এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১২

বৃষ্টি তোমায় লেখা আমার চিঠি..


বৃষ্টি,

... হঠাৎ করে কেন যেন মনে হল তোমাকে একটা চিঠি লিখি। খুব অদ্ভূত তাই না ? যেন তুমি একটা মানুষ।

তুমি হয়ত কখনও জানবে না যে কেউ একজন তোমাকে কিছু লিখেছিল, আবার হয়ত কখনও বাতাস তোমার কাছে আমার চিঠি পৌছে দেবে। তুমি আজকে আমার খুব বেশী সিক্ত করে দিয়েছ। নিশ্চয়ই ভাবছ কই তুমি তো আমার মাঝে ভিজলে না, তবু আমি সিক্ত হলাম কীভাবে? আমার বাইরেটা সিক্ত হয় নি, হয়েছে আমার ভেতরটা।

যেদিনই তোমায় একটু প্রান ভরে দেখি, সেদিনই তুমি আমায় বড্ড উদাস করে দাও। আচ্ছা বলতো কি আছে তোমার মাঝে যা আমাকে এভাবে এলোমেলো করে দেয় ? ঝড়ো হাওয়া এলো করে দেয় আমার চুল, তুমি এলো করে দাও আমার সর্বসত্তাকে! কোথায় যেন হারিয়ে যাই আমি। আমার দৃষ্টি প্রসারিত হয় তার সীমানারও বাইরে। কল্পনা করতে থাকে একটি প্রিয় মুখ, হাতে হাত ধরা দুটি হাত। কোন অজানা ভালবাসা, ভাললাগায় নিজেদের মাঝে হারিয়ে যাওয়া দুটি মন। তুমি বলতে পার তোমার সাথে এসবের সম্পর্ক কোথায় ?

আবার কখনও মনে পড়ে কোন ক্ষনের কোন অব্যক্ত দুঃখ কিংবা কান্না।
মনে করিয়ে দাও কত বেদনা বিদ্ধ মুহূর্তের কথা।

তুমি স্নিগ্ধ করে দাও প্রকৃতিকে, আবারও ভাসিয়ে দাও কত ঘর। আমার কখনও তোমায় বোঝা হবে না, যদি বৃষ্টি হয়ে তোমায় বোঝা যেত তবে আমি বৃষ্টি হতে চাইতাম কিন্তু বৃষ্টি হলেই কি তোমায় বোঝা যাবে ? হয়ত না। আর আমি যে বৃষ্টিও হতে পারব না, আমার যে অনেক সীমাবদ্ধতা, আমি তো চাইলেই তোমার মত মেঘের সাথে হারাতে পারি না।

অনেক কথা বলে ফেললাম বৃষ্টি তোমায়। আজকে না হয় থাক। আর হয়ত কখনও তোমায় লেখা হবে না, তবে মনে মনে তোমার সাথে আমার কথা চলবে সারাজীবন, তা তুমি শুনতে পাও আর না পাও। আমি ধরে নেব বাতাস তোমায় আমার বার্তা পৌছে দিয়েছে।
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন