এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২


ঝনঝন
করে একটা গ্লাস
ভেঙ্গে পড়ল হঠাত্
করেই।
ভেঙ্গে যাওয়া গ্লাসের
...
কাচেঁর
টুকরো এসে বিধঁলো নীলিমার
পায়ে।।বুঝে উঠার
আগেই
পায়ে আলতা রাঙ্গিয়ে দিলো ভাঙ্গা কাচঁ।।
রক্তে ভেসে গেলো চারপাশ।।
তার
মাঝে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গেলো নীলিমা।।
তারপর সব ই
নিঃশব্দ।।
কৌশিকের
সাথে নীলামার
সম্পর্ক মাত্র চার
মাসের।তবু কেন যেন
মনে হয় দুজনের
কাছেই,সর্ম্পকটা চার
বছর পেরিয়ে গেছে।।
বাংলাদেশের
স্বনামধন্য
একটা প্রকৌশুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের
একসাথে লেখাপড়ার
সুযোগ হয়।ক্লাসের সব
মেয়েদের মধ্যে শান্ত
মেয়ে ছিলো নীলিমা।।
আর
সবচেয়ে মনযোগী ছাত্র
কৌশিক।।দুএকদিন
পরেই কৌশিকের নজর
কাড়লো নীলিমা।।
চোখে চোখে চোখ
রাখলেও পছন্দের
কথা বলতে সাহস
হয়নি কখনো কৌশিকের।।
কৌশিকের গ্রামের
বাড়ি বরিশাল।
বাড়ী যাওয়ার
জন্যে বাসে উঠতেই
কৌশিক পেয়ে যায়
নীলিমাকে।।
জানা গেলো নীলিমা ও
বরিশাল যাবে।ওর
বাবা মা ওখানেই
থাকেন।।
যেতে যেতে অনেক
কথা হলো ওদের মাঝে।।
নীলিমার ও
ভালো লেগে গেলো ছেলেটিকে।।
ফোন নম্বর টাও
জেনে নিলো নীলিমা।।
আস্তে আস্তে ভালোবাসা বাড়তে লাগলো ওদের
মাঝে।।
ভার্সিটিতে একসাথে বসা,ফুচকা খাওয়ার
পাল্লা দেয়া,চোখে চোখ
রেখে কেবলই
তাকিয়ে থাকা,পড়া বুঝিয়ে দেয়া সবকিছুতেই
যেন অন্যরকম
ভালো লাগা,,নতুন
করে কাছে আসা।।।
ভালোবাসার ডাকপিয়ন
ভালোবাসার সব
চিঠি দিয়ে রাঙ্গিয়ে দিলো দুজনকে।।
একদিন কৌশিক
নীলিমাকে একটা গোলাপ
ফুল আর একটা কার্ড
দিয়ে প্রপোজ করলো।
নীলিমা কার্ডটা হাতে নিয়ে বলল
এখন
আসি পরে কথা হবে।।
রাতে ফোনে নীলিমা জানালো এক
সপ্তাহ সময় লাগবে।।
পরে এক সপ্তাহ
পরে নীলিমা কৌশিককে জানালো আমিও
ভালোবাসি তোমাকে।।
তিন মাস কেটে গেলো।।
নীলিমার কেনো যেন
মনে হচ্ছিলো কৌশিক
ওর সাথে টাইম পাস
করছে।।ওর যখন
ভালো লাগে তখন
কথা বলে,যখন
ভালো লাগে না কথা বলে না।
একদিন
নীলিমা কৌশিককে জিগ্যেস
করলো আমাদের
সর্ম্পক
টা নিয়ে কি ভাবছো তুমি?
তখন থেকেই খুব
আনমনা হয়ে যায়
কৌশিক।সে জানায়
তার বাবা খুবই
রক্ষনশীল।
তিনি তাদের প্রেম
মেনে নিবে না।আর
সে পরিবারের বড়
ছেলে।।পরিবার
থেকে তার
জন্যে মেয়ে ঠিক
করলে সে তার
বাবা মার মনে কষ্ট
দিতে পারবে না।।
নীলিমার মাথায়
আকাশ ভেঙ্গে পড়ল।
তাহলে তাদের এই
ভালোবাসার কি কোন
মূল্য নেই!প্রশ্ন
আছে তবে উত্তর
নেই।।
আজ ও
নীলিমা অপেক্ষায়
আছে কবে উত্তর
পাবে।।কৌশিক কোন
ভরসা দিতে পারছে না।।
প্রশ্নটা যখন
নীলিমা বলে,কৌশিক
মাটির
দিকে তাকিয়ে বলে জানি না।।
একদিন
কষ্টে অভিমানে নীলিমা এক
গাদা ঘুমের ঔষধ
খেয়ে ফেললো।
গ্লাসটা টেবিলে রাখতে গিয়ে পিছলে হাত
থেকে পড়ে গেলো নিচে।।
ভাঙ্গা কাচেঁর
টুকরা গুলো এসে বিধঁল
পায়ে।।
রক্তে ছেয়ে গেলো চারপাশে।।
অজ্ঞান
হয়ে পড়ে গেলো নিচে।
তারপর সব নিঃশব্দ।।
নীলিমা ভালো আছে।।
কৌশিক ও
চালিয়ে যাচ্ছে তার
লেখাপড়া নিজেকে প্রতিষ্ঠিত
করতে।থেমে নেই
তাদের ভালোবাসা ও।।
তবে এতে কৌশিকের
নেই কোন ভরসা।।
নীলিমা ও আশা হীন
হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে নীড়
বিহীন পাখি হয়ে আজ
ও।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন