ওর নাম শ্রাবণ। শ্রাবণ চৌধুরী। ৫ ফূট ৭ ইঞ্চি ঊচ্চটা। এলাকায় ওচেনা নয় কারও। কারণ ওর বাবা। বাবা এমপি। তাই সবাই ওকে সমীহ করে । তবে ভালো ছেলে হিসাবেও ওর নাম আছে। শুধু এক জন ই ওকে এড়িয়ে চলে । রাত্রি । বুজতে পারে না ও। কেন ওকে এড়িয়ে চলে মেয়েটা।
অনেক বারই ওকে বলেছে ও ‘ভালোবাসি তোমায়।’ প্রতি বারই এরিয়ে গেছে রাত্রি। এক রাশ হতাশায় প্রতি বারই ভেঙ্গে পড়েছে শ্রাবণ। আর ভেবেছে কেন এমন হয়। আজ আবার অনেক আশা নিয়ে ওর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে । ‘রাত্রি শোন।’ পীচূ ডাকে ও। ‘জী ।‘ দাড়ায় রাত্রি। ‘তুমি ত জান আমি তোমাকে…।’ কথা শেষ করতে পারে না ও। ‘আমি ত আপনাকে বলেছি ,এখণ আমি এ নিয়ে ভাবছী না।’ ওকে থামিয়ে দিয়ে বোলে রাত্রি। ‘ওকে শুধু এ টূকূ বোল আমায় ঘেণা কর না’। ‘আমি কাঊকে ঘেণা করি না’। ‘শূনে ভাল লাগল, ভাল না বাস ঘেণা ত কর না’ চলে যায় ও। পিছু চেয়ে থাকে শ্রাবণ। আন মনা হয়ে যায় ও। দূরে দাড়িয়ে ওদের দেখছিল ওর বন্ধু রাকীব। কাছে এসে ওর পিঠে হাত রাখল । ‘কিরে দোস্ত ,কী ব্যাপার ? ‘ ‘রাত্রি আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে’ হতাশ কোণ্ঠে বোলে ও । ‘ওকে ভালবাসিস আগে বলিসনি কেন ‘ ‘কী ভাবে বলব ওতো আমাকে এড়িয়ে চলছে’ । ‘ওটা কোন ব্যাপারই না, আমি সব মেণেজ করে দেব, তবে একটা শর্ট আছে’ ‘কী শর্ট ?' ‘বোল ও রাজী হলে চাইনিজ খাওয়াবী ?’ ‘ওকে খাওয়াবো’ ‘প্রমীজ।’ হাত বাড়ায় রাকীব। ‘প্রমীজ।’ হাতে হাত চালীয়ে বলে শ্রাবণ। ********* শেষ বিকেলে নূপুর পায়ে বিদায় নিচ্ছে সূর্য। কূয়াশা ণেমে আসছে । চাদর বিছিয়ে ঘিরে নিতে চাচ্ছে। কর্ম বেষ্ট সবাই ফিরে যাচ্ছে ।রাস্তায় দাড়িয়ে রাত্রির জন্য অপেক্ষা করছে রাকীব। বেশী অপেক্ষা করতে হোল না । একটা রিকশায় চেপে ওর দিকেই আসছে ও ।রাত্রি ওর ছোট বোন নীলার বান্ধবী ।আসতেই ডাক দিল ও । ‘রাত্রি শোন।’ ‘জী ভাইয়া।’ রিকশা দাড় করায় ও। ‘তোমার সাথে কীছূ কথা ছিল।’ ‘জী বলুন’ ‘তুমি ত শ্রাবণ কে চেন।’ ‘জী চিনি।’ ‘ও আমার ভাল বন্ধু, কিন্তু দুঃখের কথা ওর খূব অসুখ।’ ‘কী হয়েছে ওনার ?’ ‘ওর ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরেছে, ডাক্তার বলে দিয়েছে বড় জোড় ৬ মাস বাচবে।’ ‘কী বলছেন আপণী মাএ ৬ মাস!’ ‘হা ৬ মাস, তাই আমরা ওকে সব সময় খূশী রাখতে চাই’,ও তোমাকে খূব পছন্দ করে, ওকে কী কটা দিন সঙ্গ দেয়া যায়।’ ‘ ভাইয়া আমি ভেবে দেখব।’ ‘ওকে দেখও।’ ‘আসি’ ভাইয়া।’ ‘ওকে আস।’ রিকশা কুয়াশার চাদর ভিতর হারিয়ে যায় । রাকীবের চোখ খুশীতে ণেচে ঊঠে । কাল ই চলবে চাইনিজ ! আহ! কত দিন এমন সুযুক এলো ! ******************* অনেক দিন পর আজ খূব সাজতে ইচ্ছে করল রাত্রির। কেন জানি এক ভাল লাগায় মন ভরে আছে। তাই আজ সময় নিয়ে সাজল ও। নীল শাড়ী নীল টীপে ওকে অবশরা অবশরা লাগছে। আয়নায় নিজেকে দেখে মিষ্টি হাসল ও। এক এক করে ১৮ বসন্ত কবে চলে এল বুজেইনি ও। আজ ফাগুনের ১ তারিখ তাই বুজি মণে আজ এত আমেজ! এত ভাল লাগা! এত আবেগ! একটা রিকশা নিয়ে সোজা চলে এল পাড়ার ক্লাবের সামনে। ও জানে এখানেই পাবে শ্রাবণ কে। সারা দিন এখানেই আডডা দেয় ও। রাত্রি কে দেখেই ডাক দিল শ্রাবণ। ‘রাত্রি’ ‘বল শ্রাবণ।’ ‘রাত্রি আমি তোমাকে……।’ ‘আমি জানি শ্রাবণ।’ ওকে থামিয়ে বলে ও। ‘তুমি সত্যি……।’ ‘হু’ম।' মাথা নাড়ায় রাত্রি। ‘ঊঠে এসো রিকশায়।’ নিমন্তন জাণায় ও। ঊঠে বসে শ্রাবণ। রিকশা এগীয়ে চলে । চূপ চাপ দুজন। যেণ ধর্মঘট ডেকেছে কেঊ! আসলে কেহই কথা খূজে পাছছে না। ‘কোথায় যাবে ?' নিরাবটা ভাঙ্গে শ্রাবণ। ‘জানি না, কোথাও আজ হারিয়ে যেতে মন চাইছে!’ ভীষণ ঊছছল আজ রাত্রি! ‘তাই!’ ‘হুম!' ‘সাথে আমাকে নেবে না’ ‘নেব।’ বলে শ্রাবণের হাত টা নিজের হাতে তুলে নেয় রাত্রি। হঠাৎ চিৎকার করে বলে ওঠে শ্রাবণ I LOVE YOU RATRI………. ‘এই তোমার কী হয়েছে !’ ‘আমি স্বপ্ন দেখছি রাত্রি !‘ ‘এখন’! হেসে উঠে ও। ‘হা’। ‘হয়েছে রাতরে দেখ!,এখন চল রমনায় যাই, আজ ফাগুনের মেলা আছে।’ ‘আজ তুমি যেখানে নিয়ে যাবে যাব’, সূদু তুমি পাশে থেকো! ‘আচ্ছা থাকবো।’ রিকশা এসে থামল রমনা পার্কের সামনে। ভাড়া চূকীয়ে ভীতরে ডূকে ওরা। আজ দারুণ সাজে সেজেছে প্রকেতি। সবাই আজ জোড়ায় জোড়ায় এসেছে। তরুণীদের খোপায় শোবা পাচ্ছে ফুল। ওরা গুরে গুরে দেখে সব সারি সারি দোকান। একটা জিনুকের দোকানের সামনে এসে দাড়ায় ওরা। শ্রাবন খুব সুন্দর দেখে একটা জিনুকের মালা কিনে দেয় রাত্রি কে। যত্ন করে রাত্রি কে পরিয়ে দেয় শ্রাবণ । ‘কি খাবে বল?’ ‘চতপতি আর ফুস্কা।’ ‘তোমার খুব প্রিয় বুজি ?’ ‘হুম, খুব।’ খাবার সেরে ওরা একটা জাউ গাছের নিছে এসে দাড়ায়। নিজেদের খুব সুখি মনে হয় ওদের। ‘শ্রাবন আমাকে কেমন লাগছে ?‘ ‘অপ্সরা’ ‘দূর’ ‘সত্যি!’ ‘কচু! ভেংছি কাটে রাত্রি। ‘এই ৩ সত্যি বলছি! ‘ ‘হয়েছে চল এবার ,মা চিন্তা করবে ‘ ‘এখনি যাবে, আরেক্তু থাক না! ‘আজ না চল।' ‘ওকে ম্যাম চলুন।‘ ************************** ক্লাস শেসে সবাই ওকে গিরে ধরে। ”রাত্রি ডুবে ডুবে জল খাওয়া হছেছ ?” বলে নিলা । ‘ওমা, তাই নাকি, কে ওই হিরো টা ? সবাই এক সাথে বলে উঠে। রাত্রি চুপ করে থাকে। ওকে চুপ থাকতে দেখে নিলা বলে ”হিরো শ্রাবণ চৌধুরী।” ‘ওমা তাই নাকি।’ বাবা ত এম পি, ছেলে কি ? ‘ছেলে ব্যবসাহি’ ‘ভাল খুব ভাল।‘ নিলা ও রাত্রি সবার থেকে আলাদা হয়ে কলেজের কমন রোমে এসে বসে । ‘এবার বল আমাকে না জানিয়ে ডুবে ডুবে জল খাওয়া হছছে ? ‘আসলে রাকিব ভাই ও দিন বলল ,ওর নাকি খুব অসুখ তাই…’ ‘এই তাহলে কাহিনি, তুই জানিস না, রাকিব একটা মিথ্যুক, শ্রাবণ ভাইয়ের কোন অসুক নেই’ ‘সত্যি!’ ‘হা সত্যি! ‘ত এখন আমি কি করব!’ ‘কি করবি আবার ভুলে যাবি।’ ‘হুম’ মন খারাপ হয়ে যায় ওর। আজ আসি নিলা ভাল লাগছে না।’ আছছা যা’ একটা রিক্সা নিয়ে সোজা চলে আসে বাসায়, নিজ রোমে ডুকে দরজা বন্দ করে দেয় ও। কান্না পাচ্ছে। ‘এখন কি করব আমিকেন ও এমন করল! ও দূরে ছিল ভাল ছিল! কেন কাছে এলো। নিজের সাথে রিতি মত যুদ্দ সুরু হল যেন ওর। কোথায় যেন কিছু একটা এলোমেলো হয়ে গেছে। ‘ওতো অনেক বার বলেছে, কোন ছলনা করেনি। চেয়েছে আমার ভালবাসা, আমি ই এরিয়ে গেছি । অপমান করেছি। তবুও আশা ছারেনি।’ আমাকে শুধু ভালবেসে গেছে।‘ ’ওতো খারাপ ছেলে নয়,দেখতে ভাল, লাজুক।’ ‘তাহলে কি আমি সত্যি ই ওর প্রেমে পরে গেছি ? নিজেকে অবয় দেয় ও। হা আমি ওর প্রেমে পড়েছি, ওকে ভালবেসে ফেলেছি।’ ’কোন ভুল করিনি। ভাবতেই আনমনা হয়ে যায়। মনে মনে বলে শ্রাবণ "i love you……………" |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন