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

এরকমই কেন হয় ?
যখন তুমি কাউকে আপন করতে চাও..... সে কেন এই টান টুকু অনুভব করে না বা বুঝে না বা.... বুঝতে চায় না...।।

আর যখন তুমি কারোর দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নাও..... সে কেন তোমার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয় না....

...
জানেন কি, তিন জনের মধ্যে কার কি রকম যন্ত্রণা হচ্ছে ?

প্রথম জন কোনো কষ্টই হচ্ছে নাহ। কারন সে জানেই না তার জন্য হয়ত কেউ ডুকরে ডুকরে কাঁদছে।

দ্বিতীয় জনের মাঝামাঝি কষ্ট হচ্ছে। কারন সে ভাবছে, আমি যাকে ভালোবাসি সে আমাকে কেন ভালোবাসেনা? আর যাকে আমি না চাই সেই বা কেন আসে আমার কাছে ?

আর তৃতীয় জনের চিন্তা কি জানেন..... আমি যাকে ভালোবাসি... সে ভালোবাসে অন্যকে।

হায়রে ভালোবাসা..... বেঁচে থাকতেও নরকের যন্ত্রণা
"জীবনের মাত্র দুই রুপ ছিল
যাতে বেধেছ নিজেকে
তুমি কি ব্যর্থ ! লজ্জা পাচ্ছ জিবনের কাছে
সরে যাচ্ছে সব একে একে !
একটি হাত ধরা, আরেকটি হাত বাড়ানো।
...
কোনটা রাখবে, এতো দ্বিধা কেন ?

এই স্বর্গ, এই হল জাহান্নাম
এটা নামের পার্থক্য!
কদাচ - ঘন তর্কের বিশ্রাম
তুমি আধান উদ্ভাসিত
অভিশাপ নিচ্ছ যা রক্ষিত তোমার থলিতে
স্খলন, তুমি এক ছিলে খুব,
তাই এখানে এখনো মুক্তির আহ্বানে
একটি হাত ধরা, অন্যটি হাত বাড়ানো ।
জীবন মাত্র দুই রূপ গ্রহণ
এবং তুমি বাঁধা নিজের ভুলে
যে রূপ তুমি নিয়েছ হৃদয়ে
আপন সঞ্চারে !

প্রতিটি হৃদয় এখানে, অস্থির
প্রতিটি মনে কিছু বিষণ্নতা আছে
এটা সময়ের ব্যাপার
তুমি নিজেকে খুব বুদ্ধিমান ভেবেছিলে
অন্যরূপ দেখতে চাওনি !
এখন তোমার ঘোর হয়েছে অতিবাহিত
তুমি ক্লান্ত, তাই এখানে এখনো
একটি হাত ধরা, অন্য হাত বাড়ানো
তোমাঢ় মুক্তির জন্য !

জীবনের মাত্র দুই রূপ ছিল
এবং আপনি বেধেছ নিজেকে।
অসাড় একটি রুপে
নয় ধর্ম, নয় পুণ্য
শুধুই মন্দ তাই শেষ ক্ষণে
তোমার দুহাত শুন্য !
অনেক অমীমাংসিত এ হৃদয়
যখন রোম - রোম তুমি পুলকিত হও !
এটাই একামত্র সত্যি বস্তু

কিছু কিছু ব্যক্তিরা বলে, যাক
অপমানের কি আছে,
পরে হিসাব দেখ, এখন সব রাখ
যোতটা জীবন পেলে স্বাদের রূপটি নাও
জীবন বলে না । মন্দ কে ছাড়ো
স্নান কর, ফুটো পুস্প হয়ে
পবিত্রতায় ছুঁয়ে যাক
জাগো মানুষ হয়ে
এবার আমায় ধন্য কর
একটি হাত তুমি ধররেছ, অন্য হাত বাড়ানো
যা করো তাই করো
জীবন শেষে রেখোনা কভু
তোমার পুণ্যের রূপ শুন্য
সমগ্র পৃথিবীটা একটি প্রেমের বাগান
যেখানে ভালবাসার জন্ম হয় শূন্য থেকে
আর ছড়িয়ে পরে দুর দূরান্তে।
যেনতেন ভাবে নয়, ভালবাসার বিদ্যাকে
অর্জন করতে হয় অনেক সাধনা করে,
...
অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে মানুষ
হতে পারে একজন সুযোগ্য প্রেমিক।
প্রেমিক আর প্রেমিকার সম্পর্ক হয় সিমবায়োসিস,
একে অপরকে বুঝতে হয়, জানতে হয়।

তবুও কিছু প্রেমে থাকে দুর্বোধ্য নীরবতা
কিছু অদ্ভুত ধরনের লুকোচুরি,
এখানে একজন অনেক কথাই বলে যান
আর অপর জন থাকেন একদম নিশ্চুপ।
এই প্রেমের ক্ষেত্রে, 'আমি' আর 'তুমি'
শব্দ দুটি একদম উহ্য পরে থাকে।
সাধারণত, এই সম্পর্কগুলো হয় কলমের
কালির মতন, যেটার দাগ সহজে মুছে না;
আর মুছলেও তার ছাপ রয়ে যায় সর্বত্র।
প্রতিটি মানুষ এটিকে লালন পালন করে
তার মনের মসজিদ, মন্দির ও গির্জাতে,
আমি এই প্রেমের গোপন জায়গাটা
জানতে চাই, শুনতে চাই যৌথ পৃথিবীর গল্প

তোমাকে ভালোবাসার পর আজ আমি সত্যি ই নিঃস্ব,
ভেবেছিলাম তোমাকে ভালোবাসার পর
কত রঙিন স্বপ্ন পাবো এ পৃথিবীর বুকে -
কিন্তু দেখেছি চোখের কাজলের
অবশিষ্টাংশ টুকুও গেছে মুছে ।
...
বিবর্ণ শুষ্ক ফ্যাকাসে ঠঁট দুটি রয়েছে
কখন খসে পরে যাবে এই অপেক্ষায় ।

তোমায় ভালোবাসার পর ভেবেছিলাম
সকল তৃষ্ণার শান্তি ঘটিয়ে -
মেতে উঠবো সবুজায়নে,
বীপরীতে খরায় ফেতে পরছে সকল তৃষ্ণা
আমার উত্তপ্ত কন্ঠনালীর চোরাস্রোত বেয়ে,
ফুটিফাটা করে দিয়ে গেছে সকল প্রান্তর।

তোমায় ভালোবাসার পর শব্দ গুলো ও
আজ যেন কোথায় মুখ লুকিয়েছে,
আমার হৃদয় থেকে শব্দ মালা গুলো কে
দূরন্ত বণ্হি শিখায় জ্বালিয়ে দিয়ে
আমায় নিরুচ্চার স্বপ্নভঙ্গের দলে নাম লিখিয়েছে --
তবুও সকল না পাওয়াকে উপেক্ষা করে
আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে নিসৃত ভালোবাসা টুকু দিয়ে গেলাম তোমায়,
কারন সেখানে শুধু তুমি তুমি আর তোমারি বাস,
আমার সকল ভালোবাসা ও হৃদয়ের অনন্ত আকাশ জুড়ে............
তোকে রাগাবো বলে মোবাইল ফোনে নিজে
রিংটোন বাজিয়ে নিজেই নিজের সাথে কত কথা বলেছি।
কাউকে ভাল না বেসেও, মিথ্যা ভালবাসার অভিনয় করেছি।
শুধু আর একটি বার তোকে ফিরে পাবার
জন্যই এই সব করেছিলাম আমি।
...
কিন্তু তুই আর ফিরে আসিসনি।

যেদিন তুই আমার সামনে দারিয়ে ওপাশ থেকে আসা সত্যি ফোন কলের উত্তর দিলি,
সেদিন আমি সত্যি নিজেকে সামাল দিতে পারিনি।
পাগোলের মত ছুটেছি তোর পিছু পিছু।
সেদিন একটুও করূনা করিস নি তুই আমাকে একটুও না
অনেকদিন পর
বৃষ্টিতে ভিজলাম।।
তবে স্বেচ্ছায়
নয়,অনিচ্ছায়।।

...
আমি চাইছিলাম
না বৃষ্টি আমাকে ভিজিয়ে দিক!
বৃষ্টির ফোটাঁয় সিক্ত
হই আমি।

তবুও
ভিজলাম।। খুব
মনে হচ্ছিলো তোমার
কথা,
একসাথে ভিজলে কি মজাই
না হতো! সেই উপায়
কি আছে??

তুমি বৃষ্টিতে ভিজতে ভয়
পাও!!
ঠান্ডা লেগে যায়
বুঝি।।
তোমার
বোকা বোকা কথায়
হাসতাম আমি, তখন
তুমি রেগে যেতে।।
বলতে, দেখো
রেগে যাচ্ছি কিন্তু
আমি!

একটু
ভিজলে কি বা হয়,
এভাবে আমার
অনুরোধ, হাজারো মিনতি।।
শেষ পর্যন্ত
ভিজতে রাজি হলে তুমি।।
কিন্তু তখন
তো বৃষ্টি থেমে একেবারে সূর্যের
উদয়।। কিছুটা রাগ
হচ্ছিলো,
তবে ওর
বাকাঁ ঠোটেঁর
হাসি টা রাগ
একবারে জল
করে দিলো।।
আর একবার রিক্সায়
বসে বসে কাকভেজা টাইপ
ভিজলাম বৃষ্টিতে।।

ভালো করে বৃষ্টিতে ভিজতে রিক্সা থেকে নেমে পড়লাম।।
বৃষ্টিতে
ভেজা তো হলোই
না,বরং কাদা মাখিয়ে দিয়ে গেলো একটা গাড়ি।।
কাদায়
মাখামাখি হলো আমাদের
জামা কাপড়।। সেই
অবস্থায় বাড়ি ফেরার
গল্পটা আর নাই
বললাম।।

বৃষ্টিকে আমরা দুজন
এতো ভালোবাসি, তবুও
কেনো জানি একসাথে বৃষ্টিতে ভেজা হয়
নি কখনো।।

তুমি না থাকলে বৃষ্টিতে ভিজা অর্থহীন,
এই
ভেবে সবসময়
এড়িয়ে গিয়েছি।।
কিন্তু আজ হঠাত্
বৃষ্টিটা আমাকে পাগলের
মতো ভিজিয়ে দিলো।।

ভেজা কাকের
উপমা আমি তখন
তোমায়
ভেবে কবিতা রচনা করেছি।।
আকাশের
দিকে তাকিয়ে বার বার
বলেছি,
আমার
সবচেয়ে পছন্দের
মানুষটিকেও
এভাবে ভিজিয়ে দাও
ঈশ্বর!! যেই সুখ
অনুভূতি আমায়
দিচ্ছো, সেটা ও যেন
অনুভব করে।।

বৃষ্টি তো তোমারই
একপ্রকার
ভালোবাসা, এই
ভালোবাসায়
তুমি তাকেও
জড়িয়ে নাও,
যেভাবে আমাকে ধরেছো
 
তুমি শুনলে মনে করবে তোমায় পাইনি বলে।
আসলে তা নয়।
আমার এখন কান্না পায়,
তুমি সুখে নেই, এই কথা ভেবে।
...

আগে যখন চোখ বন্ধ করে তোমায় ভাবতাম!
তখন দেখতাম তুমি সুখের রানী
তবে এখন চোখ বন্ধ করলে দেখি....
তোমার চোখে জল।
থাক ওসব কথা।
তবে, তুমি যখন আমার জীবনে ছিলে......
কথায় কথায় তোমার ভুল ধরতাম, বকুনি দিতাম, বিরক্ত হতাম।
তবে সত্যি বলতে কি-
আমাকে কেউ এখন আর বিরক্ত করে না।
আমি এখন খুব শান্ত হয়ে গেছি।
তোমার কথা মতো, বাবা-মা’র কথা শুনি।
তোমার শুধু একটি কথা রাখতে পারলামনা।
আসলে আমি রাখতে চাই,
তবে চোখ দুটো রাখতে পারেনা।
ওরা এখনো বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকে।

 
 
এক গুচ্ছ গোলাপ হাতে ধরিয়া ছেলেটা বলল.....
আমি তোমাকে ভালোবাসি.....

অপর জনের চোখে পানি দেখে একটু মুচকি হেসে ছেলেটা আবার বলল.....
কই ফুল গুলো দেখি.....
...
আমি আসলে দুষ্টুমি করছিলাম.....
আমি তোমাকে ভালোবাসি না.....

মেয়েটা অবাক.....
বলল কি বলছো এসব.....?

ছেলে : তোমাকে সারাজীবন ভালোবাসার কথা না বলে থাকতে পারব.....
কিন্তু তোমার চোখের পানি আমি সইতে পারব না বলে দিলাম.....

মেয়ে : আমি প্রতিদিন হাজারটা বার কাঁদতে চাই সুখে.....
তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনে.....♥♥♥
এক গুচ্ছ গোলাপ হাতে ধরিয়া ছেলেটা বলল.....
আমি তোমাকে ভালোবাসি.....

অপর জনের চোখে পানি দেখে একটু মুচকি হেসে ছেলেটা আবার বলল.....
কই ফুল গুলো দেখি.....
...
আমি আসলে দুষ্টুমি করছিলাম.....
আমি তোমাকে ভালোবাসি না.....

মেয়েটা অবাক.....
বলল কি বলছো এসব.....?

ছেলে : তোমাকে সারাজীবন ভালোবাসার কথা না বলে থাকতে পারব.....
কিন্তু তোমার চোখের পানি আমি সইতে পারব না বলে দিলাম.....

মেয়ে : আমি প্রতিদিন হাজারটা বার কাঁদতে চাই সুখে.....
তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনে.....♥♥
আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে--

তুমি জান না, আমি তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে॥

সে সাধনায় মিশিয়া যায় বকুলগন্ধ,

...
সে সাধনায় মিলিয়া যায় কবির ছন্দ--

তুমি জান না, ঢেকে রেখেছি তোমার নাম

রঙিন ছায়ার আচ্ছাদনে॥

তোমার অরূপ মূর্তিখানি

ফাল্গুনের আলোতে বসাই আনি।

বাঁশরি বাজাই ললিত-বসন্তে, সুদূর দিগন্তে

সোনার আভায় কাঁপে তব উত্তরী

গানের তানের সে উন্মাদনে॥
ছবি: আমি    তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ   সুরের বাঁধনে--

          তুমি জান না, আমি তোমারে পেয়েছি   অজানা সাধনে॥

          সে সাধনায় মিশিয়া যায় বকুলগন্ধ,

              সে সাধনায় মিলিয়া যায় কবির ছন্দ--

                   তুমি জান না, ঢেকে রেখেছি তোমার নাম

                        রঙিন ছায়ার আচ্ছাদনে॥

          তোমার অরূপ মূর্তিখানি

ফাল্গুনের আলোতে বসাই আনি।

              বাঁশরি বাজাই ললিত-বসন্তে,   সুদূর দিগন্তে

                   সোনার আভায় কাঁপে তব উত্তরী

                        গানের তানের সে উন্মাদনে॥

ডাউনলোড লিংক:http://doridro.net/download/Robindro%20N%20Nazrul%20Songeet/Robindro%20Songeet/Rezwana%20C.%20Bonna/Bonna%20-%20Tomar%20dekha%20pabo%20bole/AMI_TOMAR_SONGE_BEDESHI.mp3.html
ভালোবাসা কি?
সংজ্ঞা খুঁজে যাচ্ছি
ডিকশনারির পাতা ঘেটে শেষ করে ফেলেছি
নেট এ খুঁজে যাচ্ছি সেই কত কাল ধরে
এখনো জানতে পারি নি
...
ভালোবাসা কি।

তোমার সাথে কথা না হলে যে কষ্ট হয় বুকে
তার নাম কি ভালোবাসা?
তোমায় না দেখলে মনটা যেমন উদাস হয়ে ওঠে
সে কি ভালোবাসা?
তুমি অভিমান করলে মনের মাঝে যে উথাল পাথাল ঝড় বয়ে যায়
তার নামই কি ভালোবাসা?
তোমায় খুঁজে না পেয়ে যে ছন্নছাড়া দিন কাটাই
তাকে কি ভালোবাসা বলে?
কি জানি
কিছুতেই ভালোবাসার মানে বুঝতে পারি না।

কেও বলে ভালোবাসা একটা অনুভুতি
যা চাইলেও পাওয়া যায় না,
আবার অনেক সময় না চাইতেও পাওয়া যায়
কেও কেও এত বেশি পায় যে ভালোবাসার যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে যায়;
যেমন তুমি।
আবার অনেকে ভালোবাসা না পেয়েও যন্ত্রণায় কাতরায়
ভালোবাসার কাঙাল হয়ে থাকে
যেমন আমি,
তোমার ভালোবাসার পথ চেয়ে থাকি
আর ভালোবাসার মানে খুঁজে বেড়াই
শুধু তুমিই বোঝো না
কিংবা বুঝেও না বোঝার ভান ধরে থাক
আমায় কষ্ট দিতে।

ভালোবাসা কি জ্যোৎস্নার চেয়ে সুন্দর
ভালোবাসা কি কবিতার চেয়ে কষ্টের
ভালোবাসা কি ফুলের সৌরভ
ভালোবাসা কি সাগরের বিশালতা
কিংবা নদীর বয়ে যাওয়া জল
আমি বুঝতে পারি না
আমার কাছে ভালোবাসা মানে
তোমার বাড়ানো হাত আমায় কাছে টানার
কিংবা "শুধুই তুমি"।

আমি কষ্ট কষ্ট সুখ পেয়ে যাচ্ছি
তোমার প্রতিক্ষার প্রহর গুনে
তুমি যেন আবার কষ্ট কষ্ট দুঃখ পেয় না
ভালোবাসার নষ্ট খেলা খেলতে গিয়ে।
 
যত দূরেই যাইনা কেন
থাকবো না যে দূরে
আমায় যখন পড়বে মনে
পাবে হৃদয় ঘরে,
যদি কখনো পরে মনে
...
আঁধার রাতের মাঝে
ঐ দিগন্তে দেখবে আমায়
তাঁরকারই সাজে,
পূর্ণিমা রাতে দেখ চেয়ে
চন্দ্রিমার ঐ হাসি
আলো ছড়িয়ে বলছি তোমায়
কত ভালোবাসি,
আমাবস্যার নিঝুম রাতে
লাগবে যখন একা
জোঁনাক হয়ে আসব আমি
পাবে আমার দেখা,
হয়ত কাছে পাবে নাকো
চলে যাব দূরে
তবুও জেনো থাকব আমি
তোমার হৃদয় জুড়ে ...

- হৃদয়ের ক্যানভাস
 

মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

পরিচয়টা ছোট বেলা থেকেই, জানিনা কবে থেকে ওর প্রতি মুগ্ধ হয়েছি। শুধু মনে আছে যখনই ওকে দেখেছি ওর কথা শুনেছি মনের মধ্যে ভালবাসা নামের সুপ্ত মুকূল পরিস্ফুটিত হয়েছে। তন্বীর প্রতি আমার ভাললাগাটা ছিল অন্যরকম। আমার মনে হতো ওর নামের সাথে ওর খুব মিল। তন্বী নামটা চিন্তা করলে কল্পনার জগতে রূপকথার রাজকন্যার যে ছবি ফুটে ওঠে, ও ছিল ঠিক সেই রকম।

ভালবাসা নামের সেই আকঙ্খিত শব্দটির মানে যে এতো মধুর তা আগে কখনো বুঝিনি। এক সময় অনুভব করলাম মনের অজান্তেই আমার জীবনটা আমি তন্বীর সাথে জড়িয়ে ফেলেছি। আমার লক্ষ্য, আমার চাওয়া-পাওয়া, আমার স্বপ্ন, আমার ভবিষ্যত সব কিছুই তন্বী নামের একটি বিন্দুতে মিলিত হয়েছে। তন্বীর সাথে আমার যে খুব একটা দেখা হতো বা কথা হতো তা নয়, তারপরও যতটুকু সময় ও আমার পাশে থাকতো আমি স্বপ্নের ভুবনে ঘুরে বেড়াতাম। আমার প্রতি ওর মনোভাব কি তা কখনো বুঝতে পারতাম না। ছোটবেলা থেকেই লাজুক স্বভাবের হওয়ার কারণে ওকে কিছুই বলতে পারতাম না। যতবারই বলতে গিয়েছি প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলেছি।

ও যখন ক্লাস নাইনে তখন আমার কাছ থেকে পুরোনো পাঠ্যবই গুলো নিয়েছিল। আমার একটা স্বভাব ছিল মনের সব কথা বইয়ের মধ্যে লেখার, কিন্তু ও যখন আমার কাছ থেকে বইগুলো চাইলো আমার মনে নানা আশংকা দানা বাধতে লাগলো। পাছে ও আমাকে খারাপ ভাবে বা যদি কোন সমস্যা হয়, আমি খুঁজে খুঁজে ওকে নিয়ে লেখা সব কথা মুছে দিলাম। ও আমার বইগুলো নিয়ে চলে গেল। আরো একবার আমি মনের কথা বলার সুযোগ নষ্ট করলাম। তারপর অনেকদিন কেটে গেল ওর সাথে দেখা হয় না।

আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগের কথা, এইচ.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং করছি। টিউশুনির টাকা দিয়ে কিছুদিন আগেই একটি সাদাকালো মোবাইল কিনেছি। ব্যস্ততা বেড়ে গেছে, কিন্তু তন্বী আছে আমার শয়নে-স্বপনে। তারপর হঠাৎ একদিন দুপুরে অচেনা একটা নম্বর থেকে ফোন আসলো। হ্যালো বলার সাথে সাথেই অপর প্রান্ত থেকে যে কন্ঠস্বরটি শুনলাম আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে এ আর কেউ নয়, আমার বহু আকাঙ্খিত সেই কন্ঠস্বর, এ যে আমার তন্বী।

সাথে সাথে আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল, সারা শরীর কাঁপতে লাগলো, শুধু অস্ফুট কন্ঠস্বরে বললাম, “তন্বী কেমন আছো।” অপর প্রান্ত থেকে ও বললো, “দিদার ভাইয়া তোমাকে একটা কথা বলবো, তুমি কি তোমার বইয়ের মধ্যে আমাকে নিয়ে কিছু লিখেছিলে ?” ভাগ্যের লিখন কি আর বদলানো যায়। তন্বীকে নিয়ে লেখা সবকিছু মুছে দিলাম, তারপরও আমার ভালবাসার কথা থেকে গেল! আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না, কিন্তু আমি কিছুই বলতে পারলাম না, মোবাইলটা হাত থেকে পরে গেল। তারাতারি তুলে দেখি ও ফোন কেটে দিয়েছে, তবুও ফোন দিলাম। ফোনের দোকানের লোকটা বললো, আপা তো চলে গেছে। আমার আর কিছুই ভাল লাগছিল না।

ছটফট করছিলাম। রাতে কিছু খেতে পারিনি, সারারাত জেগে ছিলাম ভোর হওয়ার আশায়। সকালে উঠেই বারান্দার টব থেকে একটা আধফোটা গোলাপ নিয়ে ছুটলাম ওর স্কুলের উদ্দেশ্যে। সোজা ওর স্কুলের গেটের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে রইলাম প্রায় দুই ঘন্টার মতো। স্কুল ছুটি হলো, কিন্তু আমার অস্থির চোখ আর তন্বীকে খুঁজে পাচ্ছেনা। আমি উদ্বগ্রীব হয়ে খুঁজছি আমার তন্বীকে, অবশেষে ওকে দেখলাম। ওর কাছে গেলাম, ও আমাকে দেখে অবাক হলো আর খুব লজ্জা পাচ্ছিল। আমি কোন কথা না বলেই একটা রিক্সা নিয়ে ওকে উঠতে বললাম।

ও অবাক হয়ে জানতে চাইলো কোথায়। কোন উত্তর দিলাম না। ওকে নিয়ে বলধা গার্ডেনে ঢুকলাম। পুকুরের পাশে বসেই হাতে গোলাপটা নিয়ে বললাম, “তন্বী আমি তোমাকে শুধু তোমাকেই অনেক ভালবাসি।” এখনো আমার মনে আছে তারিখটা ৫ই আগস্ট। ও আমার গোলাপটা নিয়ে হেসে বললো, তুমি একটা পাগল। সেই হাসি আমার হৃদয় আজো স্পন্দিত করে। সেইদিন থেকে আমার জীবনটা অন্যরকম হয়ে গেল। আমাদের ভালবাসা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠলো।

দুজন মিলে প্রতিশ্রুতি করলাম, সারাজীবন একসাথে থাকবো যা কিছুই ঘটুক। এরপর জীবনে অনেক সংকট এসেছে, কিন্তু সবসময় দুজন দুজনের পাশে ছিলাম। আমাদের ভালবাসার সাতটি বছর পেরিয়ে গেছে। আমাদের বন্ধন অটুট আছে, থাকবে ইনশাল্লাহ। কদিন পরেই এই সম্পর্ক পরিপূর্ণতা পাবে আমাদের বিয়ের মাধ্যমে। এখন শুধু এইটুকুই চাওয়া যেন সবসময় দুজন-দুজনকে মন খুলে বলতে পারি, “আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি
সেদিন পথে মুখোমুখি চোখাচোখি
বুকের মাঝে ধুপধাপ দাপাদাপি,
হঠা৭ থমকে তাকে দিলাম চমকে
বলেই ফেললাম বড্ড সাহস নিয়ে-
"Excuse me"
...
কিছু কি বলবেন নাকি?
আমি অতোটা সাহসি নই যে
আপনাকে কিছু বলতে পারি।
তাতো বুঝতেই পেরেছি ক'মাসে
শুধুই যে দেখেছেন চুপিসারে!
তা জনাব,জানতে কি পারি কারন খানা
নাকি জনাবের ঐ কারন টাও অজানা।
বলবো কি আর দেখলেই অবস্থা শেষ
বুঝে নেননা হৃদয়ের টান যে অশেষ!
এতোই যদি লেগেছে টান
দূরে দূরে কেন বোকারাম;
পিছে কেন আসুন না পাশে
ভীরুতা কি পুরুষের সাজে?
কি লুকিয়ে আছে তোমার মায়াবী চোখে!
ভস্ম হতে ইচ্ছে জাগে বারে বার
কোন্ জ্বালামুখীর লাভা উত্তপ্ত বইছে তোমার হৃদয়ে
খুদে দেখতে ইচ্ছে জাগে মনে।
অটল পাহাড়ের মতন মনটাকে
...
দিয়েছ নাড়িয়ে বারংবার
মরা নয়নায় এনেছো জোয়ার
তীব্র অশ্রু ধারায়।
আমি ভুলে যাব - ভুলে যাবে তুমি ও
স্বচ্ছ বেলা শেষের আলোয় বলা কথা
প্রাণপণ প্রণয়ের আশ্বাসে মিশে যাওয়া
নিয়ম ভাঙার নির্ঝর উতসব ;
তা তা থৈ থৈ নিমগ্ন বেলা -- ভুলে যাব
...
ভুলে যাবার চিরাচরিত বৈচিত্রে
ভুলে যাব এই না থাকার চেয়ে নিবিড়ভাবে থাকা
হয়তো ------
খুঁজে নেব বিষাদ মেঘ- রুপোলি অশ্রুর ঝড়ো উচ্ছ্বাস
উড়ন্ত ডানার ভাঁজে বিব্রত প্রহরে লুকনো
ঠুনকো ঠুনকো আবেগ মেশানো আবরণ - বিলাস
টুকরো সুখে জল - মেঘ- অশ্রু নিংড়ে স্মৃতির পোট্রেট
গড়ে নেব আধো আধো জোনাক দীপ্তিতে ।

তবু চির উন্মনা মনে প্লাবনের টান এলে
অনির্বাণ বেঁচে থাকা ভোরের নুয়ে পড়া শিশির কণা
লাল টিপ ছুঁয়ে জলোচ্ছ্বাস আনলে ভুলে
তবে থামাবে কোন নিয়মে ?? বাঁধবে কোন ছলে ??
এক নিমেষেই বললে -
"উড়ে যাক বৈকালিক হৈমন্তী হাওয়ার ঘ্রাণ --এক তুড়িতেই" ।
তোমার এমন দুরন্ত দুঃসাহস দেখে আমার শ্লথ নিশ্বাস
উড়ন্ত প্রজাপতির মিশেল রঙে ডুবে যেতে যেতে হন্যে হয়ে খুঁজে
নীল চোখে সবুজের মাতাল স্পর্শ বিলাস ।

ভুলে যেওনা নিয়তির কাছে জমা রেখেছি
মায়া -ছায়া-মায়া
সাধ - বিষাদ- বিব্রত প্রহর
তুমি মায়ার উড়নিতে রেখেছিলে কদম কলি - ফুলঝুরি আর কত ;
সে আমার চেয়ে বেশি আর কেই বা জানত ??
তবু ছন্নছাড়া বিরহ - বেদনা নীল নীল বিড়ম্বনায় মুছে দিতে চায় মায়া নুড়ি
যখন আমি তোমার আকাশে উড়াতে চাই ইচ্ছেঘুড়ি --
আমি স্তব্ধ পাথর হতে চাই অক্ষত ইচ্ছেগুলো ঢেউ হয়ে আসে যখন
বিষাদ পাথর হওয়ার অধিকার নিশ্চয় আমার ছিল ।

তুই কি আমার দুঃখ হবি ?
আনিসুল হক
.................
তুই কি আমার দুঃখ হবি ?
এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল
...
রুখো চুলে পথের ধুলো
চোখের নীচে কালো ছায়া।
সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি।
তুই কি আমার দুঃখ হবি ?

তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি ?
মধ্যরাতে বেজে ওঠা টেলিফোনের ধ্বনি হবি ?
তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর
নির্জনতা ভেঙে দিয়ে
ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে
ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি ?
একটি নীলাভ এনভেলাপে পুরে রাখা
কেমন যেন বিষাদ হবি।

তুই কি আমার শুন্য বুকে
দীর্ঘশ্বাসের বকুল হবি ?
নরম হাতের ছোঁয়া হবি ?
একটুখানি কষ্ট দিবি।
নিজের ঠোট কামড়ে ধরা রোদন হবি ?
একটুখানি কষ্ট দিবি।
প্রতীক্ষার এই দীর্ঘ হলুদ বিকেল বেলায়
কথা দিয়েও না রাখা এক কথা হবি ?
একটুখানি কষ্ট দিবি।

তুই কি একা আমার হবি ?
তুই কি আমার একান্ত এক দুঃখ হবি ?
 
যদি কেউ আপনাকে খুব
ভালোবাসত!
ভালোবাসায়
রাঙিয়ে দিতো আপনার
প্রতিটি মূর্হূত।।
...

তাহলে বোধ হয়
ভালোবাসার
প্রতি আপনার
আকর্ষণ বেশ
খানিকতা কমেই যেত।

যেটা আপনি না চাইতেই
পেয়ে যাবেন
তার প্রতি খুব
একটা মোহ কাজ
করে না।।

মোহ
না থাকলে ভালোবাসাও
থাকে না।।
এভাবেই
আপনাকে যে নিজের
জীবনের
থেকেও
বেশী ভালোবাসে,
তার ভালোবাসা
তাই
অপূর্ণতা দোষে দুষ্টুই
থেকে যায়
আজীবন।।

ভালবাসতে নাই
বা পারলেন,
তবে যে আপনাকে এতো
ভালোবাসে তার
ভালোবাসাকে সামান্য
সম্মান
কি দিতে পারেন না!
বা খানিকতা সান্ত্বনা!

যাকে আকড়েঁ ধরে আরো কিছু
দিন
ভালোবেসে যেতে পারে আপনাকে।।

 
মনটা আজ ভীষণ
খারাপ।।বারবার চোখ
ভিজে উঠছে।।

জল সিক্ত চোখ
...
মুছে ফেলার
সাথে সাথে তা জলে ভরে যাচ্ছে।।

কি যে করবো,বুঝে উঠতে পারছি না।।
নিঃসঙ্গতা আমার
চারপাশ
জুড়ে,একাকীত্ব
আমার মনের মাঝে।।

তবুও মনটা যে আজ খুব
অস্থির।।
পার্কে একা বসে চুপচাপ
আকাশের
দিকে তাকিয়ে আছি।।

নিজেকে কোন ভাবেই
সামলাতে পারছি না।।
বৃষ্টি নামতে শুরু
করেছে।।
আমিও
থেমে নেই,কষ্টের
সীমা আমার বাধঁ
ভেঙ্গে দিয়েছে।।

আমি আর সহ্য
করতে পারছি না।। আর
তাই সুতাবিহীন ঘুড়ির
মতো উড়েই চলেছি,
একা নিঃসঙ্গতাকে ভালোবেসে,
অশ্রুসজলে।।

 
ভালবাসা মানে কি ?
একে অপরের হাতে হাত রাখা ,
নাকি দূর থেকে তার চোখে চোখ রাখা ?

ভালবাসা মানে কি ?
...
একই পায়ের ছন্দে পাশাপাশি এগিয়ে চলা .
নাকি , অফুরন্ত না বলা কথা গুলো বলে চলা ?

ভালবাসা মানে কি ?
গভীর সুমুদ্রে মিশে যাওয়া আকাশ কে দেখা ,
নাকি , একেঅপরের চোখে নিহিত ভালবাসা কে দেখা ?

ভালবাসা মানে কি ?
লিখতে পড়তে শুধু তার ই কথা মনে করা .
নাকি , বইয়ের পাতায় শুধু তার ছবি ভেসে উঠছে মনে করা ?

ভালবাসা মানে কি ?
সমস্ত কাজকে ভুলে যাওয়া ,
নাকি , প্রতিটা মুহুর্তে শুধু তাকেই মনের মাঝে খুঁজে পাওয়া ?

ভালবাসা মানে কি ?
সময়ের মুল্য দেওয়া .
নাকি , তাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে মূল্যবান সময় কে নষ্ট হতে দেয়া ?

ভালবাসা মানে কি ?
নিজের সমস্ত ইচ্ছা কে দমিয়ে দেওয়া .
নাকি , তার সমস্ত ইচ্ছা কে গুরত্ব দেওয়া ?

ভালবাসা মানে কি ?
মিথ্যা কথার খনি আগলা করা ,
নাকি , মিথ্থা কথা কে রং চড়িয়ে সত্যি করা ?

ভালবাসা মানে কি ?
অন্ধকার রাস্তা ধরে পাসাপাসি হেটে চলা ,
নাকি , যা পাওয়া হয়নি এখনো ,তার জন্য প্রতিক্ষা করে চলা ?

ভালবাসা মানে কি ?
রঙিন প্রজাপ্রতি কে ইচ্ছামত কাছে পাওয়া .
নাকি , অধরা অন্য কারোর দিকে বারে বারে ছুটে যাওয়া ?

ভালবাসা মানে কি ?
মনের কোনো অজানা তৃষ্ণাকে মেটানো ,
নাকি , দুটি ঠোটের স্পর্শে তৃষ্ণা কে মেটানো ?

ভালবাসা মানে কি ?
কল্পনার আনন্দে ভেসে থাকা ,
নাকি , শরীরের স্পর্স আনন্দে মেতে থাকা ?

ভালবাসা মানে কি ?
দুটি শরীর এক হওয়ার টান ,
নাকি , প্রেম নিছক ই মনের দুরন্ত টান ?

ভালবাসা মানে কি ?
পৃথিবীর কিছু অদেখাকে দেখার আসা ,
নাকি , শুধু ই মনের ও চোখের নেশা??
আমি তো বদলাই
নি,সেই যেমন ছিলাম
ঠিক তেমনি আছি।।
সেই ভালো লাগার
মূহূর্তগুলোও বেশ
...
মনে আছে।।
আগে তোমায়
নিয়ে ভাবলে, তোমার
মিষ্টি হাসি টা ভেবে, নিজেও
মনে মনে হাসতাম।।

এখন ও
ভাবি,তবে তোমায়
নিয়ে নয়, তুমি ছেড়ে চলে যাবার
পরের সেই
মূহূর্তগুলোকে, খুব
মনে পড়ে।।
একটিবারের জন্য
হলেও ফিরে তাকাও
নি তুমি, বার বার
ফিরিয়ে দিয়ে তুমি আমাকে,

সেই তুমি এখন নিজেই
ফিরতে চাইছো??
কেন?
এখন তুমি কাদোঁ আমায়
ভেবে, তোমার অশ্রু
গড়িয়ে বালিশ ভিজে,

আর্শ্চয্য তাই না!!
খোদা তোমায় আমার
সেই কষ্টের
প্রাপ্তি গুলো ফিরিয়ে দিয়েছেন, যেই
স্মৃতি আজ ও
বয়ে বেড়াচ্ছি নীরবে।।

আমি জীবনকে দেখি,

নিজের জীবন, অন্যের জীবন

কষ্ট দেখি, কান্না দেখি
...

মান অভিমানের পালা দেখি

অতঃপর হাসতে থাকি...............।



আমাকে পাগল ভাবা যায়

উদাসী উন্মাদ

শিকল দেখি, দেখি পরাজয়

শুন্যতার নিষ্পেষণ দেখি

আবার হাসতে থাকি...............।


তবুও স্বপ্ন দেখি

ঘোর লাগান স্বপ্ন

দাসত্ব মেনে নেই

অন্ধের চোখে জোছনা দেখি

মমতার স্পর্শ খুঁজি

আমি আর হাসতে পারি না
 
আমি আর কাদতে পারিনা
 
কাদলেউ চোকে আর  আর
 
আগের মত জলে ভরে যায় না
 
কেউ আমার কান্না দেখেও না
 
আমি কার জন্য কাদব?
ভালবেসেছি আমি অবুঝ মনে তোমায় প্রতিক্ষণ.....
.
তুমি আমার মাঝে মিশে যাওয়া প্রাণের স্পন্দন.....
.
তোমার পাশে থাকব বলে কাছে আমি এসেছি.....
...
.
রামধনুতে রং মিশিয়ে স্বপ্ন কত একেঁছি.....
.
নিজেকে ভোলা সহজ যত বৃত্তটাকে মুছে.....
.
ভোলা তোমায় কঠিন তত বাঁচার আশা মিছে.....
.
তুমি আমার ভালবাসার কাব্যগাঁথা স্বপ্ন টোলপড়া সেই মুখের হাসি আমার মনের রত্ন.....
.
আছো কাছে তবু কেন লাগে বহুদূর
যে কোন একটা ফুলের নাম বল
- দুঃখ ।
- যে কোন একটা নদীর নাম বল
- বেদনা ।
- যে কোন একটা গাছের নাম বল
...
- দীর্ঘশ্বাস ।
- যে কোন একটা নক্ষত্রের নাম বল
- অশ্রু ।
- এবার আমি তোমার ভবিষ্যত বলে দিতে পারি ।
- বলো ।
- খুব সুখী হবে জীবনে ।
শ্বেত পাথরে পা ।
সোনার পালঙ্কে গা ।
এগুতে সাতমহল
পিছোতে সাতমহল ।
ঝর্ণার জলে স্নান
ফোয়ারার জলে কুলকুচি ।
তুমি বলবে, সাজবো ।
বাগানে মালিণীরা গাঁথবে মালা
ঘরে দাসিরা বাটবে চন্দন ।
তুমি বলবে, ঘুমবো ।
অমনি গাছে গাছে পাখোয়াজ তানপুরা,
অমনি জোৎস্নার ভিতরে এক লক্ষ নর্তকী ।
সুখের নাগর দোলায় এইভাবে অনেকদিন ।
তারপর
বুকের ডান পাঁজরে গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে
রক্তের রাঙ্গা মাটির পথে সুড়ঙ্গ কেটে কেটে
একটা সাপ
পায়ে বালুচরীর নকশা
নদীর বুকে ঝুঁকে-পড়া লাল গোধূলি তার চোখ
বিয়েবাড়ির ব্যাকুল নহবত তার হাসি,
দাঁতে মুক্তোর দানার মত বিষ,
পাকে পাকে জড়িয়ে ধরবে তোমাকে
যেন বটের শিকড়
মাটিকে ভেদ করে যার আলিঙ্গন ।
ধীরে ধীরে তোমার সমস্ত হাসির রং হলুদ
ধীরে ধীরে তোমার সমস্ত গয়নায় শ্যাওলা
ধীরে ধীরে তোমার মখমল বিছানা
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে, ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে সাদা ।
- সেই সাপটা বুঝি তুমি ?
- না ।
- তবে ?
- স্মৃতি ।
বাসর ঘরে ঢুকার সময় যাকে ফেলে এসেছিলে
পোড়া ধুপের পাশে
ভালোবাসার মানুষ গুলো যখন দূরে চলে যায় তখন নিস্তব্ধ চোখের পানি চোখের কোনে জমা হয় শীতের সকালে ঘাসের উপর জমে থাকা শিক্ত শিশিরের মত.....

আর.....

যখন বন্ধু গুলো দূরে চলে যায় তখন চোখের পানি ঝরে পরে বর্ষার বৃষ্টি হয়ে চোখের মনিকোঠা থেকে যা সহজে থামতে চায়না.....
সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায়.....


আরেকটু কাছে সরে এসো
ভালো করে দেখে নেই তোমায়।
বহু দিনের লুকানো ইচ্ছে আমার
মনের সাধ মিটিয়ে আমি দেখতে চাই তোমায়।
খুব কাছে থেকে একদিন
...
তোমাকে দেখবো বলে
আমি কতো পূর্ণিমা অমাবস্যা
পার করে দিয়েছি নির্ঘুম,
কাটিয়েছি কতো অস্থির দিন রাত।
কতো দিন আমি মনে মনে ভেবেছি তোমায়
কতো কথা বলেছি অবিরাম।
কতো দিন আমার ভাবনায়
আমার স্বপ্ন গুলি ছুঁয়ে দিয়েছে তোমায়।
তোমার দিকে অপলক তাকিয়ে থেকেছি আমি
দেখেছি তোমার দুই চোখ জুড়ে
কোনও এক স্বপ্নের গাঢ় ছায়া
আমি সেই স্বপ্নময় চোখের দিকে
বিভোর হয়ে তাকিয়ে থেকেছি কতো।
এবার আমার স্বপ্নের তুমি
সত্যি হয়ে সামনে এসে দাঁড়াও একটি বার
আমি প্রান ভরে দেখে নেই তোমায়।